Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেষে এসে জ্বলে উঠলো বাংলাদেশ

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১২:০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৯১ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জয়ের পর টানা ছয় ম্যাচে হারায় সবার আগে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছে টাইগাররা। এমন ভরাডুবিতে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লাল-সবুজ দল খেলতে পারবে কিনা তা নিয়েও আছে অনিশ্চয়তা। সেই শঙ্কা মাথায় নিয়েই আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করতে নেমে চারিথ আসালঙ্কার শতকে ৪৯.৩ ওভারে ২৭৯ রান তুলে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ২৮০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিবের রেকর্ড ১৬৯ রানের জুটিতে ভর করে ৫৩ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটের জয় তুলে নেয় টাইগাররা। ফলে দীর্ঘ ৬ ম্যাচ পর জয়ের ধারায় ফিরে এখনো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আশা বেঁচে রয়েছে টাইগারদের।

আফগানিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে শুভ সূচনা করেছিলো টাইগাররা। কিন্তু বিশ্বকাপে এরপরে যাত্রা শুধুই হতাশার। একের পর এক ম্যাচ হেরে সবার আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছিলো টাইগারদের। নেদারল্যান্ডসের মত দলের কাছেও হারতে হয়েছিলো সাকিব আল হাসানদের।

কিন্তু আইসিসির নতুন নিয়মে বাংলাদেশের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনাই শেষ হতে বসেছিলো প্রায়। বিশ্বকাপে সেরা আট দলের মধ্যে থাকতে পারলেই কেবল ২০২৫ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সুযোগ পাবে টাইগাররা।

২৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারটা দেখেশুনেই খেলেছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। শেষ দুই বলে তানজিদ দুটি চার মারেন। দ্বিতীয় ওভারে এক চারের সঙ্গে আসে তিনটি সিঙ্গেল রান। ভালোই আগাচ্ছিল ইনিংস, এর মাঝেই পরের ওভারের প্রথম বলে দিলশান মাদুশঙ্কাকে মারতে গিয়ে ওপরে ক্যাচ তুলে দেন তামিম। টানা ব্যাট হাতে ব্যর্থ তামিম আজও ফিরেছেন ৫ বলে ৯ রান করে। এরপর অল্প সময়ের ব্যবধানে ফিরেন লিটনও। ৬ রানের মাথায় তিনি জীবন পেয়েছিলেন। পরে কাসুন রাজিথার ওপর চড়াও হয়ে পরপর ২ বলে ২টি ছক্কা মারার পরই পায়ে টান পড়ে তার। বেশ খানিকটা সময় নিয়ে ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুত হয়ে মাদুশঙ্কার এক ইয়র্কারে এলবডব্লিউ হন লিটন। সাজঘরে ফেরার আগে তিনি ২৩ বলে ২২ রান করেন।

দুই ওপেনার ৪১ রানে ফিরলেও দলকে টেনে নিয়েছেন শান্ত ও সাকিব জুটি। যা শেষ পর্যন্ত ১৬৯ গিয়ে ঠেকে। দিল্লিতে শান্ত ও সাকিবের দারুণ ব্যাটিং দেখে সমর্থকদের আফসোস বরং বাড়তে পারে আরও! বড্ড দেরি হয়ে গেল যে। আসরজুড়ে রানখরায় ভুগেছে টাইগার ব্যাটাররা। দারুণ বোঝাপড়ায় তারা সেঞ্চুরির পথেই হাঁটছিলেন। ৩২তম ওভারে ম্যাথিউসের থেমে আসা বলে লিডিং-এজে মিড অফে আসালাঙ্কার হাতে ধরা পড়েন সাকিব। ১২ চার ও ২ ছক্কায় ৬৫ বলে ৮২ রানে টাইগার অধিনায়ক থামেন।

