নিজস্ব প্রতিবেদক :
অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরেই ভূত আছে, তারা শত্রুপক্ষকে চিহ্নিত না করে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (১২ নভেম্বর) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ‘জিয়াউর রহমান আর্কাইভ’ প্রকাশনা ও আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আন্দোলনের শক্তিগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন দিলেও আমরা দেখতে পাচ্ছি, সরকারের ভেতরেই দু-একটা ‘ভূত’ আছে। আমরা বারবার এ কথা বলেছি। সেই ভূতগুলো বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে।
তিনি বলেন, কিছু মিডিয়া কিছু কিছু ঘটনার প্রচার-প্রসার করে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল তথা তাদের হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডকে মিডিয়া ফলাও করে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্যদিয়ে গঠিত সংসদ ব্যতীত জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি সম্ভব নয়। যারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দাবি করছেন তারা, আইন তৈরির বৈধ প্রতিষ্ঠান সংসদের পথে না গিয়ে, ভিন্ন পথে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্রের নামে কিংবা স্বাধীনতার নামে রাজনীতি করে স্বাধীনতার মূল স্পিরিটকে ক্ষুণ্ন করেছে, ৭ নভেম্বরের বিপ্লব ছিল তাদের বিরুদ্ধে জনগণ ও সৈনিকদের সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া। বিপ্লবের মহানায়কের ভূমিকায় ছিলেন জিয়াউর রহমান। যখনই আমরা সংকটে পড়ি, ৭ নভেম্বরের চেতনা আমাদের উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানও ছিল এই অনুভূতিরই প্রকাশ।
বিএনপির এ অন্যতম মুখপাত্র বলেন, জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে হবে—তাহলে আসল কাজটি কখন করবেন? ‘বিয়ে হবে’, ‘হলুদ হয়েছে’—সব আয়োজন হলো, কিন্তু বিয়ে সিদ্ধ করার কাজ বাকি রয়ে গেল—এভাবেই কথা হচ্ছে।
‘বলা হচ্ছে- অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়ন ও সংসদীয় প্রস্তুতি প্রয়োজন। কিন্তু পার্লামেন্ট নির্বাচন আগে না হলে আইনকরণ কীভাবে সম্পূর্ণ হবে’- প্রশ্ন রাখেন তিনি।
রিজভী বলেন, নির্বাচন বিলম্ব করার কোনো কারণ নেই। বিলম্বের ফলে আমরা আজ অগণতান্ত্রিক শক্তির পুনরুজ্জীবিত হওয়ার আওয়াজ পাচ্ছি। তাদের কণ্ঠস্বর ক্রমশ বাড়ছে। অডিও-ভিডিও মাধ্যমে হিংস্র বক্তব্য প্রচার হচ্ছে; লকডাউনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে; বিদেশ থেকে আর্থিক ও রাজনৈতিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে—এসবের ছায়া দৃশ্যমান। টাকা-পয়সার অভাব নেই বিভিন্ন ব্যাংক থেকে টাকা পাচার করেছে; সেই টাকা দিয়ে বিশৃঙ্খলা করা সহজ।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্টের নিষ্ঠুরতার চেহারা অনেক আগেই ছিল। তারা রাষ্ট্রক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের জঘন্য কাজ করেছে—বাসে আগুন দেয়া, মানুষ পুড়িয়ে হত্যাকাণ্ড ইত্যাদি। বিরোধীরা নিধনের মতো অপকর্মের ভুক্তভোগী হলেও আমরা বলেছি এগুলো সরকার করিয়েছে—এ দাবি আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি। কুমিল্লার বাসে আগুন, রংপুরের বাসে আগুন, ঢাকায় বাসে আগুন—এগুলো পরিকল্পিত।
‘কয়েকদিন পর আবার একই ধরনের ঘটনা দেখা যাবে বাসে আগুন, চালককে পুড়িয়ে মারাসহ ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় সহিংসতা। ময়মনসিংহে একজন মিনিবাস চালককে পুড়িয়ে মারা হয়েছে’- যোগ করেন রিজভী।
নিজস্ব প্রতিবেদক 























