Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সৈয়দপুরে শেরেবাংলা সড়কের বেহাল দশা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নীলফামারী থেকে সৈয়দপুরে প্রবেশের প্রধান পথ শেরেবাংলা সড়কটির বেহাল দশা। ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণের এক বছর যেতে না যেতেই সড়কটির কার্পেটিং ও খোয়া উঠে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ৩৪.৮২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সৈয়দপুর পৌরসভার মোট রাস্তা ১৭০ কিলোমিটার। এর মধ্যে পাকা ১৫০ ও কাঁচা রাস্তা ২০ কিলোমিটার। নীলফামারীর কয়েকটি পৌর শহরের মধ্যে ব্যস্ততম, শিল্প ও ব্যবসায় সমৃদ্ধ শহর হিসেবে সৈয়দপুর উত্তর জনপদে পরিচিত। সেই শহরের প্রবেশদ্বার হচ্ছে ওয়াপদা মোড় থেকে পাঁচমাথা মোড় পর্যন্ত শেরেবাংলা সড়কটি। শহরের অন্যতম ব্যস্ততম এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। এই রাস্তা ছাড়া বিকল্প পথে শহরে প্রবেশ করতে হলে কমপক্ষে পাঁচ কিলোমিটার পথ ঘুরে ঢুকতে হবে।

সরেজমিন দেখা যায়, দীর্ঘ চার কিলোমিটারের এই রাস্তাটির দু-ধারে রয়েছে চারটি প্রাইমারি স্কুল, একটি মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ, এতিমখানাসহ মাদ্রাসা, রেলস্টেশন, সৈয়দপুর থানা, সরকারি খাদ্যগুদাম, সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, তিনটি বড় শপিং মল, একটি সিনেমা হল, তিন শতাধিক ছোট-বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ ঐতিহ্যবাহী চিনি মসজিদ। ব্যস্ততম এই রাস্তাটির বেহাল দশা ও অতিরিক্ত খানাখন্দের কারণে যানবাহনের যাত্রী, অসুস্থ রোগী, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন চরম দুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, হচ্ছে যানবাহনের ব্যাপক ক্ষতি।

সৈয়দপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, সংস্কারকাজ করে কোনো উপকার হবে না জেনেও চাপে পড়ে কাজ করতে হয়েছে। তবে রাস্তাটির পুনর্র্নিমাণের এস্টিমেট করা হয়েছে।
সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আক্তার জাহান বেবি বলেন, এবার এডিবির বরাদ্দ মাত্র ৫৬ লাখ টাকা। এই পরিমাণ টাকা দিয়ে সংস্কারকাজ করলেও তা স্থায়ী হবে না। ফলে আরও বরাদ্দ পেলেই রাস্তাটির অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করব।

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

সৈয়দপুরে শেরেবাংলা সড়কের বেহাল দশা

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৩:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নীলফামারী থেকে সৈয়দপুরে প্রবেশের প্রধান পথ শেরেবাংলা সড়কটির বেহাল দশা। ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণের এক বছর যেতে না যেতেই সড়কটির কার্পেটিং ও খোয়া উঠে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ৩৪.৮২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সৈয়দপুর পৌরসভার মোট রাস্তা ১৭০ কিলোমিটার। এর মধ্যে পাকা ১৫০ ও কাঁচা রাস্তা ২০ কিলোমিটার। নীলফামারীর কয়েকটি পৌর শহরের মধ্যে ব্যস্ততম, শিল্প ও ব্যবসায় সমৃদ্ধ শহর হিসেবে সৈয়দপুর উত্তর জনপদে পরিচিত। সেই শহরের প্রবেশদ্বার হচ্ছে ওয়াপদা মোড় থেকে পাঁচমাথা মোড় পর্যন্ত শেরেবাংলা সড়কটি। শহরের অন্যতম ব্যস্ততম এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। এই রাস্তা ছাড়া বিকল্প পথে শহরে প্রবেশ করতে হলে কমপক্ষে পাঁচ কিলোমিটার পথ ঘুরে ঢুকতে হবে।

সরেজমিন দেখা যায়, দীর্ঘ চার কিলোমিটারের এই রাস্তাটির দু-ধারে রয়েছে চারটি প্রাইমারি স্কুল, একটি মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ, এতিমখানাসহ মাদ্রাসা, রেলস্টেশন, সৈয়দপুর থানা, সরকারি খাদ্যগুদাম, সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, তিনটি বড় শপিং মল, একটি সিনেমা হল, তিন শতাধিক ছোট-বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ ঐতিহ্যবাহী চিনি মসজিদ। ব্যস্ততম এই রাস্তাটির বেহাল দশা ও অতিরিক্ত খানাখন্দের কারণে যানবাহনের যাত্রী, অসুস্থ রোগী, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন চরম দুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, হচ্ছে যানবাহনের ব্যাপক ক্ষতি।

সৈয়দপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, সংস্কারকাজ করে কোনো উপকার হবে না জেনেও চাপে পড়ে কাজ করতে হয়েছে। তবে রাস্তাটির পুনর্র্নিমাণের এস্টিমেট করা হয়েছে।
সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আক্তার জাহান বেবি বলেন, এবার এডিবির বরাদ্দ মাত্র ৫৬ লাখ টাকা। এই পরিমাণ টাকা দিয়ে সংস্কারকাজ করলেও তা স্থায়ী হবে না। ফলে আরও বরাদ্দ পেলেই রাস্তাটির অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করব।