Dhaka বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেষ ৬ ব্যাটার মিলে করলেন ৩ রান, পাকিস্তান হারল ৭৩ রানে

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৮:১১:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
  • ২৬৭ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ৩৪৫ রানের লক্ষ্যে নেমে চাহিদা তখন আর ৯৬ রানের। বল বাকি ৬৯। হাতে জমা ৭ উইকেট। ক্রিজে দুই থিতু ব্যাটার অভিজ্ঞ বাবর আজম ও অধিনায়ক সালমান আগা। অর্থাৎ জয়ের সম্ভাবনা খুব ভালোভাবেই টিকেছিল পাকিস্তানের। তবে সেদিকে না এগিয়ে নিজেদের ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ তকমাটা প্রমাণে যেন ব্যস্ত হয়ে পড়ল দলটি!

ইনিংসের ৩৯তম ওভারে উইলিয়াম ও’রোর্কের চতুর্থ বলটি পুল করে সীমানাছাড়া করতে চেয়েছিলেন বাবর। সংযোগ প্রায় ঠিকঠাকই হয়। তবে ডিপ স্কয়ার লেগে বাউন্ডারি লাইনের সামান্য ভেতরে থেকে ক্যাচ লুফে নেন ড্যারিল মিচেল। শুরু হয় পাকিস্তানের ইনিংসে নাটকীয় ধস। হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে তারা। ৩৪ বলের মধ্যে ২২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয়ে যায় ২৭১ রানে। তখনও বাকি ছিল ৩৫ বল।

পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপের শেষ ছয়জন মিলে করেন স্রেফ ৩ রান! তায়্যিব তাহির ১ রানে কাটা পড়েন রানআউটে। ইরফান খানকে গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ দেন জ্যাকব ডাফি। নাসিম শাহ (০) ও হারিস রউফ (১) ফেরেন ন্যাথান স্মিথের একই ওভারে। ক্ষীণ আশা হয়ে ক্রিজে থাকা সালমান ডাফির বলে বিদায় নেওয়ার পর আকিফ জাভেদকে ১ রানে আউট করেন স্মিথ। মোহাম্মদ আলী শূন্য রানে অপরাজিত থাকেন।

শনিবার (২৯ মার্চ) নেপিয়ারে প্রথম ওয়ানডেতে শেষমেশ পাকিস্তান হেরেছে ৭৩ রানের বড় ব্যবধানে। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া নিউজিল্যান্ড নির্ধারিত ৫০ ওভারে পেয়েছিল ৯ উইকেটে ৩৪৪ রানের বড় পুঁজি। নিয়মিত তারকাদের ছাড়াই দুর্দান্ত জয়ে তারা তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে।

ম্যাকলিন পার্কে টস জিতে বোলিং নেন রিজওয়ান। পাকিস্তান অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে মনে হচ্ছিল দারুণ কার্যকর। উইকেটে সহায়তা ছিল পেসারদের জন্য। দারুণ বোলিংয়ে তারা চেপে ধরেন কিউই টপ অর্ডারকে।

১১ বল খেলে ১ রান করে নাসিম শাহর শিকার হন উইল ইয়াং। আরেক ওপেনার অভিষিক্ত নিক কেলি ও বদলি হিসেবে স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়া হেনরি নিকোলস ধুঁকছিলেন ব্যাটে-বলে করতেই।

বিপিএল মাতিয়ে পাকিস্তান দলে জায়গা করে নেওয়া আকিফ জাভেদ আন্তর্জাতিক অভিষেকে দুর্দান্ত বোলিং করেন প্রথম স্পেলে। কেলির (২৯ বলে ১৫) স্টাম্প উড়িয়ে প্রথম উইকেটের স্বাদ পান তিনি। পরে ফিরিয়ে দেন নিকোলসকেও (২৫ বলে ১১)।

৫০ রানে ৩ উইকেট হারায় নিউ জিল্যান্ড, রান রেট তখন চারের নিচে।

চাপম্যান ও মিচেল সময় নেন শুরুতে। উইকেট বুঝে ধরে ধীরে ইনিংস গড়ার পথ বেছে নেন তারা। ২০ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের রান ছিল ৭৫। চ্যাপম্যানের রান তখন ৩৪ বলে ১৫।

