নিজস্ব প্রতিবেদক :
বেশ কিছুদিন থেকেই বাংলাদেশ-আমেরিকায় মূল আলচনায় রয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ। এবার এই প্রবাল দ্বীপ নিয়ে ফের নিজেদের অবস্থান তুলে ধরলো মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কখনো কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছে তারা।
সোমবার (২৬ জুন) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রধান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ নেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র কখনই বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় বসেনি।
মিলার বলেন, যেটা বলা হচ্ছে সেটা সঠিক নয়। আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি। সেন্টমার্টিন দ্বীপ দখলের জন্য যুক্তরাষ্ট্র কখনোই কোনো ধরনের আলোচনা করেনি।
ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে, সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ তুলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এই দ্বীপটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিক্রি করতে চান। সত্যিই এমন হয়েছে কিনা?
জবাবে ম্যাথিউ বলেন, আমি শুধু একটা কথাই বলব যে, এটা সঠিক নয়। আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার বিষয়ে আমরা কখনোই কোনো ধরনের আলোচনা করিনি। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্বকে আমরা গুরুত্ব দিই। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সমর্থনসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আমরা আমাদের সম্পর্ককে আরও জোরদার করার চেষ্টা করছি।
এছাড়া সম্প্রতি বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন ঠেকাতে এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সুযোগ তৈরিতে জরুরি পদক্ষেপ চেয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে লেখা যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের ছয় সদস্যের চিঠির বিষয়ে ম্যাথিউ মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়।
এর জবাবে মিলার বলেন, ‘আমি চিঠিটি দেখিনি। আমি এটা সম্পর্কে মন্তব্য করার আগে বিস্তারিত পর্যালোচনা করতে চাই।’
উল্লেখ্য, বুধবার (২১ জুন) দুপুরে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা। কারও কাছে এ দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চাই না। গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিলে আমিও ক্ষমতায় থাকতে পারতাম। এখন যদি বলি সেন্টমার্টিন দ্বীপ কারও কাছে লিজ দেবো, তাহলে ক্ষমতা থাকার কোনও অসুবিধা নেই। আমার দ্বারা এটা হবে না। আমার দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে খেলতে দেব না।
তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানে বলা আছে যে একজন নির্বাচিত সরকার প্রধান আরেকজন নির্বাচিত সরকার প্রধান দ্বারাই প্রতিস্থাপিত হবে। এটা যেমন উচ্চ আদালতের রায়ে আছে, এটা আমাদের সংবিধানেও আছে।