Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংলাপ নিয়ে বক্তব্যটি আমুর ব্যক্তিগত: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর বক্তব্যটি তার ব্যক্তিগত।

বুধবার (৭ জুন) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, সংলাপ নিয়ে বক্তব্যটি তার ব্যক্তিগত। এ বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় ফোরামে কোনো আলোচনা হয়নি, এমনকি ১৪ দলেও আলোচনা হয়নি। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। তারা নির্বাচনের রেফারি। তারা যদি সংলাপে ডাকে আমরা যাবো।

ড. হাছান বলেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, কাগজ বা গণমাধ্যমে যেভাবে এসেছে তিনি ঠিক সেভাবে বলেননি। যেভাবেই আসুক এটি তার ব্যক্তিগত অভিমত। দল, সরকার এমনকি ১৪ দল কোথাও এ নিয়ে আলোচনা হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা চাই নির্বাচনে বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক এবং সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি চমৎকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। বিশ্বের কাছে উদাহরণ স্বরূপ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক, সেটি আমরা চাই।

হাছান মাহমুদ আরো বলেন, বিএনপি হচ্ছে একটি সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল। কানাডার আদালতের রায় অনুযায়ী, সিলমারা সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল বিএনপি। যারা অগ্নিসন্ত্রাস চালায়, মানুষের ওপর হামলা চালায়, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে কী হবে, সেটি হচ্ছে বড় বিষয়।

তবে বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায় বলেও মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, তারা ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছ। তারা আসলে নির্বাচন প্রতিহত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং সেই কথাটি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবার বলেছেন। কিন্তু এবার আর তাদের পক্ষে নির্বাচন প্রতিহত করা কিংবা বর্জন করা সম্ভব হবে না। দেশে অবশ্যই একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি রাজনৈতিক দল, তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেই পারে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য তা নয়, তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচন ভণ্ডুল করে দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করা। কিন্তু নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণই হলো মুখ্য বিষয়। জনগণ যদি ব্যাপকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তালেই সেটি জনগণের অংশগ্রহণমূলক একটি ভালো নির্বাচক।

অতীত অভিজ্ঞতায় যারা নির্বাচন ঠেকাতে চায়, সেই সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় কোনো ফল আসবে না বলেও মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন চাইলে বিএনপিকে ডাকতে পারে, আওয়ামী লীগকেও ডাকতে পারে, এ রকম হলে নির্বাচন কমিশনের ডাকে দল আলোচনায় অংশ নেবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনকালীন সরকার যেভাবে থাকে, সেভাবেই বর্তমান সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। নির্বাচনকালীন সরকারের আকার কী হবে সেটি প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করবেন।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৬ জুন) বিকেলে রাজধানীতে ১৪ দল আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধির সামনে বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসে রাজনৈতিক সংকট সমাধান করবে আওয়ামী লীগ। কেউ অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় আসার পাঁয়তারা করলে প্রতিরোধ করবে জনগণ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

সংলাপ নিয়ে বক্তব্যটি আমুর ব্যক্তিগত: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০২:৪১:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর বক্তব্যটি তার ব্যক্তিগত।

বুধবার (৭ জুন) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, সংলাপ নিয়ে বক্তব্যটি তার ব্যক্তিগত। এ বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় ফোরামে কোনো আলোচনা হয়নি, এমনকি ১৪ দলেও আলোচনা হয়নি। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। তারা নির্বাচনের রেফারি। তারা যদি সংলাপে ডাকে আমরা যাবো।

ড. হাছান বলেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, কাগজ বা গণমাধ্যমে যেভাবে এসেছে তিনি ঠিক সেভাবে বলেননি। যেভাবেই আসুক এটি তার ব্যক্তিগত অভিমত। দল, সরকার এমনকি ১৪ দল কোথাও এ নিয়ে আলোচনা হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা চাই নির্বাচনে বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক এবং সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি চমৎকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। বিশ্বের কাছে উদাহরণ স্বরূপ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক, সেটি আমরা চাই।

হাছান মাহমুদ আরো বলেন, বিএনপি হচ্ছে একটি সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল। কানাডার আদালতের রায় অনুযায়ী, সিলমারা সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল বিএনপি। যারা অগ্নিসন্ত্রাস চালায়, মানুষের ওপর হামলা চালায়, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে কী হবে, সেটি হচ্ছে বড় বিষয়।

তবে বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায় বলেও মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, তারা ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছ। তারা আসলে নির্বাচন প্রতিহত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং সেই কথাটি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবার বলেছেন। কিন্তু এবার আর তাদের পক্ষে নির্বাচন প্রতিহত করা কিংবা বর্জন করা সম্ভব হবে না। দেশে অবশ্যই একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি রাজনৈতিক দল, তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেই পারে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য তা নয়, তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচন ভণ্ডুল করে দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করা। কিন্তু নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণই হলো মুখ্য বিষয়। জনগণ যদি ব্যাপকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তালেই সেটি জনগণের অংশগ্রহণমূলক একটি ভালো নির্বাচক।

অতীত অভিজ্ঞতায় যারা নির্বাচন ঠেকাতে চায়, সেই সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় কোনো ফল আসবে না বলেও মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন চাইলে বিএনপিকে ডাকতে পারে, আওয়ামী লীগকেও ডাকতে পারে, এ রকম হলে নির্বাচন কমিশনের ডাকে দল আলোচনায় অংশ নেবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনকালীন সরকার যেভাবে থাকে, সেভাবেই বর্তমান সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। নির্বাচনকালীন সরকারের আকার কী হবে সেটি প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করবেন।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৬ জুন) বিকেলে রাজধানীতে ১৪ দল আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধির সামনে বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসে রাজনৈতিক সংকট সমাধান করবে আওয়ামী লীগ। কেউ অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় আসার পাঁয়তারা করলে প্রতিরোধ করবে জনগণ।