Dhaka মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেষ মুহূর্তে গোল ভুটানের কাছে হেরে গেল বাংলাদেশ

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪০:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৯৮ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

প্রথম ম্যাচে জয় পেলেও মাঠের ফুটবলে মন ভরাতে পারেনি বাংলাদেশ। অনেকটা ভাগ্যের সহায়তায় পাওয়া এক গোলে কোনোমতে জয় পেয়েছিল তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে আর ভাগ্য সহায়তা করেনি। সাদামাটা ফুটবল খেলে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে হেরেই গেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) থিম্পুর চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে ভুটানের বিপক্ষে ১-০ গোলের ব্যবধানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে কিংয়া ওয়াংচুকের পা থেকে। প্রথম ম্যাচে একই ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। ফলে দুই ম্যাচের সিরিজ সমতায় শেষ হলো।

আগামী বছরের এশিয়ান কাপের তৃতীয় রাউন্ডের বাছাইয়ের ড্রয়ে প্লট-থ্রি’তে থাকার লক্ষে র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করতে ভুটান সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। জিততে চেয়েছিল দুটি প্রীতি ম্যাচই, কিন্তু চাওয়া পূরণ হলো না।

দুটি পরিবর্তন এনে দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশ সাজান বাংলাদেশ কোচ। প্রথম ম্যাচে পাওয়া চোটে ছিটকে যাওয়া রাকিব হোসেনের জায়গায় আক্রমণভাগে শাহরিয়ার ইমন এবং অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষের জায়গায় ইসা ফয়সালকে রাখেন কাবরেরা।

শুরু থেকে ভুটান চাপ দিