প্রায় শেষের পথে পদ্মা সেতু। ৩৮ নম্বর স্প্যান বসানোর পর পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য হয়েছে পৌনে ৬ কিলোমিটার। শনিবার (২১ নভেম্বর) মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ১ ও ২ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় স্প্যানটি। এতে করে এই প্রথম মুন্সীগঞ্জের মাটি স্পর্শ করলো স্বপ্নের সেতু।
সেতু প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানিয়েছেনম সর্বশেষ তিনটি স্প্যান বসবে ডিসেম্বরের মধ্যেই।
এর আগে গত ১২ নভেম্বর মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ৯ ও ১০ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় ৩৭তম স্প্যান। বাকি ৪টি স্প্যানের মধ্যে একটি বসল আজ।
সবচেয়ে শুরুর স্প্যান হলেও এত দেরিতে এটি বসার কারণ, ইংরেজি ‘এইচ’ বর্ণমালা আকৃতির পদ্মা সেতুর প্রতিটি স্প্যানের ডিজাইন আলাদা। এ স্থানের স্প্যানটির যন্ত্রাংশ চীন থেকে এসেছে অনেক পরে।
এ ছাড়া অনান্য পিলারের চেয়ে ১ নম্বর পিলারের গঠন সম্পূর্ণ ভিন্ন। সাধারণত অন্য পিলারগুলোতে ৬ থেকে ৭টি পাইল ব্যবহার করা হলেও শক্তিশালী এ পিলারটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৬টি পাইল। এ পিলার দিয়েই সেতুতে গাড়ি ও ট্রেন প্রবেশ করবে।
আরও পড়ুন : ঢাকা-আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শুরু ডিসেম্বরে
তবে অন্য স্প্যানগুলো পানিতে বসানো হলেও ৩৮তম স্প্যানের একটি পিলার মাওয়া পাড়ে। মাটিতে পিলার থাকার কারণে স্প্যানটি নিয়ে ক্রেন আসার জন্য নদীপাড়ের বড় একটি অংশ কেটে ফেলতে হয়।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, ‘স্প্যানটি গত ১৬ নভেম্বর বসানোর পূর্ব সিডিউল ছিল। তবে নির্ধারিত দুটি পিলার একটি ডাঙায় (স্থলে) ও অপরটি নদীতে থাকায় ড্রেজিং করে পিয়ার দুটির মাঝের স্থানটি স্প্যানবাহী ভাসমান ক্রেনের চলাচলের উপযোগী করতে হয়। এরপর কারিগরি অন্যান্য খুঁটিনাটি যন্ত্রাংশ প্রস্তুত করতে আরো কয়েকদিন সময় লেগে যায়।’
মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।