এর আগে, বেলা ১১টায় সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এম এ মান্নানের জামিন শুনানিতে দুই পক্ষের আইনজীবীদের হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। এসময় এজলাস ছেড়ে চলে যান সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিন। পরে দুপুর আড়াইটায় শুনানির সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বর্তমানে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, উনার (এম এ মান্নান) শারীরিক নানা জটিলতা রয়েছে। বহুদিন থেকে তিনি বুকে ও পেটে ব্যথার ওষুধ সেবন করেন। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে বুঝেছেন শারীরিক সমস্যার চেয়ে মানসিক সমস্যা বেশি। একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া দরকার। এ ছাড়া এখানে বক্ষব্যাধির কোনো বিশেষজ্ঞ নেই। তাই সিলেটে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এম এ মান্নানকে ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে শান্তিগঞ্জ উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন তাকে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। তাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে শান্তিগঞ্জে সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে তার শাস্তির দাবিতে শান্তিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ শহরে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা একাধিকবার বিক্ষোভ করেছেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত এক শিক্ষার্থীর ভাই হাফিজ আলী বাদী হয়ে ৯৯ জনকে আসামি করে সুনামগঞ্জ দ্রুত বিচার আদালতে মামলা করেন। মূলত এই মামলায় কারাগারে ছিলেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।