আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। স্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত চলাকালে সরকারি দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবেন বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হওয়ার পর তিনি এখন তার সরকারি দায়িত্বপালন বন্ধ করবেন বলে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ জানিয়েছেন।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) পেদ্রো সানচেজ জানান, তার স্ত্রী বেগোনা গোমেজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে, সেটা সত্য নয়। তদন্ত চলাকালে অন্তত আগামী সোমবার (২৯ এপ্রিল) পর্যন্ত সরকারি দায়িত্ব পালন থেকে নিজেকে দূরে রাখার কথা জানান তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে সানচেজ তার অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা একটি চিঠিতে লিখেছেন, আমাকে বিরতি দিতে হবে এবং ভাবতে হবে। এই প্রশ্নের উত্তর জানা আমার জরুরিভাবে দরকার… আমার কি সরকারের নেতৃত্ব দেওয়া চালিয়ে যাওয়া উচিত নাকি এই সম্মান ত্যাগ করা উচিত।
পেদ্রো সানচেজের স্ত্রী বেগোনা গোমেজ সরকারি কোনো দায়িত্বে নিযুক্ত নন। স্পেনে আইনি লড়াই চালানোর প্ল্যাটফর্ম মানোস লিমপিয়াস (ক্লিন হ্যান্ড) অভিযোগ তুলেছে, ব্যবসায়িক চুক্তি সইয়ের ক্ষেত্রে নিজের প্রভাব কাজে লাগিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পেদ্রোর স্ত্রী।
মানোস লিমপিয়াসের নেতার নাম মিগুয়েল বার্নার্ড রেমন। তিনি ডানপন্থী ব্যক্তি হিসেবে স্পেনে পরিচিত। মাদ্রিদের একটি আদালত এ প্ল্যাটফর্মের অভিযোগ আমলে নিয়েছেন। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
শুধু প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ নন, স্পেনের বিচারমন্ত্রী ফেলিক্স বোলানোস প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী বেগোনা গোমেজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকে ‘মিথ্যা’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এদিকে আদালতের সিদ্ধান্তের পরে বিচার ব্যবস্থা কাজ করছে কিনা; সংসদে এমন প্রশ্ন করা হলে সানচেজ উত্তর দেন: ‘আজকের মতো দিনে এবং এই সংবাদ শোনার পর, সবকিছু সত্ত্বেও, আমি এখনও এই দেশের বিচার ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি।’
অবশ্য স্পেনের বিচারমন্ত্রী ফেলিক্স বোলানোস নতুন অভিযোগগুলোকে ‘মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেছেন।