Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকার ক্ষমতা ছাড়ার ভয়ে আতঙ্কে আছে, এ কারণে বিএনপির শীর্ষ নেতারা কারাগারে: রিজভী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৩৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৯০ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরকার ক্ষমতা ছাড়ার ভয়ে আতঙ্কে আছে। এ কারণে বিএনপির শীর্ষ নেতারা কারাগারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জিয়া পরিষদের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, সরকার ক্ষমতা ছাড়ার ভয়ে আতঙ্কে আছে। এ কারণে বিএনপির শীর্ষ নেতারা কারাগারে। আর উনি (শেখ হাসিনা) তার সোনার হরিণ ধরে রাখতে চাইছেন। গণতন্ত্রকামী জনগণ, সেনাবাহিনী ও বিজিবিকে ধৈর্য ধরতে বলছেন। কারণ উনি নতজানু, প্রভুদের সাহায্য করতে জনগণকে তালাক দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে আছেন। অন্য দেশের ছোড়া মর্টার শেলে জনগণ মারা গেলেও প্রতিবাদ করতে পারেননি। কারণ আপনি তো ডামি নির্বাচন করেছেন, তাই জনগণের সঙ্গে তামাশা করেছেন।

তিনি বলেন, আজকে আমরা দেখছি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মিয়ানমারের মর্টার শেল বাংলাদেশে এসে পড়ছে। বাংলাদেশের নাগরিক মারা যাচ্ছেন কিন্তু সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমরা কাউকে একটা প্রতিবাদও করতে দেখিনি। কারণ তারা তো মাথা আগেই বিক্রি করে দিয়েছেন। যারা মাথা বিক্রি করেন তারা সেনাবাহিনী ও বিজিবিকে ধৈর্য ধরতে বলেন।

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশে ইন্টার্নাল নিরাপত্তা একটা বাহিনী তৈরি করেছে সরকার; যার নাম ছাত্রলীগ। তাদের কোনো আইন নেই। শুধুমাত্র বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের মিছিল দেখলে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশনা আছে। বেআইনি অস্ত্রের লাইসেন্স দিয়ে তাদের ধাওয়া দেবে। যার ফল এখন সরকারসহ সাধারণ জনগণ টের পাচ্ছেন।

জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ষণকাণ্ড প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ছাত্রলীগের নারী নির্যাতনের আশকারা দিচ্ছে সরকার। জাবির হলে স্বামীকে আটকে রেখে তার স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার পরও প্রধানমন্ত্রীর টনক নড়েনি। গত বছরের সিলেট এমসি কলেজে নারী নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের এখনো বিচার হয়নি। ছাত্রলীগ নারী নির্যাতন করলে শেখ হাসিনা কোনো কথা বলেন না। নারীর শ্লীলতাহানিকে তিনি অবাধ করে দিয়েছেন ছাত্রলীগের জন্য।

রিজভী আরও বলেন, বিচার হয় শুধুমাত্র গণতন্ত্রের কথ বললে। আজকে মির্জা ফখরুল মির্জা, আব্বাস, আমির খসরুসহ বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে বিনা অপরাধে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। এ দেশে কোনো সাধারণ মানুষের কারো কোনো নিরাপত্তা নেই। শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি মানুষের মাঝে ক্ষোভের দাবানল তীব্রতর হচ্ছে, তাদের পতন অতি সন্নিকটে।

শীতার্ত ও গরিব মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণের জন্য জিয়া পরিষদকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, রাজনীতি শুধু বড় বড় প্রজেক্টের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করে উন্নত দেশে পাচার করছেন হাসিনা সরকার। রাজনীতি হচ্ছে মানুষের সুখ সুবিধা দেখা; যা দেখতে জিয়াউর রহমান মাইলের পর মাইল ঘুরে বেড়িয়েছেন। নিজে কোদাল নিয়ে খাল খনন করেছেন। নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করে কিভাবে মানুষের পাশে থাকা যায় তা দেখিয়েছেন খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. আবদুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহিল মাসুদের পরিচালনায় শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের মহাসচিব ড. এমতাজ হোসেন, মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব মো. আবদুর রহিম, জাসাসের সাবেক নেতা সিরাজুল ইসলাম, ওলামা দলের সাবেক আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

