বিনোদন ডেস্ক :
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে চলছে বলিউড সিনেমা ‘খুফিয়া’। বিশাল ভরদ্বাজ নির্মিত এ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয়েছে বাংলাদেশি অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের। সিনেমাটিতে সাহসী দৃশ্যে অভিনয়ের জন্যে মুক্তির পর থেকেই বেশ আলোচনায় রয়েছেন বাঁধন।
সিনেমায় বাঁধন এবং সহশিল্পী টাবুকে সমকামী ভূমিকায় দেখা গেছে। এই সমকামী চরিত্রটি নিয়েই চলছে জোর সমালোচনা। এবার এ প্রসঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ও মতামত তুলে ধরেলেন অভিনেত্রী বন্যা মির্জা।
তিনি বরংচ বাঁধনের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। সেইসঙ্গে পর্দায় নিজের শুরুর দিকের অভিজ্ঞতা জানিয়ে এক ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
যেখানে বন্যা লিখেছেন, ভাই রে! প্রেম কেবল নারীর সাথে পুরুষের হবে এটা হলো পুরুষের ভাবনা। সব কিছুই পুরুষদের পেতে হবে! আর সমকামিতাও একটা কোন বিশেষ বিষয় না। সেটাও হাজার রকম আছে। শিখেছেন একটা শব্দ, ওটা নিয়ে বসে আছেন! জগতে কত রকম জেন্ডার আছে। তাহলে সকলের আলাদা ভাবনাও আছে। এটাই তো স্বাভাবিক বিষয!’
এরপর বন্যা লিখেছেন, একটা গল্প বলি, নিজের অভিজ্ঞতা। আমি যখন একজন ‘পতিতা’র চরিত্র করি, তখন ‘পতিতা’ চরিত্র কেউ করতে চাইতেন না। ফলে আমার কাছে আসতো, আর আমি করতাম। এইডস রোগের নামও তখন নতুন শুনছি আমরা। তো গল্পের সেই পতিতার আবার এইডস হলো। বিষয়বস্তু মোটামুটি এরকম।
অভিনেত্রী লিখেছেন, আমার কলিগরা তো বললেনই এরকম চরিত্র করা আমার ঠিক হয়নি। এমনকি আমার তৎকালীন বয়ফ্রেন্ডও মোটামুটি ধরেই নিলেন যে আমারই এইডস হয়েছে! গালি তো দিলেনই, নোংরা কথায় নানান রকম খোঁটা দিতে থাকলেন। আমি নাকি বেশি স্মার্ট হয়ে গেছি। নাটকের নাম ‘খণ্ড- ৎ’। নজরুল কোরেশীর পরিচালনা। তারপর ‘রোদ মেখো সূর্যমূখী’, মাসুদ হাসান উজ্জ্বল পরিচালিত। এখানে আবার ‘পতিতা’কে দেখানো হয় প্রেগনেন্ট অবস্থা থেকে। সেই ‘পতিতা’ নিজেই নিজের বাচ্চা প্রসব করায়। পুরা দৃশ্যটাই নাটকে দেখানো হয়। তারপর তো আরো অনেক নাটক করেছি। পরে দেখলাম, আর যাই হোক ‘পতিতা’ চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেতা হতে কত জরুরী এবং অনেকেই করলেন। তো, আমার মনে হচ্ছে, কয়েকদিন পরে আপনারাই ঝাঁপিয়ে পড়বেন সমকামী চরিত্রে কাজ করার জন্য যেন আপনাদের সু-অভিনেতা বলা হয়। তখন বাঁধনকে কিছু একটা ক্রেডিট দিয়েন এখন বরং চুপ থাকেন!
প্রসঙ্গত, থ্রিলার ঘরানার ‘খুফিয়া’য় বাঁধন ছাড়াও অভিনয় করছেন টাবু, আলী ফজল, আশিস বিদ্যার্থী ও ওয়ামিকা গাব্বি। নেটফ্লিক্সের এ সিনেমাটি নির্মিতি হয়েছে অমর ভূষণের বই ‘এসকেপ টু নোহোয়ার’ অবলম্বনে।