Dhaka বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিয়েরা লিওনের নির্বাচন নিয়ে মার্কিন ভিসানীতি ঘোষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

২০২৩ সালের পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনের নির্বাচনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দুর্বল ও কারচুপিসহ নানা অভিযোগে দেশটিতে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিয়েরা লিওন এবং সারাবিশ্বে গণতন্ত্রকে অক্ষুণ্ণ রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজ আমি ২০২৩ সালের জুন মাসে সিয়েরা লিওনের নির্বাচনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার জন্য অভিবাসন এবং জাতীয়তা আইনের ধারা ২১২(এ)(৩)সি-এর অধীনে একটি নতুন ভিসা বিধিনিষেধ নীতি ঘোষণা করছি।

ভিসা নিষেধাজ্ঞা সিয়েরা লিওনের জনগণের জন্য নয় বলেও জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ঘোষিত ভিসানীতি নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য হবে। এই সিদ্ধান্ত সিয়েরা লিওনের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে, যা জনগণের ইচ্ছা প্রদর্শন এবং গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে শক্তিশালী করে।

এই নীতির অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় কারচুপিসহ সিয়েরা লিওনে গণতন্ত্রকে দুর্বল করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তিদের জন্য ভিসা বিধিনিষেধ অনুসরণ করবে। এ ক্ষেত্রে হুমকি বা শারীরিক সহিংসতার মাধ্যমে ভোটার, নির্বাচন পর্যবেক্ষক বা সুশীল সমাজের সংগঠনকে ভয় দেখানো সিয়েরা লিওন সম্পর্কিত মানবাধিকারের অপব্যবহার বা লঙ্ঘন।

এ ধরনের ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও এই বিধিনিষেধের অধীন হতে পারে। যে ব্যক্তিরা সিয়েরা লিওনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে ২০২৩ সালের নির্বাচনের নেতৃত্বে আসবে, তারা এই নীতির অধীনে মার্কিন ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতিতে বলেন, সিয়েরা লিওনের নির্বাচনের সময় এবং এর আগে ও পরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও এই ভিসা নীতির আওতায় পড়তে পারেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই ভিসা নীতি সিয়েরা লিওনের সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। কোনো সাধারণ মানুষ সরাসরি এর আওতায় পড়বে না। যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সিয়েরা লিওনের মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।

মার্কিন স্টেট দিপার্টমেন্টে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, সিয়েরা লিওন এবং সারা বিশ্বে গণতন্ত্রকে সমর্থন ও এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র। আমি ২০২৩ সালের জুনে সিয়েরা লিওনের নির্বাচনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের অধীনে একটি নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি ঘোষণা করছি।

এর আগে বাংলাদেশ, নিকারাগুয়া, কম্বোডিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের ওপর ভিসা নীতি ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। গত মাসের শেষের দিক নিকারাগুয়ার ১০০ কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অভিনেতা সিদ্দিক ৩ দিনের রিমান্ডে

সিয়েরা লিওনের নির্বাচন নিয়ে মার্কিন ভিসানীতি ঘোষণা

প্রকাশের সময় : ০৫:৩৫:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

২০২৩ সালের পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনের নির্বাচনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দুর্বল ও কারচুপিসহ নানা অভিযোগে দেশটিতে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিয়েরা লিওন এবং সারাবিশ্বে গণতন্ত্রকে অক্ষুণ্ণ রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজ আমি ২০২৩ সালের জুন মাসে সিয়েরা লিওনের নির্বাচনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার জন্য অভিবাসন এবং জাতীয়তা আইনের ধারা ২১২(এ)(৩)সি-এর অধীনে একটি নতুন ভিসা বিধিনিষেধ নীতি ঘোষণা করছি।

ভিসা নিষেধাজ্ঞা সিয়েরা লিওনের জনগণের জন্য নয় বলেও জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ঘোষিত ভিসানীতি নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য হবে। এই সিদ্ধান্ত সিয়েরা লিওনের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে, যা জনগণের ইচ্ছা প্রদর্শন এবং গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে শক্তিশালী করে।

এই নীতির অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় কারচুপিসহ সিয়েরা লিওনে গণতন্ত্রকে দুর্বল করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তিদের জন্য ভিসা বিধিনিষেধ অনুসরণ করবে। এ ক্ষেত্রে হুমকি বা শারীরিক সহিংসতার মাধ্যমে ভোটার, নির্বাচন পর্যবেক্ষক বা সুশীল সমাজের সংগঠনকে ভয় দেখানো সিয়েরা লিওন সম্পর্কিত মানবাধিকারের অপব্যবহার বা লঙ্ঘন।

এ ধরনের ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও এই বিধিনিষেধের অধীন হতে পারে। যে ব্যক্তিরা সিয়েরা লিওনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে ২০২৩ সালের নির্বাচনের নেতৃত্বে আসবে, তারা এই নীতির অধীনে মার্কিন ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতিতে বলেন, সিয়েরা লিওনের নির্বাচনের সময় এবং এর আগে ও পরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও এই ভিসা নীতির আওতায় পড়তে পারেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই ভিসা নীতি সিয়েরা লিওনের সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। কোনো সাধারণ মানুষ সরাসরি এর আওতায় পড়বে না। যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সিয়েরা লিওনের মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।

মার্কিন স্টেট দিপার্টমেন্টে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, সিয়েরা লিওন এবং সারা বিশ্বে গণতন্ত্রকে সমর্থন ও এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র। আমি ২০২৩ সালের জুনে সিয়েরা লিওনের নির্বাচনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের অধীনে একটি নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি ঘোষণা করছি।

এর আগে বাংলাদেশ, নিকারাগুয়া, কম্বোডিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের ওপর ভিসা নীতি ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। গত মাসের শেষের দিক নিকারাগুয়ার ১০০ কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।