ব্যাক্তিগত ৮২ রানের মাথায় সাকিবকে ফেরানোর পর ৯০ রানের মাথায় সেই ম্যাথিউসেরই শিকার হলেন শান্ত। অফ স্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা মারতে গিয়ে ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে বোল্ড হন শান্ত। ১২ চারে ১০১ বলে তিনি খেলেছেন ৯০ রানের ইনিংস। তার বিদায়ে স্বস্তি উবে যায় বাংলাদেশের। পরপর উইকেট দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও ফর্মে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মুশফিক ১০ ও রিয়াদ করেন ২২ রান।

শেষদিকে নাটকীয়তা তৈরি হতে পারত আরও। তাওহীয় হৃদয় ক্রিজে আসতেই তাকে স্লেজিং করতে থাকেন আসালাঙ্কা। যার জবাব তিনি পরপর দুই ওভারে লং-অন ও মিড-অনে দুটি ছয় হাঁকিয়ে দেন। তার ৭ বলে ১৫ রানের ইনিংস বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যায়।

লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন পেসার দিলশান মাদুশঙ্কা। এছাড়া দুটি করে শিকার করেন ম্যাথিউস ও মাহেশ থিকশানা।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কার হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল পেরেরা। তবে শুরুটা ভালো করতে পারেননি লঙ্কানরা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই টাইগারদের আনন্দে ভাসান শরিফুল ইসলাম। ওভারের শেষ বলে মুশফিকুর রহিমের তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন কুশল পেরেরা। আউট হবার আগে মাত্র ৪ রান করেন এই ব্যাটার।

তবে দ্বিতীয় উইকেটে শুরুর ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। পাওয়ার প্লের বাকিটা সময় নির্বিঘ্নে কাটান দুজন, গড়েন পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি। ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে উঠতে থাকা এই জুটি ভাঙেন টাইগার অধিনায়ক। দলীয় ৬৬ রানে লঙ্কান অধিনায়ক ফেরেন ১৯ রানে।

সঙ্গীর বিদায়ের পর দ্রুত সাজঘরে ফেরেন নিশাঙ্কাও। দলীয় ৭২ রানে বিশ্বকাপে অভিষেক হওয়া তানজিম সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে করেন ৪১ রান। এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন সাদিরা সামারাবিক্রমা ও চারিথ আসালঙ্কা।

দুই মিডেল অর্ডার ব্যাটার মিলে বাংলাদেশের বোলারদের উপর চড়াও হন। ক্রমেই বিধ্বংসী হয়ে উঠা জুটি ২৫তম ওভারে ভাঙেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব। দলীয় ১৩৫ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে সাদিরা সাজঘরে ফিরে গেলে ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ। তবে সেই ওভারেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ১৪৬ বছরের ইতিহাসে ভিন্ন রকম এক ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৫তম ওভারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটার হিসেবে টাইমড আউট হয়েছেন ম্যাথিউস। কোনো বল খেলার আগেই টাইমড আউট হয়ে গেছেন তিনি। যে হেলমেট নিয়ে নেমেছিলেন, তাতে পুরো নিরাপদ বোধ করেননি তিনি। ফলে আরেকটি হেলমেট আনা হয়, কিন্তু সেটিও উপযুক্ত মনে করেননি এই ব্যাটার। এসবের মাঝে সময় গড়াতে থাকে, ফলে টাইগার অধিনায়ক সাকিব আবেদন করলে আম্পায়াররা আউট ঘোষণা দেন।

ফলে কোন বল না খেলেই সাজঘরে ফিরেন ম্যাথিউস। দলীয় ১৩৫ রানে পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটলেও দলের রানের চাকা সচল রাখেন চারিথ আসালঙ্কা।

শেষ দিকে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও মাহিথ থিকসানাকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীলঙ্কার বড় রানের পুঁজি নিশ্চিত করেন আসালঙ্কা। সেই সঙ্গে এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে তুলে নেন তার ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপ শতক। এই বাঁহাতি ব্যাটারের শতকে ভর করে ৪৯.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৭৯ রানের সংগ্রহ পায় লঙ্কানরা। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ১০৮ রান করেন আসালঙ্কা। টাইগারদের হয়ে ৩টি উইকেট নেন তানজিম সাকিব। ২টি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান ও শরিফুল ইসলাম।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়ক চার লেন দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন 