সময়ের সঙ্গে উইকেট সহজ হয়ে আসে। দুই ব্যাটসম্যানও ছন্দ পেয়ে রানের গতি বাড়াতে থাকেন। চার বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে নামা পাকিস্তান বিপদে পড়ে যায় পঞ্চম বোলার নিয়ে। অলরাউন্ডার সালমান আলি আগার অফ স্পিন আক্রমণে আনতেই চড়াও হন দুই ব্যাটসম্যান। বাধ্য হয়ে ইরফান খান নিয়াজির হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক, লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে আগে কখনও বোলিং করেননি যিনি। পরে মূল বোলারদের ওপরও ছড়ি ঘোরান দুই কিউই ব্যাটসম্যান।

৬৩ বলে ফিফটি করা চ্যাপম্যান সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান ৯৪ বলেই। ৭৪ বলে ফিফটি করার পর ঝড় তোলেন মিচেলও। জুটি থামে ১৭৪ বলে ১৯৯ রান তুলে। চারটি করে চার ও ছক্কায় ৮৪ বলে ৭৬ করেন মিচেল।

চতুর্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে চ্যাপম্যান থামেন ১৩ চার ও ৬ ছক্কায় ১৩২ রান করে। তার আগের সর্বোচ্চ ছিল ১২৪, যে ইনিংসটি তিনি খেলেছিলেন ওয়ানডে অভিষেকেই, জন্মভূমি হংকংয়ের হয়ে। পরে তিনি বেছে নেন বাবার দেশ নিউ জিল্যান্ডকে।

এরকমই চমকপ্রদ গল্প মুহাম্মাদ আব্বাসের। ২০০৩ সালে তার জন্ম পাকিস্তানের লাহোরে। বাবা আজহার আব্বাস প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন পাকিস্তানে। গোটা পরিবার পরে চলে যায় নিউ জিল্যান্ড। সেখানকার ক্রিকেট সিস্টেমে বেড়ে উঠে সেটিই এখন আব্বাসের দেশ। অভিষেকে তিনি দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়লেন জন্মভূমির বিপক্ষেই।

ছয়ে নেমে ২৬ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন আব্বাস। ফিফটি করেন ২৪ বলে। ওয়ানডে অভিষেকে দ্রুততম ফিফটির আগের রেকর্ড ছিল যৌথভাবে ক্রুনাল পান্ডিয়া ও আলিক আথানেজের, ২৬ বলে। ৩৫ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের রান ছিল ১৭৮। পরের ১৫ ওভারে আসে ১৬৬ রান। সালমানের ৫ ওভার থেকে আসে ৬৭ রান। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে প্রথমবার বোলিং করে তিন উইকেট নিলেও ইরফানের ৫ ওভার থেকে আসে ৫১ রান।

রান তাড়ায় পাকিস্তানের দুই ওপেনারের শুরুটা ছিল ভালো। তবে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউই। অভিষেকে ৩৩ বলে ৩৯ করেন উসমান খান। জুটি থামে ৮৩ রানে। আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শাফিক ফেরেন ৩৯ বলে ৩৬ রান করে।

এরপর পাকিস্তানকে এগিয়ে নেন মূল দুই ভরসা বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। শুরুতে অবশ্য রানের গতিটা ধরে রাখতে পারেননি দুজন। পরে চেষ্টা করেন গতি বাড়াতে। প্রয়োজন ছিল চ্যাপম্যানের মতো আগ্রাসী ও বড় ইনিংস খেলার। সেটা পারেননি কেউই। জুটিতে ৭৬ রান আসে ৭৯ বলে। রিজওয়ানকে (৩৪ বলে ৩০) বিদায় করে প্রথম ওয়ানডে উইকেটের দেখা পান আব্বাস।

এরপরও পাকিস্তানের আশা ধরে রেখেছিলেন বাবর ও সালমান আলি আগা। ৫৯ বলে ৮৫ রানের জুটি গড়েন দুজন। ৮৩ বলে ৭৮ করে বাবরের বিদায়ের পর থেকেই ক্রমে মুছে যায় দলের সম্ভাবনা।

এরপর কেবল একের পর এক ব্যাটসম্যানের আসা-যাওয়া। সালমান আউট হন ৪৮ বলে ৫৮ রান করে। ৫.৩ ওভারের মধ্যে পতন হয় শেষ ৭ উইকেটের। শেষ ছয় ব্যাটসম্যানের তিনজন করেন এক রান করে, তিনজন শূন্য।

নবম ওয়ানডেতে প্রথমবার চার উইকেটের স্বাদ পান ন্যাথান স্মিথ। সিরিজের পরের ম্যাচ বুধবার হ্যামিল্টনে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নারায়ণগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১০

