রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মরা পদ্মা নদীতে সেতু নির্মাণের কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। সেতুটি নির্মাণ দুই বছর আগে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। এতে করে নদীর দুই পারের বাসিন্দারা পারাপারে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। প্রায় ৩০ হাজার মানুষের দৈনিক যাতায়াতের একমাত্র ভরসা খেয়া নৌকা। সেতুর কাজ যথাসময়ে শেষ না হওয়ায় স্থানীদের মাঝে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়ন ও ফরিদপুর সদরের ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের মাঝখানে মরা পদ্মা নদী। খেয়া ঘাট হয়ে এই দুই উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। ঘাটের দুই পাশে একাধিক হাট-বাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। কৃষি পণ্য পরিবহন, শিক্ষার্থীদের যাতায়াত কিংবা চিকিৎসার জন্য উজানচর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের খেয়া ঘাট দিয়ে ফরিদপুর শহরে যাতায়াত করতে হয়। এক্ষেত্রে নৌকাই তাদের একমাত্র ভরসা।
তাদের যাতায়াতে সুবিধার জন্য ২০১৯ সালে এই ঘাটে একটি সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়। যা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ২৬শে জুলাই। কিন্তু সেতুটি কিছুটা নির্মাণ হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে হাজারো মানুষের ভোগান্তি যেন শেষ হচ্ছে না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বারবার তাগিদ দিলেও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানালেন উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গোলজার হোসেন মৃধা।
সেতু নির্মাণ কাজে কোন প্রকার গাফিলতি হলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানালেন উপজেলা প্রকৌশলী মো. বজলুর রহমান।
সেতুটি নির্মাণ হলে ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের সাথে গোয়ালন্দ উপজেলার সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হবে।