Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরিষাবাড়িতে সেতু সংস্কার না করায় ৩ লক্ষাধিক মানুষের ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জামালপুরের সরিষাবাড়িতে ঝিনাই নদীর ওপর নির্মিত ভাঙা সেতুটি সংস্কার না করায় উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের ২০ গ্রামের প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষের নৌকা দিয়ে নদীর পার হতো গিয়ে চরম ভোগান্তি হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, ২০০ মিটার দীর্ঘ সেতুটি ২০২০ সালের বন্যায় পানির তোড়ে ভেঙে যায়। এরপর থেকে সাধারণের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। স্কুলও কলেজে শিক্ষার্থী থেকে শুরু সকল শ্রেণি পেশার মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার পশ্চিমে কামরাবাদ ইউনিয়নের শুয়াকৈর এলাকায় ঝিনাই নদীর ওপর ২০০৬ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এই সেতুটি নির্মিত হলে কামরাবাদ ইউনিয়নের স্বাধীনাবাড়ি, সোনাকান্দা, বড়বাড়িয়া,বাঘমারা,শুয়াকৈর.ছাতারিয়া, আদ্রা, চুনিয়াপটল, রৌহা, নান্দিনা, ডিগ্রি পাছবাড়ি,মাদারগঞ্জ উপজেলার সিধুলী ইউনিয়নের হাটবাড়ি,লোটাবর, রায়ের ছড়া, বারোমাইশা এবং সারিষাবান্দি উপজেলার ধারাবর্ষা,কামারপাড়া আতামারি, ও বারইপাড়া এই ২০ গ্রামের প্রায় তিন লক্ষাধিক মানুষ উপজেলা ও জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ মাধ্যম এই সেতু পারপারে মালামাল পরিবহনসহ কৃষি পণ্য বাজারজাত করণে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে স্থানীয়দের।

কামরাবাদ ইউনিয়নের চেয়াম্যান জিএস আব্দুছ সালাম বলেন, আমরা সেতুটি মেরামতের জন্য কয়েকবার মানববন্ধন করেছি। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন নিবেদন করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। অবশেষে আমরা গ্রামবাসী চাঁদা তুলে এবং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে ছোট একটা কাঠের সাঁকো করে দিয়েছি। এটা শুধু শুকনো মৌসুমে কয়েকদিনের পারাপারের জন্য। বর্ষা এলে সেটি ডুবে যায়। তখন চলাচলের নৌকা ছাড়া আর কোনো পথ থাকে না ।

শুয়াকৈর গ্রামের কলেজে শিক্ষার্থী বন্যা আক্তার বলেন, সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর আমরা পায়ে হেঁটে ৩ কিলোমিটার পথ ঘুরে কলেজে যাই। বর্ষা এলে এক কথায় লেখাপড়া বাদ দিয়ে ঘরে বসে থাকতে হয়। অথচ এই সেতুটি সংযক্ত থাকলে এই রাস্তায় মাদারগঞ্জ যেতে সময় লাগে আধা ঘণ্টা আর সরিষাবাড়িতে যেতে সময় লাগে মাত্র ছয় মিনিটি। সেতু না থাকায় এখন সময় লাগে এক ঘণ্টারও ওপরে।

একই গ্রামের বাসিন্দা বিলাত আলীসহ অনেকেই দুঃখ করে বলেন, এই গ্রামেই সরিষাবাড়ি উপজেলার প্রথম আওয়ামী লীগের সভাপতি হন মরহুম ডা. মোজাহার আলী,মরহুম গণি সরকার। তারা কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন । অথচ এই গ্রাম আজ অবহেলিত।

এলজিইডির সরিষাবাড়ির প্রকৌশলী জাহিদ হাসান বলেন, আমি শুযাকৈর গ্রামের সামনে ঝিনাই নদীর ওপর জনবহুল ভাঙা সেতুটি পরিদর্শন করেছি। এমনকি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথাও বলেছি। পরবর্তীতে কোনো প্রকল্প পাশ হলে তারা কাজটি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

সরিষাবাড়িতে সেতু সংস্কার না করায় ৩ লক্ষাধিক মানুষের ভোগান্তি

প্রকাশের সময় : ০৫:০৬:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জামালপুরের সরিষাবাড়িতে ঝিনাই নদীর ওপর নির্মিত ভাঙা সেতুটি সংস্কার না করায় উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের ২০ গ্রামের প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষের নৌকা দিয়ে নদীর পার হতো গিয়ে চরম ভোগান্তি হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, ২০০ মিটার দীর্ঘ সেতুটি ২০২০ সালের বন্যায় পানির তোড়ে ভেঙে যায়। এরপর থেকে সাধারণের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। স্কুলও কলেজে শিক্ষার্থী থেকে শুরু সকল শ্রেণি পেশার মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার পশ্চিমে কামরাবাদ ইউনিয়নের শুয়াকৈর এলাকায় ঝিনাই নদীর ওপর ২০০৬ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এই সেতুটি নির্মিত হলে কামরাবাদ ইউনিয়নের স্বাধীনাবাড়ি, সোনাকান্দা, বড়বাড়িয়া,বাঘমারা,শুয়াকৈর.ছাতারিয়া, আদ্রা, চুনিয়াপটল, রৌহা, নান্দিনা, ডিগ্রি পাছবাড়ি,মাদারগঞ্জ উপজেলার সিধুলী ইউনিয়নের হাটবাড়ি,লোটাবর, রায়ের ছড়া, বারোমাইশা এবং সারিষাবান্দি উপজেলার ধারাবর্ষা,কামারপাড়া আতামারি, ও বারইপাড়া এই ২০ গ্রামের প্রায় তিন লক্ষাধিক মানুষ উপজেলা ও জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ মাধ্যম এই সেতু পারপারে মালামাল পরিবহনসহ কৃষি পণ্য বাজারজাত করণে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে স্থানীয়দের।

কামরাবাদ ইউনিয়নের চেয়াম্যান জিএস আব্দুছ সালাম বলেন, আমরা সেতুটি মেরামতের জন্য কয়েকবার মানববন্ধন করেছি। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন নিবেদন করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। অবশেষে আমরা গ্রামবাসী চাঁদা তুলে এবং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে ছোট একটা কাঠের সাঁকো করে দিয়েছি। এটা শুধু শুকনো মৌসুমে কয়েকদিনের পারাপারের জন্য। বর্ষা এলে সেটি ডুবে যায়। তখন চলাচলের নৌকা ছাড়া আর কোনো পথ থাকে না ।

শুয়াকৈর গ্রামের কলেজে শিক্ষার্থী বন্যা আক্তার বলেন, সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর আমরা পায়ে হেঁটে ৩ কিলোমিটার পথ ঘুরে কলেজে যাই। বর্ষা এলে এক কথায় লেখাপড়া বাদ দিয়ে ঘরে বসে থাকতে হয়। অথচ এই সেতুটি সংযক্ত থাকলে এই রাস্তায় মাদারগঞ্জ যেতে সময় লাগে আধা ঘণ্টা আর সরিষাবাড়িতে যেতে সময় লাগে মাত্র ছয় মিনিটি। সেতু না থাকায় এখন সময় লাগে এক ঘণ্টারও ওপরে।

একই গ্রামের বাসিন্দা বিলাত আলীসহ অনেকেই দুঃখ করে বলেন, এই গ্রামেই সরিষাবাড়ি উপজেলার প্রথম আওয়ামী লীগের সভাপতি হন মরহুম ডা. মোজাহার আলী,মরহুম গণি সরকার। তারা কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন । অথচ এই গ্রাম আজ অবহেলিত।

এলজিইডির সরিষাবাড়ির প্রকৌশলী জাহিদ হাসান বলেন, আমি শুযাকৈর গ্রামের সামনে ঝিনাই নদীর ওপর জনবহুল ভাঙা সেতুটি পরিদর্শন করেছি। এমনকি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথাও বলেছি। পরবর্তীতে কোনো প্রকল্প পাশ হলে তারা কাজটি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।