Dhaka রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সকালে ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি, জনজীবনে ফিরল স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীতে তীব্র গরমে স্বস্তি হয়ে দেখা দিয়েছে বৃষ্টি। টানা দুদিনের বৃষ্টিতে রাজধানীতে গরমের উত্তাপ কমায় স্বস্তি ফিরেছে জনমনে।

শুক্রবার (০৯ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর পল্টন, মতিঝিল, গুলিস্তান, বাড্ডা, রামপুরা, বারিধারা, গুলশান, মগবাজার, হাতিরঝিল, মুগদা, খিলগাঁও, বাসাবো, যাত্রাবাড়ীসহ বেশ কিছু এলাকায় এ বৃষ্টি হতে দেখা যায়। ভ্যাপসা গরমে ঝুম বৃষ্টি স্বস্তি ফিরে আনে নগরীতে। বৃষ্টির সাথে ছিল বিজলির চমক, মেঘের ডাক।

এতে টানা কয়েক দিনের গরম থেকে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছেন রাজধানীবাসী। যদিও ছাতা ছাড়া বের হয়ে বৃষ্টির কারণে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েন অনেকেই। খেটে খাওয়া মানুষও পড়েছেন কিছুটা বিপাকে। তবে অসহ্য গরম থেকে স্বস্তি মেলায় তাদের চোখেমুখে ছিল প্রশান্তির ছায়া।

বাংলামোটরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী সোহাগ মনি বলেন, ‘কয়েক দিনের গরমে খুব অস্বস্তি লাগছিল। বৃহস্পতিবারও (৮ জুন) বৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। আজ (শুক্রবারও) বৃষ্টি হওয়ায় খুব প্রশান্তি অনুভব করছি। কিন্তু সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বৃষ্টি হবে বুঝতে পারিনি। তাই ছাতা নিয়ে বের না হওয়ায় ভিজতে হয়েছে। তবুও ভালো যে, এ বৃষ্টিতে গরম আরও কমে যাবে বলে মনে হচ্ছে।’

কারওয়ান বাজারের রিকশাচালক রবিউল হোসাইন বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে গরমে ঠিকমতো রিকশা চালানো সম্ভব হয়নি। এ বৃষ্টির মধ্যে ভিজে ভিজে রিকশা চালানো কষ্টকর হলেও, তীব্র গরম যে কমে যাবে, এটা ভাবতেই প্রশান্তি লাগছে।’
টানা কয়েকদিন তাপপ্রবাহের পর বৃহস্পতিবার (৮ জুন) ঢাকায় বৃষ্টির দেখা মেলে। কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি, কোথাও হালকা বৃষ্টি হয়। তাতে গরম থেকে স্বস্তি মিলছিল না নগরবাসীর। তাপমাত্রা অনেকটা কমলেও বাতাসে অতিরিক্ত জলীয় বাষ্পের কারণে স্বস্তি ফেরেনি। মেঘলা আকাশ ও গুমোট আবহাওয়ায় ছিল ভ্যাপসা গরম।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সবচেয়ে বেশি ৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ফেনীতে। ঢাকায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাজশাহীতে।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কমে হয়েছে ৩৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বুধবার (৭ জুন) পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, যশোর, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছিল, অর্থাৎ এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছিল। আজ এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি কমে দূর হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ।

শুক্রবার (৯ জুন) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায়; ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

রাজশাহী, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, নেত্রকোনা ও সিলেট জেলাসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

কেয়ামত পর্যন্ত জামায়াত ক্ষমতায় আসতে পারবে না : গয়েশ্বর

সকালে ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি, জনজীবনে ফিরল স্বস্তি

প্রকাশের সময় : ১২:৩৪:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীতে তীব্র গরমে স্বস্তি হয়ে দেখা দিয়েছে বৃষ্টি। টানা দুদিনের বৃষ্টিতে রাজধানীতে গরমের উত্তাপ কমায় স্বস্তি ফিরেছে জনমনে।

শুক্রবার (০৯ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর পল্টন, মতিঝিল, গুলিস্তান, বাড্ডা, রামপুরা, বারিধারা, গুলশান, মগবাজার, হাতিরঝিল, মুগদা, খিলগাঁও, বাসাবো, যাত্রাবাড়ীসহ বেশ কিছু এলাকায় এ বৃষ্টি হতে দেখা যায়। ভ্যাপসা গরমে ঝুম বৃষ্টি স্বস্তি ফিরে আনে নগরীতে। বৃষ্টির সাথে ছিল বিজলির চমক, মেঘের ডাক।

এতে টানা কয়েক দিনের গরম থেকে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছেন রাজধানীবাসী। যদিও ছাতা ছাড়া বের হয়ে বৃষ্টির কারণে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েন অনেকেই। খেটে খাওয়া মানুষও পড়েছেন কিছুটা বিপাকে। তবে অসহ্য গরম থেকে স্বস্তি মেলায় তাদের চোখেমুখে ছিল প্রশান্তির ছায়া।

বাংলামোটরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী সোহাগ মনি বলেন, ‘কয়েক দিনের গরমে খুব অস্বস্তি লাগছিল। বৃহস্পতিবারও (৮ জুন) বৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। আজ (শুক্রবারও) বৃষ্টি হওয়ায় খুব প্রশান্তি অনুভব করছি। কিন্তু সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বৃষ্টি হবে বুঝতে পারিনি। তাই ছাতা নিয়ে বের না হওয়ায় ভিজতে হয়েছে। তবুও ভালো যে, এ বৃষ্টিতে গরম আরও কমে যাবে বলে মনে হচ্ছে।’

কারওয়ান বাজারের রিকশাচালক রবিউল হোসাইন বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে গরমে ঠিকমতো রিকশা চালানো সম্ভব হয়নি। এ বৃষ্টির মধ্যে ভিজে ভিজে রিকশা চালানো কষ্টকর হলেও, তীব্র গরম যে কমে যাবে, এটা ভাবতেই প্রশান্তি লাগছে।’
টানা কয়েকদিন তাপপ্রবাহের পর বৃহস্পতিবার (৮ জুন) ঢাকায় বৃষ্টির দেখা মেলে। কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি, কোথাও হালকা বৃষ্টি হয়। তাতে গরম থেকে স্বস্তি মিলছিল না নগরবাসীর। তাপমাত্রা অনেকটা কমলেও বাতাসে অতিরিক্ত জলীয় বাষ্পের কারণে স্বস্তি ফেরেনি। মেঘলা আকাশ ও গুমোট আবহাওয়ায় ছিল ভ্যাপসা গরম।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সবচেয়ে বেশি ৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ফেনীতে। ঢাকায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাজশাহীতে।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কমে হয়েছে ৩৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বুধবার (৭ জুন) পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, যশোর, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছিল, অর্থাৎ এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছিল। আজ এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি কমে দূর হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ।

শুক্রবার (৯ জুন) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায়; ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

রাজশাহী, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, নেত্রকোনা ও সিলেট জেলাসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।