নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশব্যাপী সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচির কারণে আওয়ামী লীগের জনসমর্থন আগের চেয়ে বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে অনুষ্ঠেয় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনী সুধী সমাবেশের আয়োজনস্থল ঘুরে দেখে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন কথা শুনতে অভ্যস্ত নয়, কাজ দেখতে অভ্যস্ত। আওয়ামী লীগ কথা দিয়ে কথা রাখে সেটা সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রমাণিত। শেখ হাসিনার সরকারের সেই উন্নয়ন কর্মসূচির কারণে আওয়ামী লীগের জনসমর্থন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ কথায় নয়, কাজে বিশ্বাস করে। মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার ইতোমধ্যেই তা প্রমাণ করেছে। দেশের মানুষ এখন কথা শুনতে অভ্যস্ত নয়, কাজ দেখতে অভ্যস্ত। আওয়ামী লীগ কথা দিয়ে কথা রাখে সেটা সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রমাণিত। শিগগিরই মেট্রোরেলের মতিঝিল পর্যন্ত অংশটি চালু হবে। এটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেট্রোরেল-এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ উন্নয়নের সুবিধা পাবে ঢাকাবাসী।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বিএনপির কর্মসূচির ওপর নেতা-কর্মী ও দেশের জনগণের কোন সমর্থন নেই। কালো পতাকা নিয়ে যে মিছিল হয়, সেটা শোক মিছিল। এ মিছিল দিয়ে উত্তাল পরিস্থিতি সৃষ্টি সম্ভব নয়। সরকার পতন তো দূরে থাক, বিএনপি নিজেদের অস্তিত্ব সংকট নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস কিংবা সহিংসতা সৃষ্টির বিরুদ্ধে জনগণের জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগ সতর্ক অবস্থান রয়েছে।
কাদের বলেন, দেশে আন্দোলনের বস্তুগত পরিস্থিতি বিরাজমান নেই। আন্দোলন করতে যে সাবজেক্টিভ প্রিপারেশন, তা-ও নেই। বিএনপি শুরুতে যে জোট, সমমনাদের সম্মিলন ঘটিয়েছিল, তা এখন আর নেই। এখন দলে দলে নানা বিভক্তি। বিএনপি সরকারের পতন তো দূরে থাক, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা নিয়েই দুশ্চিন্তায় আছে।
তিনি বলেন, আমরা মনে করছি না যে এমন কোন আঘাত আসবে, যা সামলানোর ক্ষমতা আমাদের নেই। আমরা প্রস্তুত, আমাদের প্রস্তুতি একদিন দুদিনের নয়। আমরা বলেছি আগামী নির্বাচন পর্যন্ত আমরা প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত আমাদের সতর্ক পাহারা থাকবে, যাতে আন্দোলনে নামে কোনো ধরনের সন্ত্রাস-সহিংসতা এবং মানুষের জীবনের নিরাপত্তা সংকট না হয়। বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। এই শান্তিপূর্ণ অবস্থা ও অবস্থান আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এবং নির্বাচনের পরেও বজায় থাকবে।
বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট এখন ১০ মিনিটের ব্যাপার উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট-তেজগাঁও রেলস্টেশন পর্যন্ত ১০-১১ মিনিটে কভার করবে। এখানে অনেক যাত্রী আসা-যাওয়া করবেন। এর সুফল অবশ্যই পাবে রাজধানীবাসী। এর সঙ্গে যখন মতিঝিল পর্যন্ত উদ্বোধন হয়ে যাবে, তখন সুফল অনেক বেড়ে যাবে এবং ঢাকা আরও আধুনিক শহরে রূপ নেবে। যান চলাচল আরও একটু সহজ হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের ৬৫ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। এখন যে অংশ উদ্বোধন হচ্ছে না, সেখানেও অনেক কাজ হয়ে গেছে। আমরা আশা করছি আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পুরোটা চালু করতে পারবো। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এয়ারপোর্ট থেকে ফার্মগেট, ফার্মগেট থেকে মগবাজার, মগবাজার থেকে কুতুবখালি পর্যন্ত গন্তব্য। পুরো অংশের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। র্যাম্পসহ মোট ৪৬ কিলোমিটার।
তিনি আরও বলেন, এখন দেশের মানুষ পদ্মা সেতুর সুফল যেমন পাচ্ছে, উত্তরা থেকে আগারগাও পর্যন্ত মেট্রোরেলেরও যথেষ্ট সুফল পেতে শুরু করেছে। মেট্রোরেলের মতিঝিল পর্যন্ত প্রথম ট্রায়াল আমি উদ্বোধন করেছি। মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেট্রোরেল এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এই অংশ উদ্বোধন করার পর এর সুফল নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বিএম মোজাম্মেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।