Dhaka শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংস্কার চিরস্থায়ী কোনো বন্দোবস্ত নয় : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সংস্কার কোনো চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নয় বলে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এখন যতটুকু করা সম্ভব, তা করা উচিত। বাকিটা নির্বাচিত সরকার এসে সম্পন্ন করবে। এটাই হওয়া উচিত।

রোববার (১৩ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে পুড়ে যাওয়া ‘ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব’ শিল্পকর্ম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ৫ আগস্টের পরে যে মুক্ত বাতাস তৈরি হয়েছে। মুক্ত পরিবেশে প্রাণবন্ত গণতন্ত্র পাওয়ার অপেক্ষা করছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমরা বারবার আহ্বান করেছি প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। এ নিয়ে অনেকেই অনেক কিছু বলেছে; তবে আমাদের বিশ্বাস অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব বিষয়ে কান না দিয়ে আমাদের বহুদিনের আকাঙ্ক্ষা দেশের জনগণের ভোটের অধিকার, দেশে গণতন্ত্র বাস্তবায়নে মনোযোগ দেবেন। যে দাবি আদায় করতে গিয়ে ইলিয়াস আলী গুম হয়েছে। সুমন গুম হয়েছে। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মানবিক ন্যায়বিচার দেশে ছিল না। শেখ হাসিনা ধ্বংস করে ফেলেছিল। আদালতকে আওয়ামী লীগের কার্যালয় বানিয়ে ফেলেছিল। সেই জায়গা থেকে আমাদের ফিরে আসতে হবে। শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চা সমৃদ্ধশালী হবে যেখানে গণতন্ত্র থাকবে। কেউ আগুন দিয়ে কোনো কিছু পোড়াবে না । যেখানে সবাই নির্মাণ করবে।

সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আমরা মনে করি প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। কিন্তু সেসব তো চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নয়। সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া। এখন যতটুকু করা সম্ভব করবে। এরপরে যারা ক্ষমতায় আসবে তখন বিভিন্ন দাবি আসবে; রাজনৈতিক দল সেগুলো নিয়ে সংস্কার করবে। কিন্তু গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বন্ধ রাখা যাবে না। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতাকে অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষক-ছাত্র আছে যারা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করেছেন; আমাদের সবার মত পার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু ফ্যাসিবাদের প্রকাশ ঘটবে না। সবাই সবার সাথে ভিন্নতা থাকতে পারে কিন্তু মত প্রকাশের জন্য আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত। আমাদের অর্জিত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, গর্ব, আমাদের অর্জন ফ্যাসিবাদের থাবায় যেন নষ্ট না হয়। আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পদ্মা-মেঘনার মতো যে বহমান সেটা আমরা বহমানই রাখব।

রিজভী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ফ্যাসিবাদের আক্রমণের বহিঃপ্রকাশ দেখলাম তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে শিক্ষক ও ছাত্ররা কষ্ট করে যে দুর্দান্ত কাজ করে যাচ্ছে তাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

এ সময় বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, মীর শরাফত আলী সপু, শামীমুর রহমান শামীম, ডা. জাহিদুল কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার চিরস্থায়ী কোনো বন্দোবস্ত নয় : রিজভী

প্রকাশের সময় : ১০:২৯:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সংস্কার কোনো চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নয় বলে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এখন যতটুকু করা সম্ভব, তা করা উচিত। বাকিটা নির্বাচিত সরকার এসে সম্পন্ন করবে। এটাই হওয়া উচিত।

রোববার (১৩ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে পুড়ে যাওয়া ‘ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব’ শিল্পকর্ম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ৫ আগস্টের পরে যে মুক্ত বাতাস তৈরি হয়েছে। মুক্ত পরিবেশে প্রাণবন্ত গণতন্ত্র পাওয়ার অপেক্ষা করছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমরা বারবার আহ্বান করেছি প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। এ নিয়ে অনেকেই অনেক কিছু বলেছে; তবে আমাদের বিশ্বাস অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব বিষয়ে কান না দিয়ে আমাদের বহুদিনের আকাঙ্ক্ষা দেশের জনগণের ভোটের অধিকার, দেশে গণতন্ত্র বাস্তবায়নে মনোযোগ দেবেন। যে দাবি আদায় করতে গিয়ে ইলিয়াস আলী গুম হয়েছে। সুমন গুম হয়েছে। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মানবিক ন্যায়বিচার দেশে ছিল না। শেখ হাসিনা ধ্বংস করে ফেলেছিল। আদালতকে আওয়ামী লীগের কার্যালয় বানিয়ে ফেলেছিল। সেই জায়গা থেকে আমাদের ফিরে আসতে হবে। শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চা সমৃদ্ধশালী হবে যেখানে গণতন্ত্র থাকবে। কেউ আগুন দিয়ে কোনো কিছু পোড়াবে না । যেখানে সবাই নির্মাণ করবে।

সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আমরা মনে করি প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। কিন্তু সেসব তো চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নয়। সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া। এখন যতটুকু করা সম্ভব করবে। এরপরে যারা ক্ষমতায় আসবে তখন বিভিন্ন দাবি আসবে; রাজনৈতিক দল সেগুলো নিয়ে সংস্কার করবে। কিন্তু গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বন্ধ রাখা যাবে না। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতাকে অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষক-ছাত্র আছে যারা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করেছেন; আমাদের সবার মত পার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু ফ্যাসিবাদের প্রকাশ ঘটবে না। সবাই সবার সাথে ভিন্নতা থাকতে পারে কিন্তু মত প্রকাশের জন্য আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত। আমাদের অর্জিত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, গর্ব, আমাদের অর্জন ফ্যাসিবাদের থাবায় যেন নষ্ট না হয়। আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পদ্মা-মেঘনার মতো যে বহমান সেটা আমরা বহমানই রাখব।

রিজভী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ফ্যাসিবাদের আক্রমণের বহিঃপ্রকাশ দেখলাম তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে শিক্ষক ও ছাত্ররা কষ্ট করে যে দুর্দান্ত কাজ করে যাচ্ছে তাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

এ সময় বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, মীর শরাফত আলী সপু, শামীমুর রহমান শামীম, ডা. জাহিদুল কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।