নিজস্ব প্রতিবেদক :
অন্তর্বর্তী সরকার এসে সব দেনা শোধ করেছে। নভেম্বর পর্যন্ত সারের যে মজুদ, তাতে কোনো ঘাটতি হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (২১ জুলাই) সচিবালয়ে কৃষি খাতের অগ্রগতি ও সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দেশে সারের কোনো ঘাটতি নেই। বাংলাদেশের কাছে এখন কেউ সারের টাকা পাবে না। অন্তর্বর্তী সরকার এসে সব দেনা শোধ করেছে। নভেম্বর পর্যন্ত যে মজুদ, তাতে কোনো ঘাটতি হবে না।
তিনি বলেন, সারের লাইসেন্স নিয়ে যারা ঝামেলা করেছে, সেগুলো বাদ দিয়ে নতুন লাইসেন্স দেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে নীতিমালা মানা হবে। সারের নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। প্রকৃত ডিলাররাই যেন সারের ডিলারশিপ পায়, সেটা নিশ্চিত করা হবে।
এখন থেকে রাজনৈতিক বিবেচনায় কোন ডিলারশিপ দেয়া হবে না জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আমাদের কোনো রাজনৈতিক বিবেচনা নেই। তাই যারা ভালো লোক তাদেরকেই ডিলারশিপ দেয়ার চেষ্টা করা হবে। এজন্য শিগগিরই একটি নীতিমালা করা হবে। নীতিমালার আওতায় ডিলারশিপ দেয়া হবে।
তিনি বলেন, গতবার যে দামে আলু কিনেছেন… এবার কিন্তু কৃষক আলুর দাম পাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি কৃষক যাতে আলুর দাম পায়, এজন্য ওএমএসের মাধ্যমে যাতে আলুটা দেওয়া যায় এজন্য আমরা চেষ্টা করতেছি। ওএমএসের মাধ্যমে যাতে আলুটা দেওয়া যায়। কৃষক যদি পণ্যের দাম না পায় পরবর্তী সময় কিন্তু তারা এটি উৎপাদনের দিকে যাবে না। এজন্য চেষ্টা করতে হবে কৃষক যাতে ন্যায্য দামটা পায়।
উপদেষ্টা বলেন, গতবার যে পরিমাণ পেঁয়াজের দাম ছিল। এবার কিন্তু কৃষক অনেক বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন করেছে। পেঁয়াজ উৎপাদন বেশি করায় এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেও কিন্তু বাজারটা মোটামুটি স্থিতিশীল আছে। এগুলো কিন্তু কৃষকেরই অবদান।
গম আমদানি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, চাহিদার তুলনায় দেশে পর্যাপ্ত গম উৎপাদন হয় না। তাই বাংলাদেশে সব সময় আমদানি করতে হয়।
সারাদেশে ১০০ মিনি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী মৌসুমের আগেই হয়তো এগুলো চালু হবে। আগে যন্ত্রপাতি কেনার সময় দুর্নীতি হতো। সব কাগজপত্র দুদকে পাঠানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কৃষক যেন আলুর দাম পায় সেজন্য ওএমএসের মাধ্যমে আলু দেয়ার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। তবে এবার পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়নি।