Dhaka সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংরক্ষিত আসনে আ.লীগ থেকে এমপি হতে চান ১৫৪৯ জন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:১১:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ২০৩ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৪৮টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের বিপরীতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনলেন ১৫৪৯ জন। এতে দলটির আয় হয়েছে ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এবার ৫০টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ৪৮টি।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, গত তিন দিনে মোট মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ১৫৪৯টি। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। সেই সভায় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।

এসময় প্রার্থী সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে গেল কি না- এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, গত নির্বাচনের সময় কত সংখ্যক প্রার্থী ছিল সেটা কি মনে আছে? চৌদ্দশ’র বেশি ছিল। তখন সিট ছিল ৪৩টা, এখন ৪৮টা। ৫টা বেশি আছে।

তিনি বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক যে চর্চা, আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, বাংলাদেশে যতটুকু অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক চর্চা হয়, সেটা আওয়ামী লীগের ভেতরেই হয়। আমরা নিয়ম কানুন মেনে সবকিছু করে থাকি। ভুল ত্রুটি হয় না তা নয়, কারণ পারফেক্ট পৃথিবীতে কেউ নয়। এছাড়া আমরাই এদেশে একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা গণতন্ত্রের কথা মুখে বলি না, নিজেদের ঘরে চর্চা করি। আর বিএনপি সেটা করে না। তাদের কনফারেন্সও হয় না কত বছর।

এর আগে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে ফরম বিক্রির এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যা আজ বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে। এদিন দলটি ২১৭টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে আয় করে ১ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

দ্বিতীয় দিন ৫২২টি ফরম বিক্রি করা হয়েছে। এ থেকে মোট আয় হয়েছে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৬৭টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৮টি, সিলেট বিভাগে ২২টি, বরিশাল বিভাগে ৩৬টি, খুলনা বিভাগে ৬৮টি, রংপুর বিভাগে ৬০টি এবং রাজশাহী বিভাগে ৪৪টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে।

আর প্রথম দিন মোট ৮১০টি ফরম বিক্রি করেছিল ক্ষমতাসীন দল। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৭৫টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬২টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪৯টি, সিলেট বিভাগে ২৬টি, বরিশাল বিভাগে ৫৬টি, খুলনা বিভাগে ৭৭টি, রংপুর বিভাগে ৭৫টি এবং রাজশাহী বিভাগে ৯০টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছিল।

তিন দিনে ফরম সংগ্রহ করাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রীসহ অন্যান্য সংগঠনের পদধারীরা রয়েছেন। এই তালিকায় মন্ত্রী-এমপিদের স্ত্রী, আইনজীবী, অভিনেত্রী, এনজিও কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার নারীরা আছেন, আছেন হিজড়াও।

এবার সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের প্রতিটি মনোনয়ন ফরমের মূল্য ধরা হয় ৫০ হাজার টাকা, একাদশ জাতীয় সংসদের ক্ষেত্রে এটা ছিল ৩০ হাজার টাকা।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখানে তাদেরই মূল্যয়ান করা হবে যারা ত্যাগী-যোগ্য এবং দলের জন্য কাজ করেছেন।

এদিকে, মঙ্গলবার সংরক্ষিত ৫০টি মহিলা আসনের বণ্টন প্রশ্নে ইসি সচিব জানিয়েছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের অংশের নারী প্রার্থী নেওয়ার ক্ষমতা আওয়ামী লীগকে দিয়েছে। জাতীয় পার্টি তাদের ১১টি আসনে এককভবে নির্বাচন করবে। ফলে আইন অনুযায়ী, জাতীয় পার্টি পাবে দুটি আসন এবং আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্র ও তাদের ১৪ দলীয় জোট পাবে ৪৮টি আসন। এই বিভাজন অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইসহ পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচন আগামী ১৪ মার্চ নির্ধারণ করে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজধানীর আগারগাওঁয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এ তফসিল ঘোষণা করেন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার তারিখ আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি। আপিল দায়ের ২২ ফেব্রুয়ারি। আপিল নিষ্পত্তি ২৪ ফেব্রুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ ফেব্রুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ ২৭ ফেব্রুয়ারি। ভোটগ্রহণ হবে ১৪ মার্চ।

ভোটগ্রহণ চলবে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সংসদের ৩০০ আসনে সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত এমপিরা সংরক্ষিত আসনের জন্য ভোট দেবেন। ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব মনিরুজ্জামান এই নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন

সংরক্ষিত আসনে আ.লীগ থেকে এমপি হতে চান ১৫৪৯ জন

প্রকাশের সময় : ০৯:১১:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৪৮টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের বিপরীতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনলেন ১৫৪৯ জন। এতে দলটির আয় হয়েছে ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এবার ৫০টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ৪৮টি।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, গত তিন দিনে মোট মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ১৫৪৯টি। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। সেই সভায় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।

এসময় প্রার্থী সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে গেল কি না- এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, গত নির্বাচনের সময় কত সংখ্যক প্রার্থী ছিল সেটা কি মনে আছে? চৌদ্দশ’র বেশি ছিল। তখন সিট ছিল ৪৩টা, এখন ৪৮টা। ৫টা বেশি আছে।

তিনি বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক যে চর্চা, আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, বাংলাদেশে যতটুকু অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক চর্চা হয়, সেটা আওয়ামী লীগের ভেতরেই হয়। আমরা নিয়ম কানুন মেনে সবকিছু করে থাকি। ভুল ত্রুটি হয় না তা নয়, কারণ পারফেক্ট পৃথিবীতে কেউ নয়। এছাড়া আমরাই এদেশে একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা গণতন্ত্রের কথা মুখে বলি না, নিজেদের ঘরে চর্চা করি। আর বিএনপি সেটা করে না। তাদের কনফারেন্সও হয় না কত বছর।

এর আগে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে ফরম বিক্রির এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যা আজ বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে। এদিন দলটি ২১৭টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে আয় করে ১ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

দ্বিতীয় দিন ৫২২টি ফরম বিক্রি করা হয়েছে। এ থেকে মোট আয় হয়েছে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৬৭টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৮টি, সিলেট বিভাগে ২২টি, বরিশাল বিভাগে ৩৬টি, খুলনা বিভাগে ৬৮টি, রংপুর বিভাগে ৬০টি এবং রাজশাহী বিভাগে ৪৪টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে।

আর প্রথম দিন মোট ৮১০টি ফরম বিক্রি করেছিল ক্ষমতাসীন দল। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৭৫টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬২টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪৯টি, সিলেট বিভাগে ২৬টি, বরিশাল বিভাগে ৫৬টি, খুলনা বিভাগে ৭৭টি, রংপুর বিভাগে ৭৫টি এবং রাজশাহী বিভাগে ৯০টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছিল।

তিন দিনে ফরম সংগ্রহ করাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রীসহ অন্যান্য সংগঠনের পদধারীরা রয়েছেন। এই তালিকায় মন্ত্রী-এমপিদের স্ত্রী, আইনজীবী, অভিনেত্রী, এনজিও কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার নারীরা আছেন, আছেন হিজড়াও।

এবার সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের প্রতিটি মনোনয়ন ফরমের মূল্য ধরা হয় ৫০ হাজার টাকা, একাদশ জাতীয় সংসদের ক্ষেত্রে এটা ছিল ৩০ হাজার টাকা।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখানে তাদেরই মূল্যয়ান করা হবে যারা ত্যাগী-যোগ্য এবং দলের জন্য কাজ করেছেন।

এদিকে, মঙ্গলবার সংরক্ষিত ৫০টি মহিলা আসনের বণ্টন প্রশ্নে ইসি সচিব জানিয়েছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের অংশের নারী প্রার্থী নেওয়ার ক্ষমতা আওয়ামী লীগকে দিয়েছে। জাতীয় পার্টি তাদের ১১টি আসনে এককভবে নির্বাচন করবে। ফলে আইন অনুযায়ী, জাতীয় পার্টি পাবে দুটি আসন এবং আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্র ও তাদের ১৪ দলীয় জোট পাবে ৪৮টি আসন। এই বিভাজন অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইসহ পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচন আগামী ১৪ মার্চ নির্ধারণ করে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজধানীর আগারগাওঁয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এ তফসিল ঘোষণা করেন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার তারিখ আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি। আপিল দায়ের ২২ ফেব্রুয়ারি। আপিল নিষ্পত্তি ২৪ ফেব্রুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ ফেব্রুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ ২৭ ফেব্রুয়ারি। ভোটগ্রহণ হবে ১৪ মার্চ।

ভোটগ্রহণ চলবে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সংসদের ৩০০ আসনে সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত এমপিরা সংরক্ষিত আসনের জন্য ভোট দেবেন। ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব মনিরুজ্জামান এই নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন।