Dhaka রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুশাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ায় টাকা পাচার বন্ধ হয়েছে : গভর্নর

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মুনসুর বলেছেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ায় দেশ থেকে টাকা পাচার বন্ধ হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও রেমিট্যান্স প্রবাহ স্মরণকালের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনতে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ায় বছরে ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে সরকারের ।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেল ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে সেন্টার ফর এনআরবি আয়োজিত ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স’ সিরিজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দুর্নীতি ও অর্থ পাচার বন্ধ হওয়ায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। দেশের টাকা দেশে ফিরিয়ে আনতেও কাজ চলছে।

গভর্নর বলেন, গত পাঁচ মাসে দেশে রেমিট্যান্স বেড়েছে তিন বিলিয়ন আর রপ্তানি বেড়েছে ২.৫ বিলিয়ন ডলার, এখনও চার মাসের রিজার্ভ আছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

গভর্নর আরো বলেন, বাংলাদেশের মতো অর্থ পাচার ও লুটপাটের ঘটনা পৃথিবীতে বিরল যার ফলে মানুষ ব্যাংকের ওপর আস্থা হারিয়েছে। সঠিক ব্যবস্থাপনা ও আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনতে হবে। বিদেশে অবস্থানকারীরা শুধুই বাংলাদেশি, তারা আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি নয় এই বিষয়টি মাখায় রেখে বিদেশে লবিং করতে হবে। কোনো পার্টির পক্ষ থেকে নয়।

তিনি বলেন, ভেঙে পড়া ব্যাংকগুলো আবার ঢেলে সাজানের কারণে ফিরে দাঁড়াবে। আইনের সঠিক প্রয়োগ ও নৈতিকতার কারণে জনগণের আস্থা দ্রুতই ফিরবে, যারা টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে তাদের থেকে টাকা ফেরত আনতে কাজ চলছে। বিদেশিদের সহায়তাও পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের একটি প্রতিষ্ঠানই ২০ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করেছে। সব অর্থ উদ্ধারে কাজ চলছে। বিদেশিরাও সহযোগিতা করছে। পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনসহ (এফবিআই) অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

প্রবাসীদের সরাসরি ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে ড. আহসান এইচ মুনসুর বলেন, সৌদি আরবকে টপকে রেমিট্যান্স পাঠানোয় দুবাই শীর্ষে উঠেছে। এটা ভালো লক্ষণ নয়। কারণ সৌদি আরব থেকে অর্থ প্রথমে দুবাই আসছে। সেখান থেকে বাংলাদেশে আসছে। দুবাইয়ের কিছু প্রতিষ্ঠান এই সুযোগে মুদ্রা বিনিময় হার ম্যানুপুলেট করার চেষ্টা করছে।

উল্লেখ্য, সদ্য বিদায়ী ডিসেম্বর মাসে দেশে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার। একক মাস হিসাবে আগে কখনোই এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি দেশে। এ ছাড়া সদ্য বিদায়ী ২০২৪ সালে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৬৮৮ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৪৯৭ কোটি ২০ লাখ ডলার বা ২২.৬৮ শতাংশ বেশি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাকুন্দিয়ায় শরীফ হত্যা মামলার আরো এক আসামী গ্রেফতার

সুশাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ায় টাকা পাচার বন্ধ হয়েছে : গভর্নর

প্রকাশের সময় : ০১:১৮:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মুনসুর বলেছেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ায় দেশ থেকে টাকা পাচার বন্ধ হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও রেমিট্যান্স প্রবাহ স্মরণকালের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনতে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ায় বছরে ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে সরকারের ।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেল ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে সেন্টার ফর এনআরবি আয়োজিত ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স’ সিরিজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দুর্নীতি ও অর্থ পাচার বন্ধ হওয়ায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। দেশের টাকা দেশে ফিরিয়ে আনতেও কাজ চলছে।

গভর্নর বলেন, গত পাঁচ মাসে দেশে রেমিট্যান্স বেড়েছে তিন বিলিয়ন আর রপ্তানি বেড়েছে ২.৫ বিলিয়ন ডলার, এখনও চার মাসের রিজার্ভ আছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

গভর্নর আরো বলেন, বাংলাদেশের মতো অর্থ পাচার ও লুটপাটের ঘটনা পৃথিবীতে বিরল যার ফলে মানুষ ব্যাংকের ওপর আস্থা হারিয়েছে। সঠিক ব্যবস্থাপনা ও আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনতে হবে। বিদেশে অবস্থানকারীরা শুধুই বাংলাদেশি, তারা আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি নয় এই বিষয়টি মাখায় রেখে বিদেশে লবিং করতে হবে। কোনো পার্টির পক্ষ থেকে নয়।

তিনি বলেন, ভেঙে পড়া ব্যাংকগুলো আবার ঢেলে সাজানের কারণে ফিরে দাঁড়াবে। আইনের সঠিক প্রয়োগ ও নৈতিকতার কারণে জনগণের আস্থা দ্রুতই ফিরবে, যারা টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে তাদের থেকে টাকা ফেরত আনতে কাজ চলছে। বিদেশিদের সহায়তাও পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের একটি প্রতিষ্ঠানই ২০ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করেছে। সব অর্থ উদ্ধারে কাজ চলছে। বিদেশিরাও সহযোগিতা করছে। পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনসহ (এফবিআই) অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

প্রবাসীদের সরাসরি ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে ড. আহসান এইচ মুনসুর বলেন, সৌদি আরবকে টপকে রেমিট্যান্স পাঠানোয় দুবাই শীর্ষে উঠেছে। এটা ভালো লক্ষণ নয়। কারণ সৌদি আরব থেকে অর্থ প্রথমে দুবাই আসছে। সেখান থেকে বাংলাদেশে আসছে। দুবাইয়ের কিছু প্রতিষ্ঠান এই সুযোগে মুদ্রা বিনিময় হার ম্যানুপুলেট করার চেষ্টা করছে।

উল্লেখ্য, সদ্য বিদায়ী ডিসেম্বর মাসে দেশে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার। একক মাস হিসাবে আগে কখনোই এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি দেশে। এ ছাড়া সদ্য বিদায়ী ২০২৪ সালে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৬৮৮ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৪৯৭ কোটি ২০ লাখ ডলার বা ২২.৬৮ শতাংশ বেশি।