নিজস্ব প্রতিবেদক :
ফরিদপুরের সালথার রামকান্তুপুর-ময়েনদিয়া সড়কের নারানদিয়া সেতুর একপাশের রেলিং ভেঙে মাটিতে পড়ে গেছে। অপরপাশের রেলিং অর্ধেক ভেঙে ঝুলে আছে। পলেস্তারা উঠে গিয়ে বেরিয়ে গেছে রড। সেতুটি যেন পুরোপুরি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। কাছে গিয়ে ভাঙাচোড়া ওই সেতুর দিকে তাকালে যে কেউ ভয়ে কেঁপে উঠবেন। অথচ এমন অবস্থায়ই প্রতিদিন সেতুটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজারো মানুষ ও যানবাহন। সেতুটি দ্রুত অপসারণ না করা হলে যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। এতে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাই ওইখানে নতুন একটি সেতু পুনর্র্নিমাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
রামকান্তপুর গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য নাসির তালুকদার বলেন, প্রায় ৪০ বছর আগে নির্মাণ করা হয় নারানদিয়া সেতুটি। গত ৮-১০ বছর ধরে সেতুটি ভেঙে-চুড়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। সেতুটি নিয়ে সব সময় চিন্তায় থাকি। কখন এটি ভেঙে পড়ে সেই আতঙ্কে থাকে সবাই। ওখানে নতুন একটি সেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত এলাকাবাসীর শান্তি নেই। অত্র এলাকার প্রায় ১০ হাজার লোক মনে আতঙ্ক আর ভয় নিয়ে সেতুটি ব্যবহার করছেন। আর যানবাহন চালকরা তো প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসা-যাওয়া করছেন ওই সেতুর ওপর দিয়ে।
নারানদিয়া গ্রামের ভ্যানচালক শাহজাহান কাজী ও হবি শেখ বলেন, নারানদিয়া সেতু পার হয়ে এলাকার সব চেয়ে বড় হাট ময়েনদিয়া বাজারে যেতে হয়। বিশেষ করে হাটের দিন কৃষিপণ্য ভ্যানে করে ওই সেতুর ওপর দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে বাজারে যাতায়াত করা লাগে। এ ছাড়া আতঙ্ক নিয়ে ওই সেতু ব্যবহার করে জেলা-উপজেলা সদরে চলাচল করেন স্থানীয় কয়েক গ্রামের হাজারো। সেতুটি পুনর্র্নিমাণের উদ্যোগ হিসেবে মাঝেমধ্যে মাটি পরীক্ষা করে যান কর্মকর্তা। তবে এখনো সেতুটি নির্মাণের কোনো লক্ষণ নেই। এমন অবস্থায় দ্রুত সেতুটি অপসারণ করে এখানে নতুন একটি সেতু নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি।
সালথা উপজেলা প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া বলেন, নারানদিয়ার সেতুটির বিষয় খোঁজখবর নিয়েছি। ওখানে নতুন একটি সেতু নির্মাণের জন্য ঢাকায় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো সেতুটি নির্মাণের অনুমোদন হয়নি।