Dhaka বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সদস্য পদ স্থগিত করলো আইসিসি

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১০:২০:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩
  • ২০০ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিশ্বকাপে দলের খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড ভেঙে দিয়েছিল দেশটির সরকার। পরে আদালতের রায়ে পুরনো বোর্ড পুনর্বহাল হয়। তবে বোর্ডে সরকার হস্তক্ষেপ করায় শ্রীলঙ্কার শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) সদস্যপদ স্থগিত করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোনো দেশের ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ বরদাশত করে না আইসিসি। এর আগেও একবার এই নিয়ম ভাঙায় দেশটিকে সুযোগ-সুবিধা বাতিল করেছিল বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

বিবৃতিতে আইসিসি জানায়, আইসিসি বোর্ড আজ সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করেছে। বিশেষ করে, স্বাধীনভাবে কাজ করতে ক্রিকেট প্রশাসনকে সরকারি হস্তক্ষেপের বাইরে থাকার প্রয়োজন ছিল। সময়মতো এই স্থগিতাদেশের শর্তগুলো জানিয়ে দেবে আইসিসি বোর্ড।

বলা হচ্ছে, সরকারের হস্তক্ষেপের কারণেই এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট (জেডসি)ও একই ধরনের স্থগিতাদেশের মুখোমুখি হয়েছিল, যা তাদের ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে নিষিদ্ধ করেছিল।

লঙ্কানদের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রানাতুঙ্গাকে সভাপতি করে অন্তর্র্বতীকালীন কমিটি নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তিনি ছাড়াও কমিটিতে ছিলেন আরও ছয়জন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সাবেক সভাপতি উপালি ধর্মদাসা, আইনজীবী রাকিতা রাজাপক্ষে, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক এস আই ইমাম, ইরাঙ্গানি পেরেরা ও রোহিনী মারাসিংহে, ব্যবসায়ী হিশাম জামালদিন।

১৯৮১ সালে আইসিসির পূর্ণ সদস্যপদ পেয়েছিল দেশটি। ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে অনেকদিন ধরেই শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সম্পর্ক শীতল। শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া আইন অনুযায়ী অন্য খেলার মতো ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনেই থাকবে এসএলসি। কিন্তু আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী বোর্ডে সরকারি কোনো হস্তক্ষেপ থাকতে পারবে না। যে কারণে চাইলেও খুব একটা প্রভাব দেখাতে পারে না মন্ত্রণালয়। ২০১৪ সালে নির্বাচিত বোর্ড ভেঙে অন্তর্বর্তীকালীন এক কমিটি গড়েছিল শ্রীলঙ্কা সরকার। তখন আইসিসি শ্রীলঙ্কার প্রাপ্য অর্থ প্রদান স্থগিত করেছিল।

মূলত বছরখানেক ধরেই বোর্ডের সঙ্গে ক্রীড়ামন্ত্রীর দ্বন্দ্ব চরমে। এর কারণ গত বছরের অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ ও অন্যান্য ঘরোয়া টুর্নামেন্টের আর্থিক বিষয়াদি। ক্রীড়ামন্ত্রীর সমালোচনার জবাবে পাল্টা জবাব দিচ্ছিলেন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড অফিশিয়ালরাও। তবে এবার বিশ্বকাপ দলের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে পরিস্থিতি বদলে যায়।

গতকাল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বড় হারের মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা। পুরো আসরে ৯ ম্যাচের মধ্যে তারা মাত্র দুটিতে জয় পায়। যার কারণে ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাদের অংশগ্রহণও অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। ইতোমধ্যে লঙ্কান ক্রিকেটাররা দেশেও ফিরে গেছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সদস্য পদ স্থগিত করলো আইসিসি

প্রকাশের সময় : ১০:২০:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিশ্বকাপে দলের খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড ভেঙে দিয়েছিল দেশটির সরকার। পরে আদালতের রায়ে পুরনো বোর্ড পুনর্বহাল হয়। তবে বোর্ডে সরকার হস্তক্ষেপ করায় শ্রীলঙ্কার শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) সদস্যপদ স্থগিত করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোনো দেশের ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ বরদাশত করে না আইসিসি। এর আগেও একবার এই নিয়ম ভাঙায় দেশটিকে সুযোগ-সুবিধা বাতিল করেছিল বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

বিবৃতিতে আইসিসি জানায়, আইসিসি বোর্ড আজ সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করেছে। বিশেষ করে, স্বাধীনভাবে কাজ করতে ক্রিকেট প্রশাসনকে সরকারি হস্তক্ষেপের বাইরে থাকার প্রয়োজন ছিল। সময়মতো এই স্থগিতাদেশের শর্তগুলো জানিয়ে দেবে আইসিসি বোর্ড।

বলা হচ্ছে, সরকারের হস্তক্ষেপের কারণেই এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট (জেডসি)ও একই ধরনের স্থগিতাদেশের মুখোমুখি হয়েছিল, যা তাদের ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে নিষিদ্ধ করেছিল।

লঙ্কানদের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রানাতুঙ্গাকে সভাপতি করে অন্তর্র্বতীকালীন কমিটি নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তিনি ছাড়াও কমিটিতে ছিলেন আরও ছয়জন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সাবেক সভাপতি উপালি ধর্মদাসা, আইনজীবী রাকিতা রাজাপক্ষে, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক এস আই ইমাম, ইরাঙ্গানি পেরেরা ও রোহিনী মারাসিংহে, ব্যবসায়ী হিশাম জামালদিন।

১৯৮১ সালে আইসিসির পূর্ণ সদস্যপদ পেয়েছিল দেশটি। ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে অনেকদিন ধরেই শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সম্পর্ক শীতল। শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া আইন অনুযায়ী অন্য খেলার মতো ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনেই থাকবে এসএলসি। কিন্তু আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী বোর্ডে সরকারি কোনো হস্তক্ষেপ থাকতে পারবে না। যে কারণে চাইলেও খুব একটা প্রভাব দেখাতে পারে না মন্ত্রণালয়। ২০১৪ সালে নির্বাচিত বোর্ড ভেঙে অন্তর্বর্তীকালীন এক কমিটি গড়েছিল শ্রীলঙ্কা সরকার। তখন আইসিসি শ্রীলঙ্কার প্রাপ্য অর্থ প্রদান স্থগিত করেছিল।

মূলত বছরখানেক ধরেই বোর্ডের সঙ্গে ক্রীড়ামন্ত্রীর দ্বন্দ্ব চরমে। এর কারণ গত বছরের অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ ও অন্যান্য ঘরোয়া টুর্নামেন্টের আর্থিক বিষয়াদি। ক্রীড়ামন্ত্রীর সমালোচনার জবাবে পাল্টা জবাব দিচ্ছিলেন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড অফিশিয়ালরাও। তবে এবার বিশ্বকাপ দলের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে পরিস্থিতি বদলে যায়।

গতকাল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বড় হারের মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা। পুরো আসরে ৯ ম্যাচের মধ্যে তারা মাত্র দুটিতে জয় পায়। যার কারণে ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাদের অংশগ্রহণও অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। ইতোমধ্যে লঙ্কান ক্রিকেটাররা দেশেও ফিরে গেছেন।