নিজস্ব প্রতিবেদক :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের জামিন ও মামলা বাতিল আবেদনের শুনানির জন্য হাইকোর্টের অবকাশকালীন ছুটি শেষে আগামী অক্টোবরে মাসে সময় নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।
তার আইনজীবীদের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১৭ আগস্ট) বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের এ আদেশ দেন।
আদালতে এবিএম খায়রুল হকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এমকে রহমান, মহসীন রশিদ, কামরুল হক সিদ্দিকী, মনসরুল হক চৌধুরী, জেডআই খান পান্না, সৈয়দ মামুন মাহবুব ও মোতাহার হোসেন সাজু প্রমুখ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাসেল আহমেদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইবরাহিম খলিল প্রমুখ।
এর আগে গত ১১ আগস্ট এ মামলার শুনানি নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের ও খায়রুল হকের আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে আদালত মামলার শুনানির জন্য আজ রবিবার (১৭ আগস্ট) দিন নির্ধারণ করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ জুলাই সকালে ধানমন্ডির বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ওইদিন রাতে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২৯ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে বেআইনি রায় দেওয়া ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় করা মামলায় তাকে ভার্চুয়ালি গ্রেফতার দেখানো হয়। বিচারক হিসেবে দুর্নীতি ও বিদ্বেষমূলকভাবে বেআইনি রায় দেওয়াসহ জাল রায় তৈরির অভিযোগে শাহবাগ থানার মামলায় বুধবার তার সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, জুলাই আন্দোলনের সময় ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় আবদুল কাইয়ুম আহাদ গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যাই। এ ঘটনায় তার বাবা আলাউদ্দিন গত ৬ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪৬৭ জনকে আসামি করা হয়।
পরে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হকের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছিল।