পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিজ সংসদীয় আসনের সভায় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বক্তব্য দেয়ায় পঞ্চগড়-২ আসনের নৌকার প্রার্থী ও রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনকে শোকজের পর আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে জবাব দিয়েছেন।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারী জজ ইসমাঈল হোসাইন এর খাস কামরায় সশরীরে উপস্থিত হয়ে তিনি এ অঙ্গীকার করেন। এ সময় জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আমিনুর ইসলামসহ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিচারকের খাস কামরা থেকে বের হয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, বক্তব্যে আমি বলেছিলাম, যারা ভোট দেবেন না, আমি তাদের নামের একটা তালিকার কথা বলেছি। এই তালিকা তো থাকবেই। এই বক্তব্যে উস্কানির অভিযোগে আমাকে নোটিশ করা হয়েছিল। যে দুটি ধারায় নোটিশ দেওয়া হয়েছে, তা উস্কানিমূলক বক্তব্যের পর্যায়ে পড়ে না। প্রার্থী হিসেবে আমার দায়িত্ব ভোটারদের ভোট দেওয়ার আহ্বান করা। তারপরও যেহেতু আমাকে নোটিশ করা হয়েছে, তাই আমি এসেছি এবং ভবিষ্যতে আমি সতর্ক থাকার কথা বলেছি।
নোটিশের ব্যাপারে মন্ত্রী আদালতকে বলেছেন, যে দুটি ধারায় আপনারা নোটিশ দিয়েছেন তা এই ধারায় উসকানিমূলক বক্তব্যের মধ্যে এটা পড়ে না। একজন প্রার্থী হিসেবে আমার দায়িত্ব ভোটারদের আহ্বান জানানো এবং ভোট দেয়ার জন্য। এবং যারা ভোটে আসতেছে না, তাদের তালিকা আলাদা থাকছেই। এছাড়া ভোট কেউ দিবেন না, ভোটে কেউ আসবেন না এ ধরনের তো বক্তব্য দিইনি। তার পরেও যেহেতু নোটিশ করেছে, আমি এসেছি। এবং ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আমি সতর্ক থাকব। আমি নিজেও শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। আগামীতে এমন কোনো বক্তব্য দেব না যাতে ভোটারদের উৎসাহিত না করে বিপরীত হয়। তাই এ বিষয়ে সব সময় সতর্ক থাকব।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলী এলাকায় এক নির্বাচনী সভায় রেলমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘যারা ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবেন এবং যারা যাবেন না, তাদের দুইটি তালিকা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে যারা ভোট দেবেন না, তারা চেয়ারম্যান-মেম্বারের মাধ্যমে যে সুযোগ-সুবিধা পান সেই তালিকা থেকে নাম কাটা যেতে পারে।’ তাঁর এই বক্তব্য আমলে নিয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারী জজ ইসমাঈল হোসাইন মঙ্গলবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন এবং সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এর আগে পঞ্চগড়-১ আসনে নির্বাচনী সভায় জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার উস্কানিমূলক বক্তব্যের জন্য নৌকার প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান।