Dhaka রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন ও শাহে আলম মুরাদ রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের হত্যা মামলায় শেরেবাংলা নগর থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সাথে রাজধানীর ধানমন্ডি থানার আব্দুল মোতালেব হত্যা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কার্যনির্বাহী সদস্য শাহে আলম মুরাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (৩০ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় আসামি তুরিনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ ফারহান ইবনে গফুর সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন। আর আসামি শাহ আলম মুরসদের মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী মোরশেদ আলম শাহীন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। আর রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আসামি তুরিনের দুই দিনের এবং মুরাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২২ জুন গভীর রাতে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের আওনা গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে তুরিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।পরের দিন এই মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৪ এপ্রিল সকাল ৭টার দিকে যুব মহিলা লীগের ১৪ থেকে ১৫ জন দুষ্কৃতিকারী শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সামনে মিছিল করে।পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। আসামিরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল ও সন্ত্রাসী সংগঠনকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পদত্যাগের দাবি করে স্বাধীন দেশের সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার ষড়যন্ত্র করে।

এ ঘটনায় ৪ এপ্রিল রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।

আর গত ১৭ এপ্রিল সকালে উত্তরা এলাকা থেকে শাহে আলম মুরাদকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। পরদিন ১৮ এপ্রিল সন্ত্রাস বিরোধী আইনে পল্টন থানার এক মামলায় তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময়ে জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে থাকা আব্দুল মোতালেব নামের এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। পরে ২৬ আগস্ট তার বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭৬ জনকে আসামি করা হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বক্তব্য দিতে গিয়ে মঞ্চে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির

সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন ও শাহে আলম মুরাদ রিমান্ডে

প্রকাশের সময় : ০১:৪২:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের হত্যা মামলায় শেরেবাংলা নগর থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সাথে রাজধানীর ধানমন্ডি থানার আব্দুল মোতালেব হত্যা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কার্যনির্বাহী সদস্য শাহে আলম মুরাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (৩০ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় আসামি তুরিনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ ফারহান ইবনে গফুর সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন। আর আসামি শাহ আলম মুরসদের মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী মোরশেদ আলম শাহীন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। আর রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আসামি তুরিনের দুই দিনের এবং মুরাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২২ জুন গভীর রাতে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের আওনা গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে তুরিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।পরের দিন এই মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৪ এপ্রিল সকাল ৭টার দিকে যুব মহিলা লীগের ১৪ থেকে ১৫ জন দুষ্কৃতিকারী শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সামনে মিছিল করে।পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। আসামিরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল ও সন্ত্রাসী সংগঠনকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পদত্যাগের দাবি করে স্বাধীন দেশের সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার ষড়যন্ত্র করে।

এ ঘটনায় ৪ এপ্রিল রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।

আর গত ১৭ এপ্রিল সকালে উত্তরা এলাকা থেকে শাহে আলম মুরাদকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। পরদিন ১৮ এপ্রিল সন্ত্রাস বিরোধী আইনে পল্টন থানার এক মামলায় তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময়ে জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে থাকা আব্দুল মোতালেব নামের এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। পরে ২৬ আগস্ট তার বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭৬ জনকে আসামি করা হয়।