Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাগরে গভীর নিম্নচাপ, সমুদ্রবন্দরে সতর্ক সংকেত

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে এক (০১) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বুধবার (১০ মে) আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি কাল ছিল চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, আজ সকালে সেটি ১৫ কিলোমিটার এগিয়ে এসে ১ হাজার ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ছিল ১ হাজার ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, এখন আছে ১ হাজার ৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ছিল ১ হাজার ৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, এখন আছে ১ হাজার ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে আছে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ছিল ১ হাজার ৫৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, এখন আছে ১ হাজার ৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে বৃহস্পতিবার (১১ মে) পর্যন্ত উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এবং পরবর্তী সময়ে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ থেকে বেড়ে ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ থেকে বেড়ে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে আগের মতোই ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হলো।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে ভারতের স্থলভাগের দিকে এগোবে। এরপর ‘মোখা’ দিক পরিবর্তন করতে পারে। দিক পরিবর্তন করে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে এটি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তখন এর গতিপথ বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের উপকূলের দিকে হতে পারে। আগামী ১৪ এপ্রিল নাগাদ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মিয়ানমারের কাইয়াকপু উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

সাগরে গভীর নিম্নচাপ, সমুদ্রবন্দরে সতর্ক সংকেত

প্রকাশের সময় : ১১:৫৬:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে এক (০১) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বুধবার (১০ মে) আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি কাল ছিল চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, আজ সকালে সেটি ১৫ কিলোমিটার এগিয়ে এসে ১ হাজার ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ছিল ১ হাজার ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, এখন আছে ১ হাজার ৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ছিল ১ হাজার ৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, এখন আছে ১ হাজার ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে আছে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ছিল ১ হাজার ৫৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, এখন আছে ১ হাজার ৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে বৃহস্পতিবার (১১ মে) পর্যন্ত উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এবং পরবর্তী সময়ে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ থেকে বেড়ে ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ থেকে বেড়ে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে আগের মতোই ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হলো।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে ভারতের স্থলভাগের দিকে এগোবে। এরপর ‘মোখা’ দিক পরিবর্তন করতে পারে। দিক পরিবর্তন করে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে এটি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তখন এর গতিপথ বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের উপকূলের দিকে হতে পারে। আগামী ১৪ এপ্রিল নাগাদ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মিয়ানমারের কাইয়াকপু উপকূল অতিক্রম করতে পারে।