Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্কুল খোলা সম্ভব না হলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান চলবে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:২১:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০
  • ১৯২ জন দেখেছেন

ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্কুল খোলা সম্ভব না হলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান চলবে। করোনোর কারণে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, ভর্তির ব্যবস্থাটাও অনলাইনে চলবে।

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি শের-ই বাংলানগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র মিলনায়তনে যুক্ত হয়ে বই বিতরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশকে উন্নত, দারিদ্রমুক্ত করে গড়ে তুলতে চাই। তাই আমরা শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। ২০১০ সালে থেকে আমরা বিনামূলে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছি।

বছরের শুরুতে নতুন বই হাতে পেলে শিক্ষার্থীদের যে আনন্দ হয়, তা থেকে শিক্ষার্থীরা যেন বঞ্চিত না হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সে জন্য আমরা বছরের প্রথম দিন থেকেই তাদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছি।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে এবছর সব শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে বই বিতরণ করা হচ্ছে না। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিন দিন করে মোট ১২দিনে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন বই বিতরণ করা হবে।
শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বই বিতরণ শুরু হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে তিন দিন করে মোট ১২ দিন ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন বই বিতরণ করা হবে।

করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পয়লা জানুয়ারি বই উৎসব না হলেও বছরের শুরুতেই এসব শিক্ষার্থী বিনামূল্যে বই পাচ্ছে। এবার ছাপা হচ্ছে প্রায় ৩৫ কোটি বই।

অন্যদিকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে এবার বইয়ের প্রচ্ছদে নতুনত্ব আনা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকের পিছনের (ব্যাক পেজ) মলাটে বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলনসহ বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন স্থিরচিত্র ক্যাপশনসহ সংযোজন করা হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০২১ সালে সর্বমোট পাঠ্যপুস্তকের সংখ্যা ১০ কোটি ২৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৫৫টি। এর মধ্যে প্রথম-দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর জন্য ২ কোটি ৫৯ লাখ ৯২ হাজার ৬৭১ টি বই, তৃতীয়-চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর জন্য ৬ কোটি ৯৬ লাখ, ৯৭ হাজার ৩৭৪ টি।

আরও পড়ুন : বৃহস্পতিবার বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

এর মধ্যে ৯৪ হাজার ২৭৫ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর (চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও সাদ্রী) শিশুদের জন্য পাঁচটি ভাষায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ১৩ হাজার ২৮৮টি বিশেষ ভাষায় বই বিতরণ করা হবে।

তবে, তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তাদের ভাষায় শুধুমাত্র বাংলা বইটি পাবে। এবছর সাঁওতাল ভাষায় পাঠ্যপুস্তক দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এবার ৯ হাজার ১৯৬ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর জন্য ব্রেইল পদ্ধতির বই বিতরণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, শিক্ষাকে মানসম্মত করার লক্ষ্যে এবং ঝরে পড়ার হার রোধ করতে ২০১০ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিবছর ১ জানুয়ারি উৎসবমুখর পরিবেশে ‘বই উৎসব’ করে আসছে। এবার বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের কারণে বই উৎসব করা সম্ভব হচ্ছে না।

কিন্তু বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীরা নতুন বইয়ের গন্ধ পাবে। গত ২০১০ সাল থেকে চলতি বছর (২০২০ সাল) পর্যন্ত এই দশবছরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলিয়ে প্রায় ৩৩১ কোটি ৪৭ লাখ বই সারাদেশে বিতরণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এছাড়া, উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যানসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়ক চার লেন দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন 

স্কুল খোলা সম্ভব না হলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান চলবে

প্রকাশের সময় : ০৬:২১:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্কুল খোলা সম্ভব না হলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান চলবে। করোনোর কারণে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, ভর্তির ব্যবস্থাটাও অনলাইনে চলবে।

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি শের-ই বাংলানগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র মিলনায়তনে যুক্ত হয়ে বই বিতরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশকে উন্নত, দারিদ্রমুক্ত করে গড়ে তুলতে চাই। তাই আমরা শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। ২০১০ সালে থেকে আমরা বিনামূলে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছি।

বছরের শুরুতে নতুন বই হাতে পেলে শিক্ষার্থীদের যে আনন্দ হয়, তা থেকে শিক্ষার্থীরা যেন বঞ্চিত না হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সে জন্য আমরা বছরের প্রথম দিন থেকেই তাদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছি।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে এবছর সব শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে বই বিতরণ করা হচ্ছে না। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিন দিন করে মোট ১২দিনে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন বই বিতরণ করা হবে।
শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বই বিতরণ শুরু হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে তিন দিন করে মোট ১২ দিন ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন বই বিতরণ করা হবে।

করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পয়লা জানুয়ারি বই উৎসব না হলেও বছরের শুরুতেই এসব শিক্ষার্থী বিনামূল্যে বই পাচ্ছে। এবার ছাপা হচ্ছে প্রায় ৩৫ কোটি বই।

অন্যদিকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে এবার বইয়ের প্রচ্ছদে নতুনত্ব আনা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকের পিছনের (ব্যাক পেজ) মলাটে বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলনসহ বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন স্থিরচিত্র ক্যাপশনসহ সংযোজন করা হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০২১ সালে সর্বমোট পাঠ্যপুস্তকের সংখ্যা ১০ কোটি ২৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৫৫টি। এর মধ্যে প্রথম-দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর জন্য ২ কোটি ৫৯ লাখ ৯২ হাজার ৬৭১ টি বই, তৃতীয়-চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর জন্য ৬ কোটি ৯৬ লাখ, ৯৭ হাজার ৩৭৪ টি।

আরও পড়ুন : বৃহস্পতিবার বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

এর মধ্যে ৯৪ হাজার ২৭৫ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর (চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও সাদ্রী) শিশুদের জন্য পাঁচটি ভাষায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ১৩ হাজার ২৮৮টি বিশেষ ভাষায় বই বিতরণ করা হবে।

তবে, তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তাদের ভাষায় শুধুমাত্র বাংলা বইটি পাবে। এবছর সাঁওতাল ভাষায় পাঠ্যপুস্তক দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এবার ৯ হাজার ১৯৬ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর জন্য ব্রেইল পদ্ধতির বই বিতরণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, শিক্ষাকে মানসম্মত করার লক্ষ্যে এবং ঝরে পড়ার হার রোধ করতে ২০১০ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিবছর ১ জানুয়ারি উৎসবমুখর পরিবেশে ‘বই উৎসব’ করে আসছে। এবার বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের কারণে বই উৎসব করা সম্ভব হচ্ছে না।

কিন্তু বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীরা নতুন বইয়ের গন্ধ পাবে। গত ২০১০ সাল থেকে চলতি বছর (২০২০ সাল) পর্যন্ত এই দশবছরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলিয়ে প্রায় ৩৩১ কোটি ৪৭ লাখ বই সারাদেশে বিতরণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এছাড়া, উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যানসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা।