নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পারভেজ হোসেন (২৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের অনন্ত ১০ জন।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার পশ্চিম কান্দারগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থনে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পিরোজপুর ইউনিয়নের কান্দারগাঁও গ্রামে জাকির হোসেন ও জসীমউদ্দীনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারে দ্বন্দ্ব চলছিল। শুক্রবার জুমা নামাজের পর সোনারগাঁ রিজোর্ট সিটির মধ্য দিয়ে একটা রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন টেঁটা, রামদা, লাঠি সোটা নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা করে। এ সময় জাকির পক্ষের পারভেজ, রিটন, হৃদয়, রুহুল আমিন, আক্তার হোসেন, জসীমউদ্দিন পক্ষের দেলোয়ার, জামান, কামাল, মহসিন আহত হয়।
আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে পারভেজ হোসেন মারা যান। আহতদের মধ্যে রুহুল আমিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন আহতের বড় ভাই জাকির হোসেন।
স্থানীয়রা জানান, গত ১০ বছরে কান্দারগাঁও গ্রামে আধিপত্য বিস্তারে ৫টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কোম্পানির বালু ভরাট, ঠিকাদারি কাজ নিয়ে এসব হত্যাকাণ্ড হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, সোনারগাঁ রিজোর্ট সিটি, মেঘনা গ্রুপসহ ৩-৪ টি কোম্পানিতে জাকির হোসেন বালু ভরাটসহ বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজ করে থাকেন। জসীমউদ্দিন কোনো কাজ না পাওয়ার কারণে ক্ষিপ্ত ছিল। স্থানীয় মসজিদে পিরোজপুর ইউনিয়নের ভবনাথপুর থেকে কান্দারগাঁও গ্রাম পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের বিষয়টি উপস্থাপনের পর এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সোনারগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষে পারভেজ নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।