কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)-এর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের রাস্তায় ৫ থেকে ২৯ বছর বয়সের ৩২ শতাংশ লোক ঝরে যাচ্ছে। তার মানে আমরা যাদের নিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে যাবো তারাই রাস্তায় ঝরে পড়ছে। এটা কোনোভাবেই চলতে দেওয়া যায় না।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪৮টি পরিবারের মধ্যে বিএসপিআই এর ট্রাস্টি বোর্ড থেকে পাওয়া চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৭৩ শতাংশই মোটরসাইকেলের উল্লেখ করে সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা হাইওয়েতে চলাচল গিয়ে দেখি, ৬০ শতাংশেরও বেশি মোটরসাইকেল আরোহীর মাথায় হেলমেট নাই। পেছনের জনেরও নাই, সামনের জনেরও নাই। এত বেশি পরিমাণে যে মানুষ এই অসচেতন, তাদেরকে সচেতন করার জন্য আমাদের হাইওয়ে পুলিশ যথেষ্ট কাজ করছে। কিন্তু আমাদের আরো বেশি সচেতন হতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা একটি রেজেুলেশন অলরেডি নিয়েছি, যদিও এখনি ফাইনালি এক্সিকিউট হচ্ছে না। আমরা বলেছি, একটা মোটরসাইকেল বিক্রি করতে হলে দুইটা বিএসটিআই অনুমোদিত হেলমেট ফ্রি দিতে হবে। আমরা এই রেজুলেশন করেছি এবং আমরা এটা আস্তে আস্তে এগিয়ে নিয়ে যাবো। তাহলে মানুষ বাধ্য হবে হেলমেট গুলো ব্যবহার করতে। হেলমেট ব্যবহার না করলে আপনি আসলে রক্ষা পাবেন না।
এদিন কুমিল্লা ও ফেনী জেলায় সংগঠিত বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত আটচল্লিশটি পরিবারের মধ্যে দুই কোটি ১৮ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
চেক বিতরণ শেষে বিআরটিএ চেয়ারম্যান আরো বলেন, এই অনুদানের চেক বিতরণ কোনো খুশির অনুষ্ঠান নয়। আমরা বিআরটিএ ট্রাস্টি বোর্ডের পক্ষ থেকে চেষ্টা করেছি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পাশে দাঁড়াতে। যিনি স্বজন হারিয়েছেন তিনি জানেন আসলে কি হারিয়েছেন। আমরা সকলে মিলে সচেতন হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে পারব।
সড়কের এই প্রাণহানি দেশের অর্থনীতিকেও ক্ষতিগ্রস্থ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা একা বিআরটিএ, সড়ক বিভাগ কিংবা পরিবহন বা পুলিশের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিভাগের বিআরটিএ পরিচালক মাসুদ আলম, হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার অতিরিক্ত ডিআইজি শাহিনুর ইসলাম, সড়ক ও জনপদ বিভাগের কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ কবির আহমেদ, বিআরটিএ কুমিল্লার সহকারী পরিচালক ফারুক আহমেদসহ পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতা এবং সড়ক দুর্ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি 





















