Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংস্কারের নামে শেখ হাসিনার মতো উন্নয়নের ছবক দিচ্ছে সরকার : শামসুজ্জামান দুদু

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

বর্তমান সরকার সংস্কারের নামে শেখ হাসিনার মতো উন্নয়নের ছবক দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

বুধবার (৪ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাঠেরপুল এলাকায় মহানগর মৎস্যজীবী দলের আয়োজনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, স্বৈরাচার সরকারের পতন হলেও দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কার্যকর হয়নি। বর্তমান সরকার সংস্কারের নামে শেখ হাসিনার মতো উন্নয়নের ছবক শোনাচ্ছে। ফ্যাসিবাদকে দাফন করতে হলে গণতান্ত্রিক সরকারের বিকল্প নেই। নির্বাচিত সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় না আসলে সংকট দূরীভূত হবে না।

তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত লাগাতারভাবে এদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটা রুখতে হলে নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নাই। সরকার যেন বিভ্রান্ত না হয়, ভুল পথে না যায়, এ জন্য আমরা সমালোচনা করি। এমন কোনো পদক্ষেপ বা বক্তব্য দেওয়া না হয় যাতে নিজেদের ঐক্য বিনষ্ট হয়। নিজেদের ঐক্য কোনোভাবে বিনষ্ট করা যাবে না।

এসময় তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জাতীয় নির্বাচনের তারিখ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে এবং নিজেদের ঐক্য বিনষ্ট হবে এমন কোনো পদক্ষেপ বা বক্তব্য থেকে বিরত থাকতে হবে।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত স্বৈরাচারী ব্যবস্থার মূর্ত প্রতীক শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। তারা আমাদের বিরুদ্ধে লাগাতার অপপ্রচার করছে। এগুলো রুখতে নির্বাচিত সরকার দরকার। এছাড়া কোনো পথ নেই। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন, গণতন্ত্রের পথের যাত্রা বারবার বিঘ্নিত হচ্ছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উত্তরণ সম্ভব নয়। সরকার যেন ভুল পথে না যায় সেজন্য আমরা সমালোচনা করব। এ সরকারকে অবশ্যই দেশের মানুষের পক্ষে থাকতে হবে। গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে থাকতে হবে। ’

তিনি বলেন, ‘আমাদের হাজার হাজার ছেলেমেয়েরা রক্ত দিয়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে। এদের হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের ঐক্য বিনষ্ট হয় এমন কোনো বক্তব্য দেওয়া উচিত হবে না। আমাদের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই এখনও শেষ হয়নি। ’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের মতো সৎ রাজনীতিবিদ শুধু বাংলাদেশ নয়; পুরে দক্ষিণ এশিয়ায় বিরল। শহীদ জিয়াকে অনুসরণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সংকট কাটতে পারে। শেখ মুজিব বাংলাদেশে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সব দল বাতিল করেছিলেন। এমনকি আওয়ামী লীগকেও তিনি বাতিল করেছিলেন। তার সময় দুর্ভিক্ষ হয়ে লাখ লাখ মানুষ মারা গেছে। তার সময় চারটি বাদে সব পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে সকল দলকে রাজনীতি করার ব্যবস্থা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। সকল সংবাদপত্র প্রচারের সুযোগ করে দিয়েছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান। ’

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ৭৯ সালে নির্বাচন করে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। আজ গণঅভ্যুত্থানের দশ মাস। স্বৈরাচারের পতন হলেও আমরা এখনও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ ও নির্বাচনের জন্য পদক্ষেপ নিতে পারিনি।

মহানগরে মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম রতনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাসির উদ্দিন জাহান সাগরের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন মৎস্যজীবী দলের সাবেক সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুসহ আরও অনেকে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত, নির্বাচন বিলম্বের ষড়যন্ত্র হতে পারে : মির্জা ফখরুল

সংস্কারের নামে শেখ হাসিনার মতো উন্নয়নের ছবক দিচ্ছে সরকার : শামসুজ্জামান দুদু

প্রকাশের সময় : ০৩:২৫:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

বর্তমান সরকার সংস্কারের নামে শেখ হাসিনার মতো উন্নয়নের ছবক দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

বুধবার (৪ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাঠেরপুল এলাকায় মহানগর মৎস্যজীবী দলের আয়োজনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, স্বৈরাচার সরকারের পতন হলেও দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কার্যকর হয়নি। বর্তমান সরকার সংস্কারের নামে শেখ হাসিনার মতো উন্নয়নের ছবক শোনাচ্ছে। ফ্যাসিবাদকে দাফন করতে হলে গণতান্ত্রিক সরকারের বিকল্প নেই। নির্বাচিত সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় না আসলে সংকট দূরীভূত হবে না।

তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত লাগাতারভাবে এদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটা রুখতে হলে নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নাই। সরকার যেন বিভ্রান্ত না হয়, ভুল পথে না যায়, এ জন্য আমরা সমালোচনা করি। এমন কোনো পদক্ষেপ বা বক্তব্য দেওয়া না হয় যাতে নিজেদের ঐক্য বিনষ্ট হয়। নিজেদের ঐক্য কোনোভাবে বিনষ্ট করা যাবে না।

এসময় তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জাতীয় নির্বাচনের তারিখ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে এবং নিজেদের ঐক্য বিনষ্ট হবে এমন কোনো পদক্ষেপ বা বক্তব্য থেকে বিরত থাকতে হবে।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত স্বৈরাচারী ব্যবস্থার মূর্ত প্রতীক শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। তারা আমাদের বিরুদ্ধে লাগাতার অপপ্রচার করছে। এগুলো রুখতে নির্বাচিত সরকার দরকার। এছাড়া কোনো পথ নেই। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন, গণতন্ত্রের পথের যাত্রা বারবার বিঘ্নিত হচ্ছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উত্তরণ সম্ভব নয়। সরকার যেন ভুল পথে না যায় সেজন্য আমরা সমালোচনা করব। এ সরকারকে অবশ্যই দেশের মানুষের পক্ষে থাকতে হবে। গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে থাকতে হবে। ’

তিনি বলেন, ‘আমাদের হাজার হাজার ছেলেমেয়েরা রক্ত দিয়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে। এদের হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের ঐক্য বিনষ্ট হয় এমন কোনো বক্তব্য দেওয়া উচিত হবে না। আমাদের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই এখনও শেষ হয়নি। ’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের মতো সৎ রাজনীতিবিদ শুধু বাংলাদেশ নয়; পুরে দক্ষিণ এশিয়ায় বিরল। শহীদ জিয়াকে অনুসরণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সংকট কাটতে পারে। শেখ মুজিব বাংলাদেশে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সব দল বাতিল করেছিলেন। এমনকি আওয়ামী লীগকেও তিনি বাতিল করেছিলেন। তার সময় দুর্ভিক্ষ হয়ে লাখ লাখ মানুষ মারা গেছে। তার সময় চারটি বাদে সব পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে সকল দলকে রাজনীতি করার ব্যবস্থা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। সকল সংবাদপত্র প্রচারের সুযোগ করে দিয়েছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান। ’

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ৭৯ সালে নির্বাচন করে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। আজ গণঅভ্যুত্থানের দশ মাস। স্বৈরাচারের পতন হলেও আমরা এখনও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ ও নির্বাচনের জন্য পদক্ষেপ নিতে পারিনি।

মহানগরে মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম রতনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাসির উদ্দিন জাহান সাগরের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন মৎস্যজীবী দলের সাবেক সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুসহ আরও অনেকে।