নিজস্ব প্রতিবেদক :
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচন ভালো হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেভাবে করেছি, উপজেলা নির্বাচন তার চেয়ে ভালোভাবে করব। তাই সব রাজনৈতিক দলকে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনের আচরণ বিধিতে কিছু কিছু অসংগতি ও অস্পষ্টতা আছে। সংশোধনের জন্য পর্যালোচনা করছে নির্বাচন কমিশন। যাদের জনসমর্থন আছে, তারাই উপজেলা ভোটে অংশ নেবে।
ইসি আলমগীর বলেন, জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে ৩০০ আসনে করতে হয়েছে। আমাদের ৩০০ জায়গায় এফোর্ট করতে হয়েছে। আমরা এখানে কমপক্ষে ৪ ধাপ করব। প্রতি ধাপে ১০০ বা এর কাছাকাছি ভোট হবে। সেক্ষেত্রে আমাদের এফোর্ট বেশি থাকবে। আমরা আশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। ইতিহাস বলে স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেশি হয়। স্থানীয় পর্যায়ে অনেক অংশগ্রহণ থাকে, যার কারণে ভোটের মাঠে অটোমেটিক ব্যালেন্স তৈরি হয়। সেখানে আমরা এফোর্ট দিলে সুষ্ঠু ভোট হবে বলে আমরা মনে করি।
উপজেলা নির্বাচন আইনের সংশোধনী প্রসঙ্গে এই কমিশনার বলেন, উপজেলা নির্বাচনের আচরণবিধিতে কিছু কিছু অসংগতি ও অস্পষ্টতা আছে। সংশোধনের জন্য পর্যালোচনা করছে নির্বাচন কমিশন।
উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি আসবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা কিছুই বলতে পারি না। কারণ, এখনও নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করা হয়নি। যেহেতু সিডিউল ঘোষণা হয়নি, আর তারা আসবেন কি আসবেন না বলেননি, এ বিষয়ে অগ্রিম বলা যাচ্ছে না।
দলীয় প্রতীকে ভোট না হলেও অংশগ্রহণমূলক ভোট হতে যাচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক বিশ্লেষক যারা আছেন বিষয়টি তারা ভালো বলতে পারবেন। আমরা আশা করি, যারা যোগ্য প্রার্থী যাদের জনসমর্থন রয়েছে। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে আমরা যেটা করতে পারব। একটা সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন যাতে হয় সে চেষ্টা আমরা করবো।
বিএনপির কি তাহলে কোনো জনসমর্থন নেই? এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি বলেন, সেটা তারাই ভালো বলতে পারবে। আমাদের আহ্বান হলো যাদের জনসমর্থন আছে বলে মনে করেন তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন।
ইসির ওপর বিএনপির আস্থা নেই? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেই অধিকার তো তাদের আছেই, রাজনৈতিক দলের নেতারা কি সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটা তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তে নির্বাচন কমিশনের কোনো হাত নেই। আমাদের আয়োজন থাকে সবার জন্য, কিন্তু কে সাড়া দেবেন, কে দেবেন না সেটা আমরা নির্ধারণ করতে পারি না।
উপজেলা নির্বাচনের তফসিল হয়ে গেছে, ঘোষণার পর কেন মনে হলো আইন সংশোধন করা দরকার? নাকি সরকার চাইছে? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, আমরা আসলে কোনো আইন সংশোধন করতে চাইনি। আচরণ বিধিমালায় কিছু কিছু জায়গায় অসংগতি আছে, কিছু অস্পষ্ট আছে; এগুলো যারা প্রয়োগ করতে চান তারা ফিডব্যাক দিয়েছেন, সেই ফিডব্যাকের পর এগুলো পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। সে ব্যাপার যেহেতু আচরণবিধিমালা শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশন সংশোধন করতে পারে, এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয় একটা ভেটিং লাগে, সেটা পেলে আমরাই জারি করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর। এ বিষয়ে সচিবালয় হয়ত ফিডব্যাক পেয়েছে আবার অনেকে নাও বলতে পারে। মিশ্র মতামত আছে। তবে এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না।
স্বতন্ত্র হলে ভোট করা আপনাদের জন্য সহজ হয় কি না? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, না- স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অথরিটি স্থানীয় সরকার। তারাই তো মনে করবে কোনটা রাখলে ভালো হবে, কোনটা রাখলে খারাপ। আমাদের দায়িত্ব হলো নির্বাচন করা। যে পদ্ধতি থাকবে সেই পদ্ধতিতে আমরা নির্বাচন করব। যেমন সংসদে কয়টি আসন থাকবে এটা তো নির্বাচন কমিশন দেখতে পারে না। কমিশনের দায়িত্ব হলো নির্বাচন করে দেওয়া।
নিজস্ব প্রতিবেদক 





