শেষে এসে জ্বলে উঠলো বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ১২:০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জয়ের পর টানা ছয় ম্যাচে হারায় সবার আগে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছে টাইগাররা। এমন ভরাডুবিতে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে লাল-সবুজ দল খেলতে পারবে কিনা তা নিয়েও আছে অনিশ্চয়তা। সেই শঙ্কা মাথায় নিয়েই আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করতে নেমে চারিথ আসালঙ্কার শতকে ৪৯.৩ ওভারে ২৭৯ রান তুলে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ২৮০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিবের রেকর্ড ১৬৯ রানের জুটিতে ভর করে ৫৩ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটের জয় তুলে নেয় টাইগাররা। ফলে দীর্ঘ ৬ ম্যাচ পর জয়ের ধারায় ফিরে এখনো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আশা বেঁচে রয়েছে টাইগারদের।

আফগানিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে শুভ সূচনা করেছিলো টাইগাররা। কিন্তু বিশ্বকাপে এরপরে যাত্রা শুধুই হতাশার। একের পর এক ম্যাচ হেরে সবার আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছিলো টাইগারদের। নেদারল্যান্ডসের মত দলের কাছেও হারতে হয়েছিলো সাকিব আল হাসানদের।

কিন্তু আইসিসির নতুন নিয়মে বাংলাদেশের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনাই শেষ হতে বসেছিলো প্রায়। বিশ্বকাপে সেরা আট দলের মধ্যে থাকতে পারলেই কেবল ২০২৫ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সুযোগ পাবে টাইগাররা।

২৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারটা দেখেশুনেই খেলেছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। শেষ দুই বলে তানজিদ দুটি চার মারেন। দ্বিতীয় ওভারে এক চারের সঙ্গে আসে তিনটি সিঙ্গেল রান। ভালোই আগাচ্ছিল ইনিংস, এর মাঝেই পরের ওভারের প্রথম বলে দিলশান মাদুশঙ্কাকে মারতে গিয়ে ওপরে ক্যাচ তুলে দেন তামিম। টানা ব্যাট হাতে ব্যর্থ তামিম আজও ফিরেছেন ৫ বলে ৯ রান করে। এরপর অল্প সময়ের ব্যবধানে ফিরেন লিটনও। ৬ রানের মাথায় তিনি জীবন পেয়েছিলেন। পরে কাসুন রাজিথার ওপর চড়াও হয়ে পরপর ২ বলে ২টি ছক্কা মারার পরই পায়ে টান পড়ে তার। বেশ খানিকটা সময় নিয়ে ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুত হয়ে মাদুশঙ্কার এক ইয়র্কারে এলবডব্লিউ হন লিটন। সাজঘরে ফেরার আগে তিনি ২৩ বলে ২২ রান করেন।

দুই ওপেনার ৪১ রানে ফিরলেও দলকে টেনে নিয়েছেন শান্ত ও সাকিব জুটি। যা শেষ পর্যন্ত ১৬৯ গিয়ে ঠেকে। দিল্লিতে শান্ত ও সাকিবের দারুণ ব্যাটিং দেখে সমর্থকদের আফসোস বরং বাড়তে পারে আরও! বড্ড দেরি হয়ে গেল যে। আসরজুড়ে রানখরায় ভুগেছে টাইগার ব্যাটাররা। দারুণ বোঝাপড়ায় তারা সেঞ্চুরির পথেই হাঁটছিলেন। ৩২তম ওভারে ম্যাথিউসের থেমে আসা বলে লিডিং-এজে মিড অফে আসালাঙ্কার হাতে ধরা পড়েন সাকিব। ১২ চার ও ২ ছক্কায় ৬৫ বলে ৮২ রানে টাইগার অধিনায়ক থামেন।

