Dhaka বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্কুলে বসে ফেসিয়াল প্রধান শিক্ষিকার, ধরা পড়তেই কামড়ে দিলেন শিক্ষিকাকে!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ক্লাস ফাঁকি দিয়ে স্কুলে বসেই ফেসিয়াল করছিলেন প্রধান শিক্ষিকা। এক শিক্ষিকা সেই ভিডিও রেকর্ড করতেই রেগে কাঁই তিনি। ধাওয়া করলেন শিক্ষিকাকে। ধরে মারধর করলেন, এমনকী হাতে কামড়েও দিলেন। এ সংক্রান্ত ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। চলছে ব্যাপক সমালোচনা।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভারতের উত্তরপ্রদেশের উন্নাও শহরের বিঘাপুর ব্লকের একটি প্রাইমারি স্কুলে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে প্রধান শিক্ষিকার অপকর্ম ধারণ করে আহত হয়েছেন ওই সহকারী শিক্ষিকা। তার হাতে কামড়ে রক্তাক্ত করেছেন অভিযুক্ত।

জানা গেছে, সঙ্গীতা সিং নামের ওই প্রধান শিক্ষিকার ক্লাসে পাঠদানের কথা ছিল। কিন্তু তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে স্কুলটির রান্নাঘরে তাকে পাওয়া যায়। সেখানে তিনি একজনকে দিয়ে ফেসিয়াল করাচ্ছিলেন। অ্যাসিস্টেন্ট শিক্ষিকা অনম খান প্রধান শিক্ষিকার এই কাণ্ড দেখে রেগে যান। তার কাজ সকলের সামনে আনতেই তিনি ভিডিও রেকর্ড করা শুরু করেন।

মোবাইল ফোনে ভিডিও চালু রেখে রান্নাঘরের দরজা খুলে প্রবেশ করেন ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা এনাম খান। ভিডিওতে দেখা যায়, ভিডিওর বিষয়টি বুঝতে পেরে ফেসিয়াল করানো অবস্থায় হন্তদন্ত হয়ে চেয়ার থেকে উঠেন অভিযুক্ত। এরপর ভিডিওকারীর দিকে তেড়ে যান। পরের বিষয়টি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়নি।

পরে আহত শিক্ষিকা মিসেস খান আরও একটি ভিডিও করেন। সেখানে তার হাতে কামড়ের দাগ দেখান। তিনি এর বিচার দাবি করেন।

এদিকে ভুক্তভোগী পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। তিনি জানান, প্রধান শিক্ষিকা তার হাতে কামড়ে রক্তাক্ত করেছেন। পুলিশ ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে।

এ ঘটনায় ব্লকের শিক্ষা কর্মকর্তা সঙ্গীতা সিংয়ের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বিঘাপুর সার্কেল অফিসার মায়া রায় বলেন, প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে স্কুলে ফেসিয়াল এবং সহকর্মীর হাতে কামড় দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।

পুলিশের কাছে সহকারি শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষিকার ফেসিয়াল করানোর ভিডিও জমা দিয়েছেন। অভিযোগ সামনে আসার পর প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বেলক এডুকেশন অফিসার। আশ্বাস দেওয়া হয়েছে অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয় তাহলে অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

৫ হাজার বিডব্লিউটির বেশি ধারণক্ষমতার জাহাজের মূসক অব্যাহতি : প্রেস সচিব

স্কুলে বসে ফেসিয়াল প্রধান শিক্ষিকার, ধরা পড়তেই কামড়ে দিলেন শিক্ষিকাকে!

প্রকাশের সময় : ০৯:১৩:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ক্লাস ফাঁকি দিয়ে স্কুলে বসেই ফেসিয়াল করছিলেন প্রধান শিক্ষিকা। এক শিক্ষিকা সেই ভিডিও রেকর্ড করতেই রেগে কাঁই তিনি। ধাওয়া করলেন শিক্ষিকাকে। ধরে মারধর করলেন, এমনকী হাতে কামড়েও দিলেন। এ সংক্রান্ত ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। চলছে ব্যাপক সমালোচনা।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভারতের উত্তরপ্রদেশের উন্নাও শহরের বিঘাপুর ব্লকের একটি প্রাইমারি স্কুলে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে প্রধান শিক্ষিকার অপকর্ম ধারণ করে আহত হয়েছেন ওই সহকারী শিক্ষিকা। তার হাতে কামড়ে রক্তাক্ত করেছেন অভিযুক্ত।

জানা গেছে, সঙ্গীতা সিং নামের ওই প্রধান শিক্ষিকার ক্লাসে পাঠদানের কথা ছিল। কিন্তু তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে স্কুলটির রান্নাঘরে তাকে পাওয়া যায়। সেখানে তিনি একজনকে দিয়ে ফেসিয়াল করাচ্ছিলেন। অ্যাসিস্টেন্ট শিক্ষিকা অনম খান প্রধান শিক্ষিকার এই কাণ্ড দেখে রেগে যান। তার কাজ সকলের সামনে আনতেই তিনি ভিডিও রেকর্ড করা শুরু করেন।

মোবাইল ফোনে ভিডিও চালু রেখে রান্নাঘরের দরজা খুলে প্রবেশ করেন ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা এনাম খান। ভিডিওতে দেখা যায়, ভিডিওর বিষয়টি বুঝতে পেরে ফেসিয়াল করানো অবস্থায় হন্তদন্ত হয়ে চেয়ার থেকে উঠেন অভিযুক্ত। এরপর ভিডিওকারীর দিকে তেড়ে যান। পরের বিষয়টি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়নি।

পরে আহত শিক্ষিকা মিসেস খান আরও একটি ভিডিও করেন। সেখানে তার হাতে কামড়ের দাগ দেখান। তিনি এর বিচার দাবি করেন।

এদিকে ভুক্তভোগী পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। তিনি জানান, প্রধান শিক্ষিকা তার হাতে কামড়ে রক্তাক্ত করেছেন। পুলিশ ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে।

এ ঘটনায় ব্লকের শিক্ষা কর্মকর্তা সঙ্গীতা সিংয়ের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বিঘাপুর সার্কেল অফিসার মায়া রায় বলেন, প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে স্কুলে ফেসিয়াল এবং সহকর্মীর হাতে কামড় দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।

পুলিশের কাছে সহকারি শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষিকার ফেসিয়াল করানোর ভিডিও জমা দিয়েছেন। অভিযোগ সামনে আসার পর প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বেলক এডুকেশন অফিসার। আশ্বাস দেওয়া হয়েছে অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয় তাহলে অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।