Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেতু নয় যেন মরণ ফাঁদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ভোলার লালমোহনে একটি সেতু যেন এক মরণফাঁদ। সেতুটির কোনো প্রান্তেই ঝুঁকিপূর্ণ কিংবা ‘সাবধান’ লেখা সাইনবোর্ড নেই। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। সেতুটির নিচের লোহার এঙ্গেল ভেঙে পড়েছে আর উপরের অংশের ইট বালু সিমেন্টের ঢালাই নেই বললেই চলে। বিভিন্ন অংশ ক্ষয় হয়ে ভেতরের রড বেরিয়ে গেছে। এর পরও সেতুটির ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ছোট যানবাহন ও এলাকাবাসী চলাচল করছে। যানবাহন উঠলেই কেঁপে ওঠে সেতুটি। যেকোনা সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

লালমোহন উপজেলা থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড ও কালমা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড রিপুজি পাড়া খালের ওপর নির্মিত এই সেতুটির পাঁচ বছর ধরে বেহাল দশা। জানা যায়, প্রায় ৩৫ বছর আগে এ সেতুটি নির্মাণ করা হলেও যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের অভাবে সেতুটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এলাকার কবির ও সিরাজ জানান, গত প্রায় ১৫ দিন আগে রাতের বেলায় একটি রিকশ উল্টে একজন পথচারী সেতু থেকে খালে পড়ে যান। তাকে উঠাতে গিয়ে আরো দু’জন খালের পানিতে পড়েছে।

এলাকাবাসী জানান, সেতু ভেঙে থাকায় স্থানীয়রা বাঁশ, গাছ ও মাটি ভর্তি বস্তা বিছিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। সেতুটির মাঝখানে ভেঙে পড়ায় বড় কোনো ধরনের যানবাহন চলছে না। যার জন্য কৃষিপণ্য নিয়ে তাদেরকে বহু পথ ঘুরে বাজারে পৌঁছতে হয়। তাই দুই এলাকার বাসিন্দাদের দাবি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করা হোক।

কালমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন হাওলাদার জানান, প্রায় ৫ বছর ধরে সেতুটি ভেঙে পড়ে আছে। সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ না থাকায় মেরামত কিংবা নতুন সেতু করা সম্ভব হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে এলজিইডির লালমোহন উপজেলা প্রকৌশলী রাজীব শাহ বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর সেতুর জন্য বরাদ্দের আবেদন করেছি। বরাদ্দ পেলে সতু নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

সেতু নয় যেন মরণ ফাঁদ

প্রকাশের সময় : ০২:৫৬:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ভোলার লালমোহনে একটি সেতু যেন এক মরণফাঁদ। সেতুটির কোনো প্রান্তেই ঝুঁকিপূর্ণ কিংবা ‘সাবধান’ লেখা সাইনবোর্ড নেই। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। সেতুটির নিচের লোহার এঙ্গেল ভেঙে পড়েছে আর উপরের অংশের ইট বালু সিমেন্টের ঢালাই নেই বললেই চলে। বিভিন্ন অংশ ক্ষয় হয়ে ভেতরের রড বেরিয়ে গেছে। এর পরও সেতুটির ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ছোট যানবাহন ও এলাকাবাসী চলাচল করছে। যানবাহন উঠলেই কেঁপে ওঠে সেতুটি। যেকোনা সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

লালমোহন উপজেলা থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড ও কালমা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড রিপুজি পাড়া খালের ওপর নির্মিত এই সেতুটির পাঁচ বছর ধরে বেহাল দশা। জানা যায়, প্রায় ৩৫ বছর আগে এ সেতুটি নির্মাণ করা হলেও যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের অভাবে সেতুটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এলাকার কবির ও সিরাজ জানান, গত প্রায় ১৫ দিন আগে রাতের বেলায় একটি রিকশ উল্টে একজন পথচারী সেতু থেকে খালে পড়ে যান। তাকে উঠাতে গিয়ে আরো দু’জন খালের পানিতে পড়েছে।

এলাকাবাসী জানান, সেতু ভেঙে থাকায় স্থানীয়রা বাঁশ, গাছ ও মাটি ভর্তি বস্তা বিছিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। সেতুটির মাঝখানে ভেঙে পড়ায় বড় কোনো ধরনের যানবাহন চলছে না। যার জন্য কৃষিপণ্য নিয়ে তাদেরকে বহু পথ ঘুরে বাজারে পৌঁছতে হয়। তাই দুই এলাকার বাসিন্দাদের দাবি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করা হোক।

কালমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন হাওলাদার জানান, প্রায় ৫ বছর ধরে সেতুটি ভেঙে পড়ে আছে। সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ না থাকায় মেরামত কিংবা নতুন সেতু করা সম্ভব হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে এলজিইডির লালমোহন উপজেলা প্রকৌশলী রাজীব শাহ বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর সেতুর জন্য বরাদ্দের আবেদন করেছি। বরাদ্দ পেলে সতু নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।