ব্যাক্তিগত ৮২ রানের মাথায় সাকিবকে ফেরানোর পর ৯০ রানের মাথায় সেই ম্যাথিউসেরই শিকার হলেন শান্ত। অফ স্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা মারতে গিয়ে ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে বোল্ড হন শান্ত। ১২ চারে ১০১ বলে তিনি খেলেছেন ৯০ রানের ইনিংস। তার বিদায়ে স্বস্তি উবে যায় বাংলাদেশের। পরপর উইকেট দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও ফর্মে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মুশফিক ১০ ও রিয়াদ করেন ২২ রান।

শেষদিকে নাটকীয়তা তৈরি হতে পারত আরও। তাওহীয় হৃদয় ক্রিজে আসতেই তাকে স্লেজিং করতে থাকেন আসালাঙ্কা। যার জবাব তিনি পরপর দুই ওভারে লং-অন ও মিড-অনে দুটি ছয় হাঁকিয়ে দেন। তার ৭ বলে ১৫ রানের ইনিংস বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যায়।

লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন পেসার দিলশান মাদুশঙ্কা। এছাড়া দুটি করে শিকার করেন ম্যাথিউস ও মাহেশ থিকশানা।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কার হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল পেরেরা। তবে শুরুটা ভালো করতে পারেননি লঙ্কানরা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই টাইগারদের আনন্দে ভাসান শরিফুল ইসলাম। ওভারের শেষ বলে মুশফিকুর রহিমের তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন কুশল পেরেরা। আউট হবার আগে মাত্র ৪ রান করেন এই ব্যাটার।

তবে দ্বিতীয় উইকেটে শুরুর ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। পাওয়ার প্লের বাকিটা সময় নির্বিঘ্নে কাটান দুজন, গড়েন পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি। ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে উঠতে থাকা এই জুটি ভাঙেন টাইগার অধিনায়ক। দলীয় ৬৬ রানে লঙ্কান অধিনায়ক ফেরেন ১৯ রানে।

সঙ্গীর বিদায়ের পর দ্রুত সাজঘরে ফেরেন নিশাঙ্কাও। দলীয় ৭২ রানে বিশ্বকাপে অভিষেক হওয়া তানজিম সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে করেন ৪১ রান। এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন সাদিরা সামারাবিক্রমা ও চারিথ আসালঙ্কা।

দুই মিডেল অর্ডার ব্যাটার মিলে বাংলাদেশের বোলারদের উপর চড়াও হন। ক্রমেই বিধ্বংসী হয়ে উঠা জুটি ২৫তম ওভারে ভাঙেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব। দলীয় ১৩৫ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে সাদিরা সাজঘরে ফিরে গেলে ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ। তবে সেই ওভারেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ১৪৬ বছরের ইতিহাসে ভিন্ন রকম এক ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৫তম ওভারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটার হিসেবে টাইমড আউট হয়েছেন ম্যাথিউস। কোনো বল খেলার আগেই টাইমড আউট হয়ে গেছেন তিনি। যে হেলমেট নিয়ে নেমেছিলেন, তাতে পুরো নিরাপদ বোধ করেননি তিনি। ফলে আরেকটি হেলমেট আনা হয়, কিন্তু সেটিও উপযুক্ত মনে করেননি এই ব্যাটার। এসবের মাঝে সময় গড়াতে থাকে, ফলে টাইগার অধিনায়ক সাকিব আবেদন করলে আম্পায়াররা আউট ঘোষণা দেন।

ফলে কোন বল না খেলেই সাজঘরে ফিরেন ম্যাথিউস। দলীয় ১৩৫ রানে পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটলেও দলের রানের চাকা সচল রাখেন চারিথ আসালঙ্কা।

শেষ দিকে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও মাহিথ থিকসানাকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীলঙ্কার বড় রানের পুঁজি নিশ্চিত করেন আসালঙ্কা। সেই সঙ্গে এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে তুলে নেন তার ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপ শতক। এই বাঁহাতি ব্যাটারের শতকে ভর করে ৪৯.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৭৯ রানের সংগ্রহ পায় লঙ্কানরা। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ১০৮ রান করেন আসালঙ্কা। টাইগারদের হয়ে ৩টি উইকেট নেন তানজিম সাকিব। ২টি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান ও শরিফুল ইসলাম।