Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকারের কোনো অস্তিত্ব নেই: দুদু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৩৮:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৮৬ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এই সরকারের তো কোনো অস্তিত্ব নেই। কোনো সরকার থাকলে কি হাজার হাজার, লাখ লাখ কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার হয়? সব থেকে খারাপ সরকার থাকলেও তো এত টাকা পাচার হওয়ার কথা নয়। তার মানে বোঝা যায় এই সরকারের কোনো অস্তিত্ব নেই। তারা নামে মাত্র সরকার, এই সরকারকে কেউ মানে না। গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মতো একজন নেতাকে কীভাবে মাটিতে ফেলে পেটানো হয়েছে তা পত্র-পত্রিকাতে এসেছে।’

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এবং কেন্দ্রীয় বিভিন্ন নেতার সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তারেক রহমানকে কথা নেই, বার্তা নেই দিন রাতে কোর্ট বসিয়ে আপনারা সাজা দিয়ে দিলেন। তাকে এত ভয় কেন? আমরা তো আপনার (প্রধানমন্ত্রী) সম্মানজনক একটা বিদায়ের ব্যবস্থা করছিলাম। এ কারণে আমরা আপনার পদত্যাগের দাবি করেছি। পদত্যাগ করলে আপনি সহিসালামতে একটি ভালো জায়গায় যেতে পারতেন। গণঅভ্যুত্থানে যদি পতন হয়, তাহলে আপনার অবস্থা কোন জায়গায় কীভাবে দাঁড়াবে চিন্তা করেছেন? ১৯৭৯ সলের গণঅভ্যুত্থান দেখেননি আইয়ুব খানের কীভাবে পতন হয়েছে, ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থান দেখেননি এরশাদের কীভাবে পতন হয়েছে?

তিনি বলেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মতো একজন নেতাকে কিভাবে মাটিতে ফেলে পেটানো হয়েছে পত্র-পত্রিকায় এসেছে। হঠাৎ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের উত্থান হয়নি, তিনি সাবেক ছাত্র নেতা, যুব নেতা ও সাবেক মন্ত্রী। আমান উল্লাহ আমান গণঅভ্যুত্থানের নেতা, হঠাৎ করে উনার উত্থান হয়নি। তাকে চ্যাংদোলা করে নিয়ে গিয়ে ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে প্রতিনিধি দল এলো ফুল দিতে। আপনার কি ইয়ার্কি করেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সামনে খাবারের টেবিলে খাবার রেখে সারা দেশে প্রচার করলেন। আমরা তো গ্রেফতার হয়ে অনেকবার গিয়েছি ডিবি অফিসে। কই তখন তো ছবি তুলেননি, খাবার খাওয়াননি। ইয়ারকি করেন আপনারা?

তিনি আরো বলেন, আমাদের একটাই দাবি বেগম জিয়াকে ভালোয় ভালোয় ছেড়ে দিন। আর যদি না ছাড়েন তাহলে জনতা তাকে জেল ভেঙে মুক্ত করে নিয়ে আসবে। এখন পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী আপনি একটু বোঝার চেষ্টা করুন। আপনি সরকারি কর্মচারীদের আশ্বস্ত করতে চেয়েছেন, তারা যেন ভয় না পায়। ভয় তো ছায়ার মতো আপনার চারদিকে ঘোরাঘুরি করছে। এটা দেশবাসী ও সরকারি কর্মকর্তারাও জানেন। এজন্য সরকারি কর্মকর্তারা আপনার কথায় আশ্বস্ত হতে চাচ্ছেন না।

এ সময় তিনি পুলিশ বাহিনীর ব্যাপারে বলেন, পুলিশের শতকরা পাঁচজন বাদে বাকি ৯৫ জনই ভালো ছিল। পুলিশ সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধ করেছে। একসময় পুলিশ সুনামের অধিকার ছিল। তবে বর্তমানে পুলিশকে সরকার অপরাধী হিসেবে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। সরকার অপরাধীদের প্রোমোশন দেয়। লজ্জা লাগে আমাদের।

তারেক রহমানকে মামলা থেকে রেহাইয়ের দাবি জানিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই দিন। তার বিরুদ্ধে থাকা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। আর জুবায়দা রহমানের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চান। যাকে খুশি আপনি (প্রধানমন্ত্রী) মামলা দিচ্ছেন। একটু ভাবেন তো এক কিংবা দুই মাস পরে তো ক্ষমতায় থাকবেন না। পৌনে দুই লাখ মামলায় ৪০ লাখ মানুষকে আসামি করা হয়েছে। আমরা যদি কোর্টে হাজিরা না দেই, আমরা যদি জেলখানার সামনে যাই, তাহলে ৪০ লাখ মানুষকে কোথায় রাখবেন। এখনো সময় থাকতে সুন্দরভাবে প্রস্থানের জন্য পদত্যাগ করুন। আর না করলে অমর্যাদাকর পরিস্থিতি আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। সেটা আপনার জন্য ভালো হবে না। কারণ শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা আপনি। আমরা আপনার খারাপ চাই না।

জাতীয়তাবাদী নাগরিক দলের সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় গণঅধিকার পরিষদের (একাংশের) সভাপতি রেজা কিবরিয়া, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, তাঁতী দলের যুগ্ম আহবায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষকদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট, এসকে সাদী, মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

