Dhaka মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাইবার নিরাপত্তা আইন নতুন বোতলে পুরোনো মদ নয় : আইনমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৫:১৯:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৯৫ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন নতুন বোতলে পুরোনো মদ নয়। যারা এমনটি বলছেন তারা সমালোচনার জন্যই কেবল বলছেন। কেননা, এতে অনেক সাজা কমানো হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে সাজা বাতিল করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ রহিতকরণ এবং নতুনভাবে প্রণীত বা প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ বিষয়ক’ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে টাকা চুরি করেছে তাকে কি ধরবো না। আমাদের আইনের প্রয়োজন আছে। সাইবার জগত সুরক্ষা ও নিরাপদ করার জন্যই সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩।

তিনি বলেন, নতুন সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরে আসবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যেসব অপপ্রয়োগ হয়েছে তা নতুন আইনে থাকবে না। ফলে সাইবার নিরাপত্তা আইনে সংবাদ মাধ্যমের আর কেউ হয়রানির শিকার হবেন না।

আনিসুল হক বলেন, প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে এক পয়সা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে। তার মানে এই নয় যে জরিমানা সব সময় ২৫ লাখ টাকা হবে; বিষয়টি এমন নয়।

মন্ত্রী বলেন, অপরাধের ধরনের ওপর ভিত্তি করে বিজ্ঞ আদালত জরিমানা করবেন আইনে এটা বলা হয়েছে। সব সময় ২৫ লাখ টাকা জরিমানা হবে বিষয়টি এমন নয়। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে সব ধারায় জামিনযোগ্য করেছি। তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অধিকাংশ ছিল জামিন অযোগ্য।

মন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু মানুষ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার নিরাপত্তা আইনেকে নতুন বোতলে পুরানো মদ বলছে, এটা ঠিক নয়। যেমন ২৯ ধারা মানহানিতে জেল ছিল এটা এখন নেই , ২১ ধারায় জেল ছিল ১০ বছর এখন এটা কমে ৭ বছর হয়েছে, তাহলে এটা কি নতুন নয়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ পরিবর্তন করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ নামে নতুন যে আইন করার উদ্যোগ সরকার নিয়েছে সেটির খসড়া নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। সরকার এ ব্যাপারে দফায় দফায় ব্যাখ্যা দেওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট অনেকে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না। এ অবস্থায় সংবাদ সম্মেলনে সরকারের পক্ষ থেকে আবারও বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গত সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ পরিবর্তনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। নতুন আইনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের শাস্তি, জামিন ও জরিমানা-সংক্রান্ত কিছু ধারা নমনীয় করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সময় এটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এবার সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া নিয়েও তেমন বিতর্ক সামনে এসেছে।

এ সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবিরসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংসদ নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি হলে ব্যবস্থা নেবে দুদক : দুদক চেয়ারম্যান

সাইবার নিরাপত্তা আইন নতুন বোতলে পুরোনো মদ নয় : আইনমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৫:১৯:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন নতুন বোতলে পুরোনো মদ নয়। যারা এমনটি বলছেন তারা সমালোচনার জন্যই কেবল বলছেন। কেননা, এতে অনেক সাজা কমানো হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে সাজা বাতিল করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ রহিতকরণ এবং নতুনভাবে প্রণীত বা প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ বিষয়ক’ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে টাকা চুরি করেছে তাকে কি ধরবো না। আমাদের আইনের প্রয়োজন আছে। সাইবার জগত সুরক্ষা ও নিরাপদ করার জন্যই সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩।

তিনি বলেন, নতুন সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরে আসবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যেসব অপপ্রয়োগ হয়েছে তা নতুন আইনে থাকবে না। ফলে সাইবার নিরাপত্তা আইনে সংবাদ মাধ্যমের আর কেউ হয়রানির শিকার হবেন না।

আনিসুল হক বলেন, প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে এক পয়সা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে। তার মানে এই নয় যে জরিমানা সব সময় ২৫ লাখ টাকা হবে; বিষয়টি এমন নয়।

মন্ত্রী বলেন, অপরাধের ধরনের ওপর ভিত্তি করে বিজ্ঞ আদালত জরিমানা করবেন আইনে এটা বলা হয়েছে। সব সময় ২৫ লাখ টাকা জরিমানা হবে বিষয়টি এমন নয়। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে সব ধারায় জামিনযোগ্য করেছি। তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অধিকাংশ ছিল জামিন অযোগ্য।

মন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু মানুষ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার নিরাপত্তা আইনেকে নতুন বোতলে পুরানো মদ বলছে, এটা ঠিক নয়। যেমন ২৯ ধারা মানহানিতে জেল ছিল এটা এখন নেই , ২১ ধারায় জেল ছিল ১০ বছর এখন এটা কমে ৭ বছর হয়েছে, তাহলে এটা কি নতুন নয়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ পরিবর্তন করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ নামে নতুন যে আইন করার উদ্যোগ সরকার নিয়েছে সেটির খসড়া নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। সরকার এ ব্যাপারে দফায় দফায় ব্যাখ্যা দেওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট অনেকে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না। এ অবস্থায় সংবাদ সম্মেলনে সরকারের পক্ষ থেকে আবারও বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গত সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ পরিবর্তনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। নতুন আইনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের শাস্তি, জামিন ও জরিমানা-সংক্রান্ত কিছু ধারা নমনীয় করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সময় এটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এবার সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া নিয়েও তেমন বিতর্ক সামনে এসেছে।

এ সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবিরসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।