বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি :
সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বান্দরবানের পরিস্থিতি অশান্ত হলে, শান্তি ফেরাতে বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় কাজ করতে সেনাবাহিনী প্রস্তুত। শান্তি আলোচনা শুরুর পর তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম করবে না, এমন অঙ্গীকার করেছিল। তাদের বিশ্বাস করেছিলাম। তবে তারা বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে। এখন আর ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই।
রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১২টায় বান্দরবান ৬৯ সেনা রিজিয়নে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী যথেষ্ট সক্ষম। সব বাহিনীর সাথে সমন্বিতভাবে পাহাড়ের এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে, যার কিছুটা দৃশ্যমান-কিছুটা অদৃশ্যমান। অভিযানের ফলাফল অচিরেই দেখা যাবে বলেও জানান তিনি।
শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, শান্তি আলোচনার আড়ালে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছে। তারা তাদের উদ্দেশ্য জাহির করে ফেলেছে। সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশসহ সবাই সমন্বিতভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করবো। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যৌথ অভিযানে অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে বলে আমি মনে করি।
জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে কম্বিং অপারেশন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন সন্ত্রাসীকে আটক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে।
সেনাপ্রধান বলেন, শনিবার রাতে যৌথ অভিযানে কিছু সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বান্দরবানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম সেনাবাহিনী। দৃশ্যমান কিছু কার্যক্রম আপনারা দেখতে পাবেন। আমি আপনাদের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে চাই, আমার কাছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা খুবই পরিষ্কার। বাংলাদেশের জনগণের শান্তির জন্য, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য যা যা করণীয়, প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ সেটাই করতে হবে। সেটা বাস্তবায়নে আমরা সক্ষম হব বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।