Dhaka শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীর সাথে ঝগড়া, ১২০ ফুট উঁচু টাওয়ারে স্বামী!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

মদ্যপান নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তীব্র অশান্তি। বিষয়টি নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়াও হয়। এবার ঝগড়ার পর আর কিছুই ভালো লাগছি না স্বামীর। সোজা উঠে পড়লেন ১২০ ফুট উঁচু মোবাইল টাওয়ারের মাথায়। সেখানেই বসে থাকলেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের পাত্রগাতি গ্রামে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার

গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, পেশায় দিনমজুর সীমন্ত মাঝি। স্ত্রী মিঠু মাঝির সঙ্গে ঝগড়ার পর রাগ করে টাওয়ারে উঠে পড়েন। সীমন্তকে অতো উঁচুতে উঠতে দেখে ঘটনাস্থলে জড়ো হয় গ্রামবাসী। তারা হাজার বার অনুরোধ করেন এমনটি না করতে, নিচে নেমে আসতে। কিন্তু কারও কোনো কথা কানে তোলেননি ২৮ বছরের সেই যুবক। রাগে মোবাইল টাওয়ারের মাথাতেই বসে ছিলেন তিনি।

এরপর উপায় না পেয়ে দমকল বাহিনীকে খবর দেন স্থানীয়রা। দুটি ইঞ্জিন নিয়ে এসে ব্যর্থ হন দমকলের কর্মীরাও। সীমান্তকে নামিয়ে আনা যায়নি তখনও। শেষ পর্যন্ত খবর দিতে হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। এ সময় ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ইন্দাস থানা পুলিশ।

কিন্তু শেষ পাওয়া পর্যন্ত, দমকল ও পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সীমন্তকে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।

ঝগড়ার বিষয়ে সীমান্তের স্ত্রী মিঠু মাঝি বলেন, আমার স্বামী প্রায় দিনই মদ খেয়ে বাড়িতে বসে থাকেন। বারবার প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু কোনোভাবেই মদের আসক্তি কমানো যায়নি। আজ এমন কাণ্ড করে বসবে ভাবতে পারিনি। স্বামী টাওয়ারে উঠে পড়তেই গ্রামের সিভিককর্মীকে খবর দিয়েছিলাম। ওই সিভিককর্মীই ঘটনার কথা থানায় জানান। এর পর পুলিশ আমার স্বামীকে নামিয়ে আনার চেষ্টা করে। দমকলও নামাতে পারেনি। এখন স্বামীকে কী ভাবে নামানো হবে সেটাই চিন্তার বিষয়।

এ বিষয়ে মোবাইল টাওয়ার সংস্থার আধিকারিক পীযূষ কুমার মণ্ডল বলেন, টাওয়ারের নিচের অংশ ব্যারিকেড করে ঘেরা রয়েছে। ব্যারিকেডের দরজাতেও তালা লাগানো ছিল। কিন্তু ওই যুবক ব্যারিকেড টপকে ভেতরে ঢুকে এমন কাণ্ড করেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সুনামগঞ্জে প্রাইভেটকার-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ২

স্ত্রীর সাথে ঝগড়া, ১২০ ফুট উঁচু টাওয়ারে স্বামী!

প্রকাশের সময় : ০৮:৩২:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

মদ্যপান নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তীব্র অশান্তি। বিষয়টি নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়াও হয়। এবার ঝগড়ার পর আর কিছুই ভালো লাগছি না স্বামীর। সোজা উঠে পড়লেন ১২০ ফুট উঁচু মোবাইল টাওয়ারের মাথায়। সেখানেই বসে থাকলেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের পাত্রগাতি গ্রামে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার

গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, পেশায় দিনমজুর সীমন্ত মাঝি। স্ত্রী মিঠু মাঝির সঙ্গে ঝগড়ার পর রাগ করে টাওয়ারে উঠে পড়েন। সীমন্তকে অতো উঁচুতে উঠতে দেখে ঘটনাস্থলে জড়ো হয় গ্রামবাসী। তারা হাজার বার অনুরোধ করেন এমনটি না করতে, নিচে নেমে আসতে। কিন্তু কারও কোনো কথা কানে তোলেননি ২৮ বছরের সেই যুবক। রাগে মোবাইল টাওয়ারের মাথাতেই বসে ছিলেন তিনি।

এরপর উপায় না পেয়ে দমকল বাহিনীকে খবর দেন স্থানীয়রা। দুটি ইঞ্জিন নিয়ে এসে ব্যর্থ হন দমকলের কর্মীরাও। সীমান্তকে নামিয়ে আনা যায়নি তখনও। শেষ পর্যন্ত খবর দিতে হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। এ সময় ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ইন্দাস থানা পুলিশ।

কিন্তু শেষ পাওয়া পর্যন্ত, দমকল ও পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সীমন্তকে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।

ঝগড়ার বিষয়ে সীমান্তের স্ত্রী মিঠু মাঝি বলেন, আমার স্বামী প্রায় দিনই মদ খেয়ে বাড়িতে বসে থাকেন। বারবার প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু কোনোভাবেই মদের আসক্তি কমানো যায়নি। আজ এমন কাণ্ড করে বসবে ভাবতে পারিনি। স্বামী টাওয়ারে উঠে পড়তেই গ্রামের সিভিককর্মীকে খবর দিয়েছিলাম। ওই সিভিককর্মীই ঘটনার কথা থানায় জানান। এর পর পুলিশ আমার স্বামীকে নামিয়ে আনার চেষ্টা করে। দমকলও নামাতে পারেনি। এখন স্বামীকে কী ভাবে নামানো হবে সেটাই চিন্তার বিষয়।

এ বিষয়ে মোবাইল টাওয়ার সংস্থার আধিকারিক পীযূষ কুমার মণ্ডল বলেন, টাওয়ারের নিচের অংশ ব্যারিকেড করে ঘেরা রয়েছে। ব্যারিকেডের দরজাতেও তালা লাগানো ছিল। কিন্তু ওই যুবক ব্যারিকেড টপকে ভেতরে ঢুকে এমন কাণ্ড করেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।