শেষ ৬ ব্যাটার মিলে করলেন ৩ রান, পাকিস্তান হারল ৭৩ রানে

প্রকাশের সময় : ০৮:১১:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ৩৪৫ রানের লক্ষ্যে নেমে চাহিদা তখন আর ৯৬ রানের। বল বাকি ৬৯। হাতে জমা ৭ উইকেট। ক্রিজে দুই থিতু ব্যাটার অভিজ্ঞ বাবর আজম ও অধিনায়ক সালমান আগা। অর্থাৎ জয়ের সম্ভাবনা খুব ভালোভাবেই টিকেছিল পাকিস্তানের। তবে সেদিকে না এগিয়ে নিজেদের ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ তকমাটা প্রমাণে যেন ব্যস্ত হয়ে পড়ল দলটি!

ইনিংসের ৩৯তম ওভারে উইলিয়াম ও’রোর্কের চতুর্থ বলটি পুল করে সীমানাছাড়া করতে চেয়েছিলেন বাবর। সংযোগ প্রায় ঠিকঠাকই হয়। তবে ডিপ স্কয়ার লেগে বাউন্ডারি লাইনের সামান্য ভেতরে থেকে ক্যাচ লুফে নেন ড্যারিল মিচেল। শুরু হয় পাকিস্তানের ইনিংসে নাটকীয় ধস। হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে তারা। ৩৪ বলের মধ্যে ২২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয়ে যায় ২৭১ রানে। তখনও বাকি ছিল ৩৫ বল।

পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপের শেষ ছয়জন মিলে করেন স্রেফ ৩ রান! তায়্যিব তাহির ১ রানে কাটা পড়েন রানআউটে। ইরফান খানকে গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ দেন জ্যাকব ডাফি। নাসিম শাহ (০) ও হারিস রউফ (১) ফেরেন ন্যাথান স্মিথের একই ওভারে। ক্ষীণ আশা হয়ে ক্রিজে থাকা সালমান ডাফির বলে বিদায় নেওয়ার পর আকিফ জাভেদকে ১ রানে আউট করেন স্মিথ। মোহাম্মদ আলী শূন্য রানে অপরাজিত থাকেন।

শনিবার (২৯ মার্চ) নেপিয়ারে প্রথম ওয়ানডেতে শেষমেশ পাকিস্তান হেরেছে ৭৩ রানের বড় ব্যবধানে। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া নিউজিল্যান্ড নির্ধারিত ৫০ ওভারে পেয়েছিল ৯ উইকেটে ৩৪৪ রানের বড় পুঁজি। নিয়মিত তারকাদের ছাড়াই দুর্দান্ত জয়ে তারা তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে।

ম্যাকলিন পার্কে টস জিতে বোলিং নেন রিজওয়ান। পাকিস্তান অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে মনে হচ্ছিল দারুণ কার্যকর। উইকেটে সহায়তা ছিল পেসারদের জন্য। দারুণ বোলিংয়ে তারা চেপে ধরেন কিউই টপ অর্ডারকে।

১১ বল খেলে ১ রান করে নাসিম শাহর শিকার হন উইল ইয়াং। আরেক ওপেনার অভিষিক্ত নিক কেলি ও বদলি হিসেবে স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়া হেনরি নিকোলস ধুঁকছিলেন ব্যাটে-বলে করতেই।

বিপিএল মাতিয়ে পাকিস্তান দলে জায়গা করে নেওয়া আকিফ জাভেদ আন্তর্জাতিক অভিষেকে দুর্দান্ত বোলিং করেন প্রথম স্পেলে। কেলির (২৯ বলে ১৫) স্টাম্প উড়িয়ে প্রথম উইকেটের স্বাদ পান তিনি। পরে ফিরিয়ে দেন নিকোলসকেও (২৫ বলে ১১)।

৫০ রানে ৩ উইকেট হারায় নিউ জিল্যান্ড, রান রেট তখন চারের নিচে।

চাপম্যান ও মিচেল সময় নেন শুরুতে। উইকেট বুঝে ধরে ধীরে ইনিংস গড়ার পথ বেছে নেন তারা। ২০ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের রান ছিল ৭৫। চ্যাপম্যানের রান তখন ৩৪ বলে ১৫।

