Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সৈয়দপুরে ৪ ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের ভরসার একটি মাত্র সাকোঁ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সৈয়দপুরে ৪ ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের একটি মাত্র ভরসার সাকোঁ। তাও নিজ অর্থে তৈরী করতে হয়। চল্লিশ বছর ধরে এই সাকোঁর স্থানে সেতু নির্মাণে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও মিলছেনা কোন সুরাহা। তাই ভোগান্তিকে নিয়তী মেনে চলাচল করছেন পথচারিরা উপজেলার কামার পুকুর ইউনিয়নের পশ্চিম ওসুর খাই, পুর্ব অসুর খাই ও দক্ষিণ অসুর খাইয়ের মোহনার পাশে অবস্থিত কাচারি ঘাট। এর ঘাটে বয়ে গেছে চিকলী নদী। এই ঘাট থেকে সাকোঁর উপর দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষ চলাচল করে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কামার পুকুর, কাশিরাম, আলমপুর ও খাতামধুপুর ইউনিয়নের অভ্যন্তরে বসবাসকারি সকল পেশাজীবি, এবং শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন এই নড়বরে সাকোঁ দিয়ে চলাচল করছে। অনেক সময় মোটর সাইকেল,ভ্যান যাত্রীসহ পানিতে পরে আহতের ঘটনা ঘটেছে। তারপরেও কারও নজর নেই। ৪ ইউনিয়নের এই সাকোঁ মানুষের মেল বন্ধন তৈরী করেছে। তাই এটিই এখন পারাপারের ভরসা। অনেক সাংসদ এ নদী পরিদর্শন করেছেন। ভোটের সময় নির্মাণের প্রতিশ্রুদিত দেন। পরে বলেন বরাদ্দ নাই। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলেন, এমপি সাহেব ডিও লেটারর দিলে সম্ভব। এখন আমরা কোথায় গেলে এর সুরাহা পাব? এমন প্রশ্ন সকল পথচারি ও এলাকাবাসীর।

ওই ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আনছারুল হক জানান, প্রায় ৪০ বছর ধরে এখানে সেতু নির্মানের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু কেউ শুনেনা। দেশ স্বাধীনের পর থেকে প্রতিশ্রুতি পাইতে পাইতে এখন বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি। অথচ বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধু কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনার আমলে দেশে ব্যাপক ব্রীজ কালর্ভাট নির্মাণ হয়েছে। আমাদের দিকে কারও নজর না থাকায় ভোগান্তি নিয়তি হিসাবে নিয়েছি।

কামার পুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার প্রামানিক জানান, স্বাধীনের প্রায় ৫১ বছরে একাধিক সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ একাধিক দপ্তরে আবেদন করেও কোন ফলাফল পায়নি জনগণ। তাই বাধ্য হয়ে আমরাই নিজ অর্থে সাঁকোটি নির্মাণ করে চলাচল করছি।

নীলফামারী-৪ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব আদেলুর রহমানের কাছে মোবাইলে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোনটি রিসিভ না করায় কোন মতামত পাওয়া যায়নি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চাঁদাবাজি নয়, ভাঙারি দোকান দখল দ্বন্দ্বেই মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: ডিএমপি

সৈয়দপুরে ৪ ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের ভরসার একটি মাত্র সাকোঁ

প্রকাশের সময় : ১০:৪৬:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সৈয়দপুরে ৪ ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের একটি মাত্র ভরসার সাকোঁ। তাও নিজ অর্থে তৈরী করতে হয়। চল্লিশ বছর ধরে এই সাকোঁর স্থানে সেতু নির্মাণে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও মিলছেনা কোন সুরাহা। তাই ভোগান্তিকে নিয়তী মেনে চলাচল করছেন পথচারিরা উপজেলার কামার পুকুর ইউনিয়নের পশ্চিম ওসুর খাই, পুর্ব অসুর খাই ও দক্ষিণ অসুর খাইয়ের মোহনার পাশে অবস্থিত কাচারি ঘাট। এর ঘাটে বয়ে গেছে চিকলী নদী। এই ঘাট থেকে সাকোঁর উপর দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষ চলাচল করে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কামার পুকুর, কাশিরাম, আলমপুর ও খাতামধুপুর ইউনিয়নের অভ্যন্তরে বসবাসকারি সকল পেশাজীবি, এবং শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন এই নড়বরে সাকোঁ দিয়ে চলাচল করছে। অনেক সময় মোটর সাইকেল,ভ্যান যাত্রীসহ পানিতে পরে আহতের ঘটনা ঘটেছে। তারপরেও কারও নজর নেই। ৪ ইউনিয়নের এই সাকোঁ মানুষের মেল বন্ধন তৈরী করেছে। তাই এটিই এখন পারাপারের ভরসা। অনেক সাংসদ এ নদী পরিদর্শন করেছেন। ভোটের সময় নির্মাণের প্রতিশ্রুদিত দেন। পরে বলেন বরাদ্দ নাই। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলেন, এমপি সাহেব ডিও লেটারর দিলে সম্ভব। এখন আমরা কোথায় গেলে এর সুরাহা পাব? এমন প্রশ্ন সকল পথচারি ও এলাকাবাসীর।

ওই ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আনছারুল হক জানান, প্রায় ৪০ বছর ধরে এখানে সেতু নির্মানের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু কেউ শুনেনা। দেশ স্বাধীনের পর থেকে প্রতিশ্রুতি পাইতে পাইতে এখন বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি। অথচ বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধু কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনার আমলে দেশে ব্যাপক ব্রীজ কালর্ভাট নির্মাণ হয়েছে। আমাদের দিকে কারও নজর না থাকায় ভোগান্তি নিয়তি হিসাবে নিয়েছি।

কামার পুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার প্রামানিক জানান, স্বাধীনের প্রায় ৫১ বছরে একাধিক সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ একাধিক দপ্তরে আবেদন করেও কোন ফলাফল পায়নি জনগণ। তাই বাধ্য হয়ে আমরাই নিজ অর্থে সাঁকোটি নির্মাণ করে চলাচল করছি।

নীলফামারী-৪ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব আদেলুর রহমানের কাছে মোবাইলে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোনটি রিসিভ না করায় কোন মতামত পাওয়া যায়নি।