Dhaka বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুদান থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন ১৩৫ বাংলাদেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সংঘাতপূর্ণ সুদান থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা হয়ে ১৩৫ বাংলাদেশি ঢাকায় পৌঁছেছেন।

সোমবার (৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তারা। এ সময় তাদের স্বাগত জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

রোববার (৭ মে) সৗদি সময় রাত ১টার দিকে পোর্ট সুদান থেকে সৌদি এয়ারফোর্সের বিশেষ ফ্লাইটে ১৩৫ জনকে জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।

এর আগে সুদান থেকে ১৩৫ বাংলাদেশি সৌদি এয়ারফোর্সের বিশেষ তিনটি বিমানে রোববার (৭ মে) জেদ্দায় পৌঁছান।

সুদান থেকে আসা এই বাংলাদেশিদের জেদ্দা বিমানবন্দরে স্বাগত জানান সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। এ সময় জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হকও উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশি প্রবাসীদের মধ্যে এ দলই সবার আগে সশস্ত্র সংঘাতে বিশৃঙ্খল সুদান থেকে ফিরে আসছেন বলে জানিয়েছেন খার্তুমে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ।

তিনি বলেন, পোর্ট সুদান এলাকা থেকে তিনটি পৃথক ফ্লাইটে অন্য দেশের নাগরিকদের সঙ্গে জেদ্দায় পাঠানো হয়েছে।
সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে রোববার রাতে তারা জেদ্দা থেকে ঢাকা রওনা হন।

প্রথম ফ্লাইটে ৪৫, দ্বিতীয়টিতে ২৪ এবং তৃতীয়টিতে ৬৫ জন বাংলাদেশি পোর্ট সুদান থেকে জেদ্দায় পৌঁছায়। এই ১৩৫ জনের মধ্যে ১৭ জন নারী, ১১টি শিশু ও অন্তত ৮ জন অসুস্থ ব্যক্তি রয়েছেন বলে কূটনৈতিক একটি সূত্র জানিয়েছে।

এসব বাংলাদেশিদের জন্য আগে থেকেই জেদ্দা বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইংরেজি সেকশনে বিশ্রাম, খাবার ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেট তাদের সবরকম সহায়তা দেয়।

সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে কত কয়েদিন বেসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট আরএসএফের সংঘর্ষ চলছে। এই সশস্ত্র আরএসএফের নেতৃত্বে রয়েছেন ক্ষমতাধর জেনারেল হামদান দাগালো। সুদানের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে সেনা ও আরএসেফের মধ্যে এই সংঘাত।

আন্তর্জাতিক চাপে উভয়পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছালেও থেমে নেই পাল্টাপাল্টি হামলা। যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার পেছনে একে অপরকে দুষছে সেনা ও আরএসএফ। এ পরিস্থিতিতে শহরে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিচ্ছে সরকারগুলো।

উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে প্রায় ১৫০০ বাংলাদেশি বসবাস করতেন। সংঘাত শুরু হলে তাদের মধ্যে প্রায় ৭০০ জন দেশে ফিরে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরপর বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের বেশ কয়েকজনকে বাসে খার্তুম থেকে ৮৫০ কিলোমিটার দূরে পোর্ট সুদানে নিয়ে আসে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

তফসিল ঘোষণার আগেই সরকার থেকে সরে যাব : আসিফ মাহমুদ

সুদান থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন ১৩৫ বাংলাদেশি

প্রকাশের সময় : ১২:১৫:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সংঘাতপূর্ণ সুদান থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা হয়ে ১৩৫ বাংলাদেশি ঢাকায় পৌঁছেছেন।

সোমবার (৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তারা। এ সময় তাদের স্বাগত জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

রোববার (৭ মে) সৗদি সময় রাত ১টার দিকে পোর্ট সুদান থেকে সৌদি এয়ারফোর্সের বিশেষ ফ্লাইটে ১৩৫ জনকে জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।

এর আগে সুদান থেকে ১৩৫ বাংলাদেশি সৌদি এয়ারফোর্সের বিশেষ তিনটি বিমানে রোববার (৭ মে) জেদ্দায় পৌঁছান।

সুদান থেকে আসা এই বাংলাদেশিদের জেদ্দা বিমানবন্দরে স্বাগত জানান সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। এ সময় জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হকও উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশি প্রবাসীদের মধ্যে এ দলই সবার আগে সশস্ত্র সংঘাতে বিশৃঙ্খল সুদান থেকে ফিরে আসছেন বলে জানিয়েছেন খার্তুমে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ।

তিনি বলেন, পোর্ট সুদান এলাকা থেকে তিনটি পৃথক ফ্লাইটে অন্য দেশের নাগরিকদের সঙ্গে জেদ্দায় পাঠানো হয়েছে।
সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে রোববার রাতে তারা জেদ্দা থেকে ঢাকা রওনা হন।

প্রথম ফ্লাইটে ৪৫, দ্বিতীয়টিতে ২৪ এবং তৃতীয়টিতে ৬৫ জন বাংলাদেশি পোর্ট সুদান থেকে জেদ্দায় পৌঁছায়। এই ১৩৫ জনের মধ্যে ১৭ জন নারী, ১১টি শিশু ও অন্তত ৮ জন অসুস্থ ব্যক্তি রয়েছেন বলে কূটনৈতিক একটি সূত্র জানিয়েছে।

এসব বাংলাদেশিদের জন্য আগে থেকেই জেদ্দা বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইংরেজি সেকশনে বিশ্রাম, খাবার ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেট তাদের সবরকম সহায়তা দেয়।

সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে কত কয়েদিন বেসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট আরএসএফের সংঘর্ষ চলছে। এই সশস্ত্র আরএসএফের নেতৃত্বে রয়েছেন ক্ষমতাধর জেনারেল হামদান দাগালো। সুদানের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে সেনা ও আরএসেফের মধ্যে এই সংঘাত।

আন্তর্জাতিক চাপে উভয়পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছালেও থেমে নেই পাল্টাপাল্টি হামলা। যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার পেছনে একে অপরকে দুষছে সেনা ও আরএসএফ। এ পরিস্থিতিতে শহরে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিচ্ছে সরকারগুলো।

উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে প্রায় ১৫০০ বাংলাদেশি বসবাস করতেন। সংঘাত শুরু হলে তাদের মধ্যে প্রায় ৭০০ জন দেশে ফিরে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরপর বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের বেশ কয়েকজনকে বাসে খার্তুম থেকে ৮৫০ কিলোমিটার দূরে পোর্ট সুদানে নিয়ে আসে।