সময়ের সঙ্গে উইকেট সহজ হয়ে আসে। দুই ব্যাটসম্যানও ছন্দ পেয়ে রানের গতি বাড়াতে থাকেন। চার বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে নামা পাকিস্তান বিপদে পড়ে যায় পঞ্চম বোলার নিয়ে। অলরাউন্ডার সালমান আলি আগার অফ স্পিন আক্রমণে আনতেই চড়াও হন দুই ব্যাটসম্যান। বাধ্য হয়ে ইরফান খান নিয়াজির হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক, লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে আগে কখনও বোলিং করেননি যিনি। পরে মূল বোলারদের ওপরও ছড়ি ঘোরান দুই কিউই ব্যাটসম্যান।

৬৩ বলে ফিফটি করা চ্যাপম্যান সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান ৯৪ বলেই। ৭৪ বলে ফিফটি করার পর ঝড় তোলেন মিচেলও। জুটি থামে ১৭৪ বলে ১৯৯ রান তুলে। চারটি করে চার ও ছক্কায় ৮৪ বলে ৭৬ করেন মিচেল।

চতুর্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে চ্যাপম্যান থামেন ১৩ চার ও ৬ ছক্কায় ১৩২ রান করে। তার আগের সর্বোচ্চ ছিল ১২৪, যে ইনিংসটি তিনি খেলেছিলেন ওয়ানডে অভিষেকেই, জন্মভূমি হংকংয়ের হয়ে। পরে তিনি বেছে নেন বাবার দেশ নিউ জিল্যান্ডকে।

এরকমই চমকপ্রদ গল্প মুহাম্মাদ আব্বাসের। ২০০৩ সালে তার জন্ম পাকিস্তানের লাহোরে। বাবা আজহার আব্বাস প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন পাকিস্তানে। গোটা পরিবার পরে চলে যায় নিউ জিল্যান্ড। সেখানকার ক্রিকেট সিস্টেমে বেড়ে উঠে সেটিই এখন আব্বাসের দেশ। অভিষেকে তিনি দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়লেন জন্মভূমির বিপক্ষেই।

ছয়ে নেমে ২৬ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন আব্বাস। ফিফটি করেন ২৪ বলে। ওয়ানডে অভিষেকে দ্রুততম ফিফটির আগের রেকর্ড ছিল যৌথভাবে ক্রুনাল পান্ডিয়া ও আলিক আথানেজের, ২৬ বলে। ৩৫ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের রান ছিল ১৭৮। পরের ১৫ ওভারে আসে ১৬৬ রান। সালমানের ৫ ওভার থেকে আসে ৬৭ রান। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে প্রথমবার বোলিং করে তিন উইকেট নিলেও ইরফানের ৫ ওভার থেকে আসে ৫১ রান।

রান তাড়ায় পাকিস্তানের দুই ওপেনারের শুরুটা ছিল ভালো। তবে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউই। অভিষেকে ৩৩ বলে ৩৯ করেন উসমান খান। জুটি থামে ৮৩ রানে। আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শাফিক ফেরেন ৩৯ বলে ৩৬ রান করে।

এরপর পাকিস্তানকে এগিয়ে নেন মূল দুই ভরসা বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। শুরুতে অবশ্য রানের গতিটা ধরে রাখতে পারেননি দুজন। পরে চেষ্টা করেন গতি বাড়াতে। প্রয়োজন ছিল চ্যাপম্যানের মতো আগ্রাসী ও বড় ইনিংস খেলার। সেটা পারেননি কেউই। জুটিতে ৭৬ রান আসে ৭৯ বলে। রিজওয়ানকে (৩৪ বলে ৩০) বিদায় করে প্রথম ওয়ানডে উইকেটের দেখা পান আব্বাস।

এরপরও পাকিস্তানের আশা ধরে রেখেছিলেন বাবর ও সালমান আলি আগা। ৫৯ বলে ৮৫ রানের জুটি গড়েন দুজন। ৮৩ বলে ৭৮ করে বাবরের বিদায়ের পর থেকেই ক্রমে মুছে যায় দলের সম্ভাবনা।

এরপর কেবল একের পর এক ব্যাটসম্যানের আসা-যাওয়া। সালমান আউট হন ৪৮ বলে ৫৮ রান করে। ৫.৩ ওভারের মধ্যে পতন হয় শেষ ৭ উইকেটের। শেষ ছয় ব্যাটসম্যানের তিনজন করেন এক রান করে, তিনজন শূন্য।

নবম ওয়ানডেতে প্রথমবার চার উইকেটের স্বাদ পান ন্যাথান স্মিথ। সিরিজের পরের ম্যাচ বুধবার হ্যামিল্টনে।