Dhaka রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক হয়নি, দুর্বলতা ছিল : তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরকারি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ নাগরিকের তথ্য ফাঁস হওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সরকারি কোনো ওয়েবসাইট হ্যাক হয়নি। এটা ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের কারণে নয়, বরং কারিগরি ত্রুটির কারণে সিস্টেমে দুর্বলতা থাকায় এটা হয়েছে। এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।

রোববার (৯ জুলাই) সকালে বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি অডিটোরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, আমরা দেখেছি, কারিগরি ত্রুটি ছিল। যে কারণেই তথ্যগুলো মানুষের কাছে উন্মুক্ত হয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, ওয়েবসাইটটির নিজস্ব দুর্বলতার কারণে যে কেউ এই ব্যক্তিগত উপাত্ত দেখার সুযোগ পেয়ে যান। তিনি ওয়েবসাইটটির নাম বলেননি।

দায় এড়ানোর সুযোগ নেই জানিয়ে পলক বলেন, আগে থেকে প্রস্তুতি থাকলে তারপর ঘটনা ঘটলে কিছু বলা যায়। কিন্তু যথাযথ প্রস্তুতি না নেওয়ার পর ক্ষতি হয়ে গেলে সেই দায়ভার এড়ানো যায় না।

সরকারি সংস্থাগুলোর নিরাপত্তা দুর্বলতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীন গত বছরের অক্টোবরে ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো‘ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ই-মেইল করা হয়। দুঃখজনকভাবে কেউ কেউ জবাব দেয় না। নির্দেশনা অনুসরণ করে না।

পলক বলেন, আগে সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ব্যয় সাশ্রয়কেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হতো। এখন বোঝা যাচ্ছে উপাত্ত হতে যাচ্ছে নতুন মুদ্রা। আমাদের ব্যয় সাশ্রয় করতে হবে, পাশাপাশি উপাত্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

মানুষকে সচেতন করা, তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সক্ষমতা ও দক্ষ জনবল বাড়ানো, আইন ও নির্দেশিকার বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২৯টি ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো’র প্রতিটির একটি করে নিরাপত্তা দল থাকা উচিত।

জুনাইদ আহমেদ বলেন, কেউ বলতে পারবে না তারা পুরো নিরাপদ, তবে প্রস্তুতি থাকতে হয়। এবারের ঘটনার ক্ষেত্রে ন্যূনতম প্রস্তুতি ছিল না। এই দায় তো কেউ এড়াতে পারবে না।

বিষয়টি নিয়ে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, টেকক্রাঞ্চের কোনো ই-মেইল তাঁরা পাননি। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।

পলক বলেন, সরকারি ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে চিহ্নিত করি। এই ২৯টি প্রতিষ্ঠানের প্রজ্ঞাপনের তালিকা থেকে ২৭ নম্বর প্রতিষ্ঠানটি এ পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে। আমরা আগেই এই বিষয়টি শনাক্ত করেছিলাম। এই প্রতিষ্ঠানের ত্রুটিতে তথ্যগুলো উন্মুক্ত ছিল। যাদের গাফিলতিতে এ তথ্যগুলো উন্মুক্ত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করব।

অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, হাই–টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সীমানা পুননির্ধারণে পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে কাজের চেষ্টা করা হয়েছে : সিইসি

সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক হয়নি, দুর্বলতা ছিল : তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০১:৫৫:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরকারি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ নাগরিকের তথ্য ফাঁস হওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সরকারি কোনো ওয়েবসাইট হ্যাক হয়নি। এটা ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের কারণে নয়, বরং কারিগরি ত্রুটির কারণে সিস্টেমে দুর্বলতা থাকায় এটা হয়েছে। এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।

রোববার (৯ জুলাই) সকালে বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি অডিটোরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, আমরা দেখেছি, কারিগরি ত্রুটি ছিল। যে কারণেই তথ্যগুলো মানুষের কাছে উন্মুক্ত হয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, ওয়েবসাইটটির নিজস্ব দুর্বলতার কারণে যে কেউ এই ব্যক্তিগত উপাত্ত দেখার সুযোগ পেয়ে যান। তিনি ওয়েবসাইটটির নাম বলেননি।

দায় এড়ানোর সুযোগ নেই জানিয়ে পলক বলেন, আগে থেকে প্রস্তুতি থাকলে তারপর ঘটনা ঘটলে কিছু বলা যায়। কিন্তু যথাযথ প্রস্তুতি না নেওয়ার পর ক্ষতি হয়ে গেলে সেই দায়ভার এড়ানো যায় না।

সরকারি সংস্থাগুলোর নিরাপত্তা দুর্বলতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীন গত বছরের অক্টোবরে ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো‘ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ই-মেইল করা হয়। দুঃখজনকভাবে কেউ কেউ জবাব দেয় না। নির্দেশনা অনুসরণ করে না।

পলক বলেন, আগে সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ব্যয় সাশ্রয়কেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হতো। এখন বোঝা যাচ্ছে উপাত্ত হতে যাচ্ছে নতুন মুদ্রা। আমাদের ব্যয় সাশ্রয় করতে হবে, পাশাপাশি উপাত্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

মানুষকে সচেতন করা, তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সক্ষমতা ও দক্ষ জনবল বাড়ানো, আইন ও নির্দেশিকার বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২৯টি ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো’র প্রতিটির একটি করে নিরাপত্তা দল থাকা উচিত।

জুনাইদ আহমেদ বলেন, কেউ বলতে পারবে না তারা পুরো নিরাপদ, তবে প্রস্তুতি থাকতে হয়। এবারের ঘটনার ক্ষেত্রে ন্যূনতম প্রস্তুতি ছিল না। এই দায় তো কেউ এড়াতে পারবে না।

বিষয়টি নিয়ে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, টেকক্রাঞ্চের কোনো ই-মেইল তাঁরা পাননি। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।

পলক বলেন, সরকারি ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে চিহ্নিত করি। এই ২৯টি প্রতিষ্ঠানের প্রজ্ঞাপনের তালিকা থেকে ২৭ নম্বর প্রতিষ্ঠানটি এ পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে। আমরা আগেই এই বিষয়টি শনাক্ত করেছিলাম। এই প্রতিষ্ঠানের ত্রুটিতে তথ্যগুলো উন্মুক্ত ছিল। যাদের গাফিলতিতে এ তথ্যগুলো উন্মুক্ত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করব।

অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, হাই–টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।