নিজস্ব প্রতিবেদক :
খাগড়াছড়িতে পাকা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জেলাধীন সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া থেকে আলমনি পাড়ার ২.৮ কিলোমিটার অংশে ২,৭১,৫৫,৭২১ টাকা ব্যয় বরাদ্দে রাস্তা পাকাকরণ কাজে ঠিকাদার সেলিম এন্ড ব্রাদার্স’র বিরুদ্ধে নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, বালুর পরিবর্তে পাহাড়ের মাটি ব্যবহার, পর্যাপ্ত পানি ও রোলার ব্যবহার না করা, রাতের আধারে কাজ করাসহ নানান অনিয়মের ফলে কাজ করার দুই তিনদিনের মধ্যে পাকার আস্তরণ উঠে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কিছুদিন পূর্বের ঢালাই করা অংশের অনেক স্থানে গর্ত হয়েছে এবং অনায়াসে খালি হাতে রাস্তার পাকা আস্তরণ তুলা যাচ্ছে। যদিও উপজেলা প্রকৌশলী জানিয়েছেন, কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা পার না হলে ঢালাই নরম থাকে এবং খালি হাতেও তুলা বা ভাঙ্গা যায়।
এলাকার কার্বারী ধর্ম জ্যোতি চাকমা, রিপন চাকমা, সুনায়ন চাকমাসহ অনেকে জানান, কাজের শুরু থেকে আমরা অনুরোধ করে আসছি আরেকটু ভাল করে কাজ করার জন্য । কিন্তু কোন কথা শুনছে না ঠিকাদারের লোকজন, কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এভাবে কাজ করলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই আমাদের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না। কারণ এ রাস্তাটিতে আগের চেয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হবে। এলাকার কয়েক হাজার মানুষের একমাত্র রাস্তাটির এমন হলে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে এখানকার কৃষিনির্ভর জীবন জীবিকা থমকে যাবে। বাধাগ্রস্ত হবে সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য।
কাজে অনিয়মের বিষয়ে মেসার্স সেলিম এন্ড ব্রাদার্স’র কর্ণধার মোঃ সেলিম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কাজে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। প্রকৌশলীদের নির্দেশনায় সঠিকভাবে কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কাজটি এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা’র নামে হলেও আমি বাস্তবায়ন করায় সম্পূর্ণ দায়ভার আমার।
সদর উপজেলা প্রকৌশলী রাজু আহমেদ বলেন, গত (২০২০-২১) অর্থবছরে মেসার্স এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরার নামে কাজটির কার্যাদেশ দেয়া হলেও বাস্তবায়ন করছেন মেসার্স সেলিম এন্ড ব্রাদার্স। আমি সেলিম সাহেবের সাইড ম্যানেজারকে সঠিক নিয়ম মেনে কাজ সম্পাদনের জন্য বলেছি। সার্বক্ষণিক তদারকি করছি এবং শেষ পর্যন্ত সঠিকভাবে তদারকি করা হবে।