সিলেট জেলা প্রতিনিধি :
সিলেটের হরিপুর গ্যাসফিল্ডের ১০ নম্বর কূপে নতুন গ্যাসজোনের সন্ধান পাওয়া গেছে। কূপটিতে আনুমানিক ৪৩ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত আছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রায় পাঁচ মাস আগে ১৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে হরিপুর গ্যাসফিল্ডের ১০ নম্বর কূপের খনন শুরু হয়।
রোববার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ড্রিলিং স্টিম টেস্ট প্রক্রিয়া শুরু করেন সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের কর্মকর্তারা।
গ্যাসফিল্ডের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ২৬শ মিটার পর্যন্ত খননের পর এই কূপ থেকে গ্যাস পাওয়া গেছে। এখানে গ্যাসের যে চাপ আছে তাতে ধারণা করা হচ্ছে সর্বনিম্ন ৪৩ বিলিয়ন ঘনফুট থেকে সর্বোচ্চ ১০৬ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে কূপটি থেকে প্রতিদিন ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
জরিপের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২২ সালে ২০৩ কোটি টাকা ব্যায়ে কূপ খননের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। কূপ খননের কাজ পায় চীনের কোম্পানী সিনোপ্যাক। গত জুনের শেষ দিকে কাজ শুরু করে ৫ মাসের মাথায় রোববার সকালে উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের সন্ধান মিলে।
এদিকে পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়ার পরই কাজ শুরু করেন কর্মকর্তারা। প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে মিজানুর রহমান জানান, এখানে ৪৩.৭ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ আছে, যা থেকে দৈনিক ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা যাবে। তবে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে পাইপ লাইন তৈরি করে এই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হতে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
তার মতে এখানে মজুদ গ্যাসের সর্বনিম্ন মূল্য প্রায় ৩৬০০ কোটি টাকা। এলএনজি আমদানি মূল্যের সঙ্গে তুলনা করলে মজুদ গ্যাসের মূল্য দাড়াবে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলে এসজিএফএলের দৈনিক উৎপাদন দাঁড়াবে ১১৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।
প্রসঙ্গত, দেশের সবচেয়ে প্রাচীন গ্যাসক্ষেত্র সিলেটের হরিপুর। ১৯৫৫ সালে গ্যাসক্ষেত্রটির সন্ধান পাওয়ার পর এই অঞ্চলে প্রতিনিয়তই চলছে গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহের কাজ। সবশেষ মের্সাস স্লুমবার্গার সিয়াকো কোম্পানির ত্রিমাত্রিক জরিপে জানা যায় এই ক্ষেত্র থেকে প্রায় ৪০৬ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব। সিলেট গ্যাসফিল্ড থেকে প্রতিদিন ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হয়।
সিলেট জেলা প্রতিনিধি 




















