চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সরকারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে, যাতে দ্রব্যমূল্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে। সামনের রমজানে মানুষ যাতে স্বস্তির মধ্যে থাকে সে জন্য সরকারের চেষ্টার পাশাপাশি সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। না হয়, সরকারের একার পক্ষে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় চাঁদপুর শহরের হাসান আলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন যেমন কাজ করবে, তেমনি আমাদের যে ব্যবসায়ী সমিতি আছে তারাও যদি সঠিকভাবে কাজ করে তাহলে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা সম্ভব। এছাড়া অন্য যে সব সমস্য রয়েছে সেগুলো নিয়ে সরকার কাজ করছে।
দীপু মনি বলেন, এক শ্রেণির ব্যবসায়ী শুধু যে রোজায় তা নয়- সারা বছরই অধিক মুনাফার লোভে বাজার অস্থিতিশীল করে রাখে। তাই সবার সম্মিলিত চেষ্টায় এমন পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে হবে। কারণ, ইসলাম মানুষকে মূল্যবোধের শিক্ষা দেয়। মানুষকে জিম্মি কিংবা হয়রানি করে ব্যবসা নয়।
তিনি বলেন, শুধু লেবাসে নয়, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে মজুতদারির অতিরিক্ত মুনাফার প্রবণতা থাকে না। এ ব্যাপারে ব্যক্তিগত জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে।
তিনি আর বলেন, আমরা ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে ধর্মীয় পোশাকের ব্যাপারে যতটা মনোযোগী, আমরা যদি ধর্মীয় আচরণের ব্যাপারে আরেকটু মনোযোগী হই, তাহলে কিন্তু এই মজুতদারি থাকে না এবং অতিরিক্ত মুনাফার বিষয়টিও থাকে না। বিশেষ করে রমজান মাসে। রমজান সংযমের সময়। আমরা যেন সব ক্ষেত্রে অর্থাৎ ব্যবসায়ী-ক্রেতাসহ সবাই যেন সংযম থাকি।
দীপু মনি বলেন, ধর্ম হচ্ছে চর্চার বিষয়। আমি শুধু বাহিরে পোশাকে দেখালাম, কিন্তু ধর্মের যে মূল মূল্যবোধ তার যদি চর্চা না করি, তাহলে আমরা খুব ভালো করতে পারব না। ধর্মীয় এই চর্চা যদি অব্যাহত রাখি তাহলে শুধু রোজার সময় নয়, সারা বছরও কিছু লোক মানুষকে কষ্ট দেয়, সেটি আর থাকবে না। সবার সহযোগিতা প্রয়োজন এবং সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। শুধু সরকার একা কিছু করতে পারে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত সজিব, সদর উপজেলা সরকারী কমিশনার (ভূমি) হেদায়েত উল্লাহ শ্রাবণ ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মানছুর আহমেদ।