Dhaka বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সৌদি যুবরাজের সঙ্গে ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ইসরায়েল-গাজা পরিস্থিতি নিয়ে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

রোববার (১৫ অক্টোবর) সৌদি আরবের যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

একজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক ভোরে মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে রিয়াদ এলাকায় রাজকীয় খামারের বাসভবনে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেছেন।

ব্লিনকেন তাঁর হোটেলে ফিরে আসার পরে বৈঠক সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেছেন, ‘খুব ফলপ্রসূ’ বৈঠক হয়েছে।

সালমানের সঙ্গে বৈঠকে হামাসের ওপর চাপের আহ্বান জানিয়েছেন ব্লিঙ্কেন। সৌদির সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ থাকলেও সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় তারা স্বাভাবিকরণের পথেই ছিল।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানিয়েছেন, ব্লিনকেন হামাসের হামলা বন্ধ, সব জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত এবং সংঘাতের বিস্তার রোধের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অটল মনোনিবেশকে তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ‘দুজন নাগরিকের সুরক্ষা এবং মধ্যপ্রাচ্য ও তার বাইরে স্থিতিশীলতা এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁদের যৌথ অঙ্গীকার নিশ্চিত করেছেন।’

এ ছাড়া সরকারি সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, যুবরাজ মোহাম্মদ পরিস্থিতি শান্ত করতে রিয়াদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে তুলে ধরেছেন। সৌদির প্রচেষ্টারা মধ্যে রয়েছে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ আঞ্চলিক নেতাদের ফোন করা।

এসপিএ বলেছে, বেসামরিকদের ওপর আক্রমণের বিরুদ্ধে যুবরাজ উপসাগরীয় দেশের নিন্দা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। সেই সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের বৈধ অধিকার পাওয়া এবং ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তি অর্জনের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধাদের ইসরায়েলে হামলার পর নতুন করে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত শুরু হয়েছে। এই হামলার জবাবে গাজায় অবিরাম বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। অবরুদ্ধ উপত্যকায় স্থল অভিযানেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। ইতোমধ্যে উত্তর গাজার ১১ লাখের বেশি মানুষকে দক্ষিণ দিকে চলে যাওয়ার নিদের্শ দিয়েছে দেশটি। এছাড়া গাজায় পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলি বোমা বর্ষণে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ২ হাজার ৩২৯ জনে পৌঁছেছে।

বৃহস্পতিবার ইসরায়েলে অবতরণের মধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু করেন বিঙ্কেন। চলমান সংঘাতের ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক উদ্যোগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। একই সঙ্গে হামাস যোদ্ধাদের হাতে জিম্মিদের মুক্ত করার উপায় নিয়েও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

শনিবার ইরান হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেছে, ইসরায়েলি বোমা বর্ষণ বন্ধ না হলে চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে।

এক মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ব্লিঙ্কেন-মোহাম্মদের বৈঠকটির ব্যাপ্তি ছিল এক ঘণ্টার কম এবং যুবরাজের ব্যক্তিগত বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, হামাসের সন্ত্রাসী হামলা বন্ধ, সব বন্দিদের মুক্তি এবং সংঘাতের ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর বিষয় তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। উভয়েই বেসামরিকদের সুরক্ষা ও মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যত্র স্থিতিশীলতা এগিয়ে নেওয়া সাধারণ প্রতিশ্রুতির বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন।

ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আকুণ্ঠ সমর্থন প্রকাশের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার এই সফর শুরু করেন ব্লিঙ্কেন। হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের লড়াইয়ে সব ধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওয়াশিংটন। রবিবার তার মিসর যাওয়ার কথা।

এর আগে শনিবারি তিনি সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গে রিয়াদে বৈঠক করেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নেপালে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সৌদি যুবরাজের সঙ্গে ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১১:০৪:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ইসরায়েল-গাজা পরিস্থিতি নিয়ে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

রোববার (১৫ অক্টোবর) সৌদি আরবের যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

একজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক ভোরে মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে রিয়াদ এলাকায় রাজকীয় খামারের বাসভবনে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেছেন।

ব্লিনকেন তাঁর হোটেলে ফিরে আসার পরে বৈঠক সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেছেন, ‘খুব ফলপ্রসূ’ বৈঠক হয়েছে।

সালমানের সঙ্গে বৈঠকে হামাসের ওপর চাপের আহ্বান জানিয়েছেন ব্লিঙ্কেন। সৌদির সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ থাকলেও সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় তারা স্বাভাবিকরণের পথেই ছিল।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানিয়েছেন, ব্লিনকেন হামাসের হামলা বন্ধ, সব জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত এবং সংঘাতের বিস্তার রোধের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অটল মনোনিবেশকে তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ‘দুজন নাগরিকের সুরক্ষা এবং মধ্যপ্রাচ্য ও তার বাইরে স্থিতিশীলতা এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁদের যৌথ অঙ্গীকার নিশ্চিত করেছেন।’

এ ছাড়া সরকারি সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, যুবরাজ মোহাম্মদ পরিস্থিতি শান্ত করতে রিয়াদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে তুলে ধরেছেন। সৌদির প্রচেষ্টারা মধ্যে রয়েছে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ আঞ্চলিক নেতাদের ফোন করা।

এসপিএ বলেছে, বেসামরিকদের ওপর আক্রমণের বিরুদ্ধে যুবরাজ উপসাগরীয় দেশের নিন্দা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। সেই সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের বৈধ অধিকার পাওয়া এবং ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তি অর্জনের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধাদের ইসরায়েলে হামলার পর নতুন করে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত শুরু হয়েছে। এই হামলার জবাবে গাজায় অবিরাম বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। অবরুদ্ধ উপত্যকায় স্থল অভিযানেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। ইতোমধ্যে উত্তর গাজার ১১ লাখের বেশি মানুষকে দক্ষিণ দিকে চলে যাওয়ার নিদের্শ দিয়েছে দেশটি। এছাড়া গাজায় পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলি বোমা বর্ষণে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ২ হাজার ৩২৯ জনে পৌঁছেছে।

বৃহস্পতিবার ইসরায়েলে অবতরণের মধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু করেন বিঙ্কেন। চলমান সংঘাতের ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক উদ্যোগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। একই সঙ্গে হামাস যোদ্ধাদের হাতে জিম্মিদের মুক্ত করার উপায় নিয়েও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

শনিবার ইরান হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেছে, ইসরায়েলি বোমা বর্ষণ বন্ধ না হলে চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে।

এক মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ব্লিঙ্কেন-মোহাম্মদের বৈঠকটির ব্যাপ্তি ছিল এক ঘণ্টার কম এবং যুবরাজের ব্যক্তিগত বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, হামাসের সন্ত্রাসী হামলা বন্ধ, সব বন্দিদের মুক্তি এবং সংঘাতের ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর বিষয় তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। উভয়েই বেসামরিকদের সুরক্ষা ও মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যত্র স্থিতিশীলতা এগিয়ে নেওয়া সাধারণ প্রতিশ্রুতির বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন।

ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আকুণ্ঠ সমর্থন প্রকাশের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার এই সফর শুরু করেন ব্লিঙ্কেন। হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের লড়াইয়ে সব ধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওয়াশিংটন। রবিবার তার মিসর যাওয়ার কথা।

এর আগে শনিবারি তিনি সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গে রিয়াদে বৈঠক করেন।