Dhaka মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিক নাদিম হত্যার আসামি ফের তাঁতীলীগ সভাপতির দায়িত্বে

জামালপুর জেলা প্রতিনিধি : 

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলার আসামি সহিদুর রহমান লিপনকে সভাপতি করে বকশীগঞ্জ উপজেলা তাঁতী লীগের কমিটি অনুমোদন দিয়েছে জেলা তাঁতী লীগ। সাংবাদিক হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সহিদুর রহমান লিপন উপজেলার মালিরচর তকিরপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল করিমের ছেলে।

এর আগে মামলার পর গত ১৬ জুন বকশীগঞ্জ উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতির পদ থেকে লিপনকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জামালপুর জেলা তাঁতী লীগের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রুকু ও সদস্য সচিব আরমান হোসেন সাগরের যৌথ স্বাক্ষরে আগামী ৩ বছরের জন্য সহিদুর রহমান লিপনকে বকশীগঞ্জ উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি করে দলীয় প্যাডে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করা হয়।সাংবাদিক হত্যা মামলার আসামীকে উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি করে কমিটি ঘোষণা দেয়ায় রাজনৈতিক মহলে চলে নানা আলোচনা সমালোচনা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. সহিদুর রহমান লিপন বলেন, আমি হাইকোর্ট থেকে প্রায় ২২ দিন আগে জামিন নিয়ে এসেছি। গতকাল কমিটির তালিকা ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন সাধারণ সম্পাদক। এর আগেই মনে হয় কমিটি হয়েছে।

হত্যা মামলার আসামি কীভাবে পদ ফিরে পেলেন এ বিষয়ে জানতে জামালপুর জেলা তাঁতী লীগের আহ্বায়ক আরমান হোসেন সাগরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে চান না বলেই কলটি কেটে দেন।

সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বলেন, আসামি লিপন তাঁতী লীগের উপজেলা কমিটির সভাপতির পদ ফিরে পেয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আছে লিপন। লিপন মামলার ১১ নম্বর আসামি। আমরা চাই, সুষ্ঠু বিচারের স্বার্থে তাঁতী লীগ থেকে লিপনকে বহিষ্কার করা হোক।

সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ইউসুফ আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি মামলার তদন্ত শেষ না হতে দলীয় পদ-পদবি ফিরে পাওয়ায় মামলায় ব্যাঘাত এবং ন্যায়বিচারে সমস্যা হতে পারে। এই মুহূর্তে তার পদ-পদবি ফিরে পাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নেতৃত্বে ১০-১২ জন সাংবাদিক নাদিমের ওপর হামলা করে। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাদিমের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম ২২ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। গোলাম রব্বানী নাদিম বাংলানিউজের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাংবাদিক নাদিম হত্যার আসামি ফের তাঁতীলীগ সভাপতির দায়িত্বে

প্রকাশের সময় : ০৩:০৬:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জামালপুর জেলা প্রতিনিধি : 

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলার আসামি সহিদুর রহমান লিপনকে সভাপতি করে বকশীগঞ্জ উপজেলা তাঁতী লীগের কমিটি অনুমোদন দিয়েছে জেলা তাঁতী লীগ। সাংবাদিক হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সহিদুর রহমান লিপন উপজেলার মালিরচর তকিরপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল করিমের ছেলে।

এর আগে মামলার পর গত ১৬ জুন বকশীগঞ্জ উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতির পদ থেকে লিপনকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জামালপুর জেলা তাঁতী লীগের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রুকু ও সদস্য সচিব আরমান হোসেন সাগরের যৌথ স্বাক্ষরে আগামী ৩ বছরের জন্য সহিদুর রহমান লিপনকে বকশীগঞ্জ উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি করে দলীয় প্যাডে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করা হয়।সাংবাদিক হত্যা মামলার আসামীকে উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি করে কমিটি ঘোষণা দেয়ায় রাজনৈতিক মহলে চলে নানা আলোচনা সমালোচনা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. সহিদুর রহমান লিপন বলেন, আমি হাইকোর্ট থেকে প্রায় ২২ দিন আগে জামিন নিয়ে এসেছি। গতকাল কমিটির তালিকা ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন সাধারণ সম্পাদক। এর আগেই মনে হয় কমিটি হয়েছে।

হত্যা মামলার আসামি কীভাবে পদ ফিরে পেলেন এ বিষয়ে জানতে জামালপুর জেলা তাঁতী লীগের আহ্বায়ক আরমান হোসেন সাগরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে চান না বলেই কলটি কেটে দেন।

সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বলেন, আসামি লিপন তাঁতী লীগের উপজেলা কমিটির সভাপতির পদ ফিরে পেয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আছে লিপন। লিপন মামলার ১১ নম্বর আসামি। আমরা চাই, সুষ্ঠু বিচারের স্বার্থে তাঁতী লীগ থেকে লিপনকে বহিষ্কার করা হোক।

সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ইউসুফ আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি মামলার তদন্ত শেষ না হতে দলীয় পদ-পদবি ফিরে পাওয়ায় মামলায় ব্যাঘাত এবং ন্যায়বিচারে সমস্যা হতে পারে। এই মুহূর্তে তার পদ-পদবি ফিরে পাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নেতৃত্বে ১০-১২ জন সাংবাদিক নাদিমের ওপর হামলা করে। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাদিমের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম ২২ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। গোলাম রব্বানী নাদিম বাংলানিউজের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ছিলেন।