সরকারের কোনো অস্তিত্ব নেই: দুদু

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৮:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এই সরকারের তো কোনো অস্তিত্ব নেই। কোনো সরকার থাকলে কি হাজার হাজার, লাখ লাখ কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার হয়? সব থেকে খারাপ সরকার থাকলেও তো এত টাকা পাচার হওয়ার কথা নয়। তার মানে বোঝা যায় এই সরকারের কোনো অস্তিত্ব নেই। তারা নামে মাত্র সরকার, এই সরকারকে কেউ মানে না। গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মতো একজন নেতাকে কীভাবে মাটিতে ফেলে পেটানো হয়েছে তা পত্র-পত্রিকাতে এসেছে।’

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এবং কেন্দ্রীয় বিভিন্ন নেতার সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তারেক রহমানকে কথা নেই, বার্তা নেই দিন রাতে কোর্ট বসিয়ে আপনারা সাজা দিয়ে দিলেন। তাকে এত ভয় কেন? আমরা তো আপনার (প্রধানমন্ত্রী) সম্মানজনক একটা বিদায়ের ব্যবস্থা করছিলাম। এ কারণে আমরা আপনার পদত্যাগের দাবি করেছি। পদত্যাগ করলে আপনি সহিসালামতে একটি ভালো জায়গায় যেতে পারতেন। গণঅভ্যুত্থানে যদি পতন হয়, তাহলে আপনার অবস্থা কোন জায়গায় কীভাবে দাঁড়াবে চিন্তা করেছেন? ১৯৭৯ সলের গণঅভ্যুত্থান দেখেননি আইয়ুব খানের কীভাবে পতন হয়েছে, ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থান দেখেননি এরশাদের কীভাবে পতন হয়েছে?

তিনি বলেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মতো একজন নেতাকে কিভাবে মাটিতে ফেলে পেটানো হয়েছে পত্র-পত্রিকায় এসেছে। হঠাৎ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের উত্থান হয়নি, তিনি সাবেক ছাত্র নেতা, যুব নেতা ও সাবেক মন্ত্রী। আমান উল্লাহ আমান গণঅভ্যুত্থানের নেতা, হঠাৎ করে উনার উত্থান হয়নি। তাকে চ্যাংদোলা করে নিয়ে গিয়ে ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে প্রতিনিধি দল এলো ফুল দিতে। আপনার কি ইয়ার্কি করেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সামনে খাবারের টেবিলে খাবার রেখে সারা দেশে প্রচার করলেন। আমরা তো গ্রেফতার হয়ে অনেকবার গিয়েছি ডিবি অফিসে। কই তখন তো ছবি তুলেননি, খাবার খাওয়াননি। ইয়ারকি করেন আপনারা?

তিনি আরো বলেন, আমাদের একটাই দাবি বেগম জিয়াকে ভালোয় ভালোয় ছেড়ে দিন। আর যদি না ছাড়েন তাহলে জনতা তাকে জেল ভেঙে মুক্ত করে নিয়ে আসবে। এখন পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী আপনি একটু বোঝার চেষ্টা করুন। আপনি সরকারি কর্মচারীদের আশ্বস্ত করতে চেয়েছেন, তারা যেন ভয় না পায়। ভয় তো ছায়ার মতো আপনার চারদিকে ঘোরাঘুরি করছে। এটা দেশবাসী ও সরকারি কর্মকর্তারাও জানেন। এজন্য সরকারি কর্মকর্তারা আপনার কথায় আশ্বস্ত হতে চাচ্ছেন না।

এ সময় তিনি পুলিশ বাহিনীর ব্যাপারে বলেন, পুলিশের শতকরা পাঁচজন বাদে বাকি ৯৫ জনই ভালো ছিল। পুলিশ সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধ করেছে। একসময় পুলিশ সুনামের অধিকার ছিল। তবে বর্তমানে পুলিশকে সরকার অপরাধী হিসেবে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। সরকার অপরাধীদের প্রোমোশন দেয়। লজ্জা লাগে আমাদের।

তারেক রহমানকে মামলা থেকে রেহাইয়ের দাবি জানিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই দিন। তার বিরুদ্ধে থাকা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। আর জুবায়দা রহমানের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চান। যাকে খুশি আপনি (প্রধানমন্ত্রী) মামলা দিচ্ছেন। একটু ভাবেন তো এক কিংবা দুই মাস পরে তো ক্ষমতায় থাকবেন না। পৌনে দুই লাখ মামলায় ৪০ লাখ মানুষকে আসামি করা হয়েছে। আমরা যদি কোর্টে হাজিরা না দেই, আমরা যদি জেলখানার সামনে যাই, তাহলে ৪০ লাখ মানুষকে কোথায় রাখবেন। এখনো সময় থাকতে সুন্দরভাবে প্রস্থানের জন্য পদত্যাগ করুন। আর না করলে অমর্যাদাকর পরিস্থিতি আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। সেটা আপনার জন্য ভালো হবে না। কারণ শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা আপনি। আমরা আপনার খারাপ চাই না।

জাতীয়তাবাদী নাগরিক দলের সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় গণঅধিকার পরিষদের (একাংশের) সভাপতি রেজা কিবরিয়া, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, তাঁতী দলের যুগ্ম আহবায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষকদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট, এসকে সাদী, মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ বক্তব্য দেন।