সরকার ক্ষমতা ছাড়ার ভয়ে আতঙ্কে আছে, এ কারণে বিএনপির শীর্ষ নেতারা কারাগারে: রিজভী

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরকার ক্ষমতা ছাড়ার ভয়ে আতঙ্কে আছে। এ কারণে বিএনপির শীর্ষ নেতারা কারাগারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জিয়া পরিষদের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, সরকার ক্ষমতা ছাড়ার ভয়ে আতঙ্কে আছে। এ কারণে বিএনপির শীর্ষ নেতারা কারাগারে। আর উনি (শেখ হাসিনা) তার সোনার হরিণ ধরে রাখতে চাইছেন। গণতন্ত্রকামী জনগণ, সেনাবাহিনী ও বিজিবিকে ধৈর্য ধরতে বলছেন। কারণ উনি নতজানু, প্রভুদের সাহায্য করতে জনগণকে তালাক দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে আছেন। অন্য দেশের ছোড়া মর্টার শেলে জনগণ মারা গেলেও প্রতিবাদ করতে পারেননি। কারণ আপনি তো ডামি নির্বাচন করেছেন, তাই জনগণের সঙ্গে তামাশা করেছেন।

তিনি বলেন, আজকে আমরা দেখছি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মিয়ানমারের মর্টার শেল বাংলাদেশে এসে পড়ছে। বাংলাদেশের নাগরিক মারা যাচ্ছেন কিন্তু সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমরা কাউকে একটা প্রতিবাদও করতে দেখিনি। কারণ তারা তো মাথা আগেই বিক্রি করে দিয়েছেন। যারা মাথা বিক্রি করেন তারা সেনাবাহিনী ও বিজিবিকে ধৈর্য ধরতে বলেন।

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশে ইন্টার্নাল নিরাপত্তা একটা বাহিনী তৈরি করেছে সরকার; যার নাম ছাত্রলীগ। তাদের কোনো আইন নেই। শুধুমাত্র বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের মিছিল দেখলে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশনা আছে। বেআইনি অস্ত্রের লাইসেন্স দিয়ে তাদের ধাওয়া দেবে। যার ফল এখন সরকারসহ সাধারণ জনগণ টের পাচ্ছেন।

জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ষণকাণ্ড প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ছাত্রলীগের নারী নির্যাতনের আশকারা দিচ্ছে সরকার। জাবির হলে স্বামীকে আটকে রেখে তার স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার পরও প্রধানমন্ত্রীর টনক নড়েনি। গত বছরের সিলেট এমসি কলেজে নারী নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের এখনো বিচার হয়নি। ছাত্রলীগ নারী নির্যাতন করলে শেখ হাসিনা কোনো কথা বলেন না। নারীর শ্লীলতাহানিকে তিনি অবাধ করে দিয়েছেন ছাত্রলীগের জন্য।

রিজভী আরও বলেন, বিচার হয় শুধুমাত্র গণতন্ত্রের কথ বললে। আজকে মির্জা ফখরুল মির্জা, আব্বাস, আমির খসরুসহ বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে বিনা অপরাধে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। এ দেশে কোনো সাধারণ মানুষের কারো কোনো নিরাপত্তা নেই। শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি মানুষের মাঝে ক্ষোভের দাবানল তীব্রতর হচ্ছে, তাদের পতন অতি সন্নিকটে।

শীতার্ত ও গরিব মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণের জন্য জিয়া পরিষদকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, রাজনীতি শুধু বড় বড় প্রজেক্টের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করে উন্নত দেশে পাচার করছেন হাসিনা সরকার। রাজনীতি হচ্ছে মানুষের সুখ সুবিধা দেখা; যা দেখতে জিয়াউর রহমান মাইলের পর মাইল ঘুরে বেড়িয়েছেন। নিজে কোদাল নিয়ে খাল খনন করেছেন। নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করে কিভাবে মানুষের পাশে থাকা যায় তা দেখিয়েছেন খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. আবদুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহিল মাসুদের পরিচালনায় শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের মহাসচিব ড. এমতাজ হোসেন, মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব মো. আবদুর রহিম, জাসাসের সাবেক নেতা সিরাজুল ইসলাম, ওলামা দলের সাবেক আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক প্রমুখ।