নিজস্ব প্রতিবেদক :
সরকারের দুর্নীতি-লুটপাটে ব্যাংকগুলো খালি, নিঃস্ব করে ফেলা হয়েছে। টাকা ছাপিয়ে সংকট উত্তরণের জন্য ব্যাংকে সরবরাহ করা হচ্ছে যা নতুন করে লুটের আয়োজন হবে বলে জানিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) গণসংহতি আন্দোলনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব কথা বলেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।
তারা বলেন, অর্থনৈতিক পরিস্থিত ভেঙে পড়ার ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের ভেতরে থাকা সিন্ডিকেটের দাপটে নিত্যপণ্য ও খাদ্য সামগ্রীর মূল্য মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর দাম বাড়তে শুরু হয়েছে।
তারা অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত প্রাণঘাতী সীমান্তে পরিণত হয়েছে। এই সীমান্তে গত বছর ৩১ জন বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আহত হয়েছে অনেকে। এমনকি বিজিবি সদস্যকেও হত্যা করে সীমান্তের ওপারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এ ঘটনার নিন্দা করতে ও জবাবদিহিতা চাইতেও ব্যর্থ হয়েছে সরকার। অগণতান্ত্রিক ও ভোটবিহীন সরকার সীমান্তে মানুষের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
সভায় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘ডামি’ নির্বাচন আখ্যা দিয়ে দাবি করেছেন– গতকাল মঙ্গলবার ডামি সংসদ অধিবেশন বসেছে। এটি দেশের মানুষের ভোটাধিকারসহ সব অধিকার হরণ করার সংসদ। সাংবিধানিকভাবে অবৈধ নির্বাচন ও সরকারের কার্যভার গ্রহণের মাধ্যমে দেশকে স্থায়ী সংকটে ফেলা হয়েছে। ডামি নির্বাচন ও ডামি সংসদের প্রতিবাদে যখন বিরোধী দলগুলো প্রতিবাদ মিছিল করেছে, এক অজানা আশঙ্কায় রাষ্ট্রের দিক থেকে বাধা দেওয়া হয়েছে। গতকাল গণতন্ত্রমঞ্চ, বিএনপিসহ সব বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে হামলা করা হয়েছে, আহত করা হয়েছে, আটক করা হয়েছে এবং কর্মসূচি বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়েছে।
মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসার পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।