Dhaka বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেমির লড়াইয়ে টিকে রইল আফগানিস্তান

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১০:৪১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩
  • ২০১ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু। তবে এরপর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানকে হারিয়ে চমক দেখায় আফগানিস্তান। সেইসঙ্গে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখে আফগানরা। নিজেদের ষষ্ঠ এবার ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেমিফাইনালের আশা বাচিয়ে রাখলো আফগানিস্তান। লঙ্কানদের ৭ উইকেটে হারিয়েছে আফগানিস্তান।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) পুনেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ৩ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ বলে ৪৬ রান করেছেন নিশাঙ্কা। আফগানদের হয়ে ৩৪ রানে ৪ উইকেট শিকার করেছেন ফজল হক ফারুকী। জবাবে খেলতে নেমে ৪৫ ওভার ২ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান। আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ রান এসেছে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ব্যাট থেকে।

২৪২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আরও একবার সফলতার মহাকাব্য লিখেছে আফগানরা। রহমত শাহের পর হাশমতউল্লাহ-আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ২৮ বল হাতে রেখেই সাত উইকেটের ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছে আফগানিস্তান।

বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আজ শুরুটা ভালো হয়নি আফগানিস্তানের। নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসের প্রথম ওভারেই স্কোরবোর্ডে কোনো রান না উঠতেই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে হারায় তারা। তবে ইনিংসের শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া আফগানদের হয়ে এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান এবং রহমত শাহ। দুজন মিলে জুটি গড়ে স্কোরবোর্ডে তোলেন ৭৩ রান।

এরপর ৩৯ রান করে ইব্রাহিম জাদরান সাজঘরে ফিরলেও নিজের ব্যক্তিগত অর্ধশতক ঠিকই তুলে নিয়েছেন রহমত শাহ। তবে তিনিও সাজঘরে ফিরেছেন ৬২ রান করেই।তবে দলীয় ১৩১ রানে রহমত বিদায় নিলেও আর ফিরে তাকাতে হয়নি আফগানদের। দলের হয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আজমতউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে আজ বাকি কাজটা সেরেছেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ নিজেই।

ম্যাচজয়ী এক ইনিংস খেলার পথে দুজনেই আজ পেয়েছেন ব্যক্তিগত অর্ধশতকের দেখা, ছিলেন অপরাজিত। অধিনায়ক হাশমত উল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৭৪ বলে ৫৮ রান করে, অন্যদিকে আজমতুল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৬৩ বলে ৭৩ রান করে। তবে ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়েও আজ এ দুই আফগান ক্রিকেটারের বড় অর্জন বিশ্বমঞ্চে দলের তৃতীয় জয়ে অবদান রাখতে পারা।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে আজ শুরুটা ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। দলীয় ২২ রানেই এক ওপেনারকে হারায় তারা। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারেই ফজলহক ফারুকির বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে মাত্র ১৫ রান করেই বিদায় নেন দিমুথ করুণারত্নে।

শুরুতেই এক ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়া দলের হাল ধরতে এরপর ক্রিজে থাকা আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার সঙ্গী হন অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। এ দুজন মিলে আফগান বোলারদের দেখেশুনে খেলে গড়েন পাঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি। তবে উনিশতম ওভারে নিশাঙ্কা আউট হলে ৬২ রানেই ভাঙে এ জুটি। ব্যক্তিগত অর্ধশতক থেকে ৪ রান দূরে থাকতেই আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন এই লঙ্কান ওপেনার।

নিশাঙ্কার বিদায়ের পর ক্রিজে মেন্ডিসের সঙ্গী হন সাদিরা সামারাবিক্রমা। এ দুজনের তৃতীয় উইকেট জুটিতেও স্কোরবোর্ডে ওঠে পঞ্চাশ রান। এরপর দলীয় ১৩৪ রানে মুজিব উর রহমানের বলে নাজুবুল্লাহ জাদরানের হাতেক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফিরেন অধিনায়ক মেন্ডিস। সাজঘরে ফেরার আগে তিনি করেন ৫০ বলে ৩৯ রান।

এরপর সামারাবিক্রমাও আউট হন দ্রুতই। ৪০ বলে ৩৬ রান করে ত্রিশতম ওভারে দলীয় ১৩৯ রানে সাজঘরে ফিরেন এই লঙ্কান ব্যাটার। ফলে দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। এরপর চারিথ আসালাঙ্কা এবং ধনঞ্জায়া ডি সিলভার প্নচম উইকেট জুটিতে স্কোরবোর্ডে ওঠে আরও ২৮ রান। তবে এ জুটি আর বড় হতে দেননি রশিদ খান। আফগান এই লেগ স্পিনারের বলে বোল্ড আউট হয়ে ব্যক্তিগত ১৪ রানেই সাজঘরে ফিরেন ডি সিলভা।

ডি সিলভার বিদায়ের পর দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। শেষ পর্যন্ত মাহেশ থিকসানার ২৯ রানে ৪৯.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪১ রানের সংগ্রহ পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। আফগানিস্তানের হয়ে আজ সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন পেসার ফজলহক ফারুকি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সেমির লড়াইয়ে টিকে রইল আফগানিস্তান

প্রকাশের সময় : ১০:৪১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু। তবে এরপর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানকে হারিয়ে চমক দেখায় আফগানিস্তান। সেইসঙ্গে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখে আফগানরা। নিজেদের ষষ্ঠ এবার ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেমিফাইনালের আশা বাচিয়ে রাখলো আফগানিস্তান। লঙ্কানদের ৭ উইকেটে হারিয়েছে আফগানিস্তান।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) পুনেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ৩ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ বলে ৪৬ রান করেছেন নিশাঙ্কা। আফগানদের হয়ে ৩৪ রানে ৪ উইকেট শিকার করেছেন ফজল হক ফারুকী। জবাবে খেলতে নেমে ৪৫ ওভার ২ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান। আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ রান এসেছে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ব্যাট থেকে।

২৪২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আরও একবার সফলতার মহাকাব্য লিখেছে আফগানরা। রহমত শাহের পর হাশমতউল্লাহ-আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ২৮ বল হাতে রেখেই সাত উইকেটের ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছে আফগানিস্তান।

বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আজ শুরুটা ভালো হয়নি আফগানিস্তানের। নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসের প্রথম ওভারেই স্কোরবোর্ডে কোনো রান না উঠতেই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে হারায় তারা। তবে ইনিংসের শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া আফগানদের হয়ে এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান এবং রহমত শাহ। দুজন মিলে জুটি গড়ে স্কোরবোর্ডে তোলেন ৭৩ রান।

এরপর ৩৯ রান করে ইব্রাহিম জাদরান সাজঘরে ফিরলেও নিজের ব্যক্তিগত অর্ধশতক ঠিকই তুলে নিয়েছেন রহমত শাহ। তবে তিনিও সাজঘরে ফিরেছেন ৬২ রান করেই।তবে দলীয় ১৩১ রানে রহমত বিদায় নিলেও আর ফিরে তাকাতে হয়নি আফগানদের। দলের হয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আজমতউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে আজ বাকি কাজটা সেরেছেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ নিজেই।

ম্যাচজয়ী এক ইনিংস খেলার পথে দুজনেই আজ পেয়েছেন ব্যক্তিগত অর্ধশতকের দেখা, ছিলেন অপরাজিত। অধিনায়ক হাশমত উল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৭৪ বলে ৫৮ রান করে, অন্যদিকে আজমতুল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৬৩ বলে ৭৩ রান করে। তবে ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়েও আজ এ দুই আফগান ক্রিকেটারের বড় অর্জন বিশ্বমঞ্চে দলের তৃতীয় জয়ে অবদান রাখতে পারা।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে আজ শুরুটা ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। দলীয় ২২ রানেই এক ওপেনারকে হারায় তারা। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারেই ফজলহক ফারুকির বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে মাত্র ১৫ রান করেই বিদায় নেন দিমুথ করুণারত্নে।

শুরুতেই এক ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়া দলের হাল ধরতে এরপর ক্রিজে থাকা আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার সঙ্গী হন অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। এ দুজন মিলে আফগান বোলারদের দেখেশুনে খেলে গড়েন পাঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি। তবে উনিশতম ওভারে নিশাঙ্কা আউট হলে ৬২ রানেই ভাঙে এ জুটি। ব্যক্তিগত অর্ধশতক থেকে ৪ রান দূরে থাকতেই আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন এই লঙ্কান ওপেনার।

নিশাঙ্কার বিদায়ের পর ক্রিজে মেন্ডিসের সঙ্গী হন সাদিরা সামারাবিক্রমা। এ দুজনের তৃতীয় উইকেট জুটিতেও স্কোরবোর্ডে ওঠে পঞ্চাশ রান। এরপর দলীয় ১৩৪ রানে মুজিব উর রহমানের বলে নাজুবুল্লাহ জাদরানের হাতেক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফিরেন অধিনায়ক মেন্ডিস। সাজঘরে ফেরার আগে তিনি করেন ৫০ বলে ৩৯ রান।

এরপর সামারাবিক্রমাও আউট হন দ্রুতই। ৪০ বলে ৩৬ রান করে ত্রিশতম ওভারে দলীয় ১৩৯ রানে সাজঘরে ফিরেন এই লঙ্কান ব্যাটার। ফলে দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। এরপর চারিথ আসালাঙ্কা এবং ধনঞ্জায়া ডি সিলভার প্নচম উইকেট জুটিতে স্কোরবোর্ডে ওঠে আরও ২৮ রান। তবে এ জুটি আর বড় হতে দেননি রশিদ খান। আফগান এই লেগ স্পিনারের বলে বোল্ড আউট হয়ে ব্যক্তিগত ১৪ রানেই সাজঘরে ফিরেন ডি সিলভা।

ডি সিলভার বিদায়ের পর দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। শেষ পর্যন্ত মাহেশ থিকসানার ২৯ রানে ৪৯.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪১ রানের সংগ্রহ পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। আফগানিস্তানের হয়ে আজ সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন পেসার ফজলহক ফারুকি।