Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সকালে নয়, ভোটের ব্যালট জেলায় যাবে ৪ দিন আগে: ইসি সচিব

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:১৪:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৮৬ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ব্যালট পেপার ছাপানো হবে। আর নির্বাচনের তিন-চারদিন আগে জেলা পর্যায়ে ব্যালট পেপার চলে যাবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ভোটের দিন সকালে পাঠানোর চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। কাগজের ব্যালটের নির্বাচনে যেন কোনোরকম অপব্যবহার না হয়, সেজন্য ইসি এই কৌশল অবলম্বন করতে পারে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইসি সচিব বলেন, ভোটের মাঠে ব্যালট পেপার কখন যাবে এই বিষয়টি নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এই বিষয়ে সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কমিশন এখনো অবহিত করেনি।

তফসিল ঘোষণার পর থেকে নিয়োগ, বদলি ও রাজনৈতিক কোনো চাপ অনুভব করছেন কি না- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, আরপিওতে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে নির্বাচনকালীন সরকারের কোন কোন বিষয়গুলো পূর্ব অনুমোদন করতে হবে। সেখানে বলা আছে জেলা প্রশাসক, ডিএমপি কমিশনার ও তাদের অধস্তন কর্মকর্তাদের বদলির ক্ষেত্রে ইসির পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে। সন্ধ্যা তফসিল ঘোষণা হয়েছে। তার আগ মুহূর্তের কাজ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের। তফসিল ঘোষণার পর আমাদের কাজ ।নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুমতি ছাড়া সরকারি কোনো কর্মকর্তাকে বদলি করা যাবে না বলে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, তফসিল ঘোষণার পর আজ থেকে বদলি ও নিয়োগের ক্ষেত্রে আগে থেকে ইসির অনুমতি নিতে হবে।

নির্বাচনের সময় শুরু হলো। মন্ত্রী-এমপিরা আগে যেভাবে কাজ করতেন, এখন সেভাবে করবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথমত নির্বাচন আচরণ বিধিমালায় সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনপূর্ব সময় বলতে তফসিল ঘোষণার দিন থেকে বলা আছে। আইনে বলা আছে, নির্বাচনের ফল ঘোষণার সময় পর্যন্ত রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের আচরণ বিধিমালা-২০০৮ অনুসরণ করতে হবে।

মন্ত্রী-এমপিদের প্রচার-প্রচারণা নিয়ে কোনো পরিপত্র জারি হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না। যেহেতু এটি আইনে আছে, সেহেতু প্রয়োজন নেই।

স্থানীয় সরকারের মেয়র বা মেয়র পদত্যাগ কার কাছে করবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা আইনে বলা আছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেবে।

আগাম প্রচারণার বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, এগুলো আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছি যে, তারা তাদের মতো করে উদ্যোগ নেবেন। নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে বলা আছে, নির্বাচন যেদিন হবে, তার ২১ দিনের আগে কখনোই প্রচার-প্রচারণা করা যাবে না। এ সময়ের মধ্যেই প্রচার চালাতে হবে। যেহেতু ৭ জানুয়ারি ভোট হবে, সে হিসাবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টার আগে থেকে প্রতীক বরাদ্দের দিন পর্যন্ত, এ সময়ে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, প্রটেকশন হলো নিরাপত্তা, আর প্রটোকল হলো যিনি যে পদে যাবেন, সে পদ অনুযায়ী তিনি যতটুকু সম্মান পাবেন সেটা।

তফসিলের পর ১২টি গাড়ি ও একটি ট্রেন পোড়ানো হয়েছে। এই অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন কতটুকু করতে পারবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা কমিশন বলতে পারবে।

সিইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

সকালে নয়, ভোটের ব্যালট জেলায় যাবে ৪ দিন আগে: ইসি সচিব

প্রকাশের সময় : ০৪:১৪:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ব্যালট পেপার ছাপানো হবে। আর নির্বাচনের তিন-চারদিন আগে জেলা পর্যায়ে ব্যালট পেপার চলে যাবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ভোটের দিন সকালে পাঠানোর চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। কাগজের ব্যালটের নির্বাচনে যেন কোনোরকম অপব্যবহার না হয়, সেজন্য ইসি এই কৌশল অবলম্বন করতে পারে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইসি সচিব বলেন, ভোটের মাঠে ব্যালট পেপার কখন যাবে এই বিষয়টি নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এই বিষয়ে সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কমিশন এখনো অবহিত করেনি।

তফসিল ঘোষণার পর থেকে নিয়োগ, বদলি ও রাজনৈতিক কোনো চাপ অনুভব করছেন কি না- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, আরপিওতে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে নির্বাচনকালীন সরকারের কোন কোন বিষয়গুলো পূর্ব অনুমোদন করতে হবে। সেখানে বলা আছে জেলা প্রশাসক, ডিএমপি কমিশনার ও তাদের অধস্তন কর্মকর্তাদের বদলির ক্ষেত্রে ইসির পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে। সন্ধ্যা তফসিল ঘোষণা হয়েছে। তার আগ মুহূর্তের কাজ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের। তফসিল ঘোষণার পর আমাদের কাজ ।নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুমতি ছাড়া সরকারি কোনো কর্মকর্তাকে বদলি করা যাবে না বলে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, তফসিল ঘোষণার পর আজ থেকে বদলি ও নিয়োগের ক্ষেত্রে আগে থেকে ইসির অনুমতি নিতে হবে।

নির্বাচনের সময় শুরু হলো। মন্ত্রী-এমপিরা আগে যেভাবে কাজ করতেন, এখন সেভাবে করবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথমত নির্বাচন আচরণ বিধিমালায় সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনপূর্ব সময় বলতে তফসিল ঘোষণার দিন থেকে বলা আছে। আইনে বলা আছে, নির্বাচনের ফল ঘোষণার সময় পর্যন্ত রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের আচরণ বিধিমালা-২০০৮ অনুসরণ করতে হবে।

মন্ত্রী-এমপিদের প্রচার-প্রচারণা নিয়ে কোনো পরিপত্র জারি হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না। যেহেতু এটি আইনে আছে, সেহেতু প্রয়োজন নেই।

স্থানীয় সরকারের মেয়র বা মেয়র পদত্যাগ কার কাছে করবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা আইনে বলা আছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেবে।

আগাম প্রচারণার বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, এগুলো আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছি যে, তারা তাদের মতো করে উদ্যোগ নেবেন। নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে বলা আছে, নির্বাচন যেদিন হবে, তার ২১ দিনের আগে কখনোই প্রচার-প্রচারণা করা যাবে না। এ সময়ের মধ্যেই প্রচার চালাতে হবে। যেহেতু ৭ জানুয়ারি ভোট হবে, সে হিসাবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টার আগে থেকে প্রতীক বরাদ্দের দিন পর্যন্ত, এ সময়ে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, প্রটেকশন হলো নিরাপত্তা, আর প্রটোকল হলো যিনি যে পদে যাবেন, সে পদ অনুযায়ী তিনি যতটুকু সম্মান পাবেন সেটা।

তফসিলের পর ১২টি গাড়ি ও একটি ট্রেন পোড়ানো হয়েছে। এই অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন কতটুকু করতে পারবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা কমিশন বলতে পারবে।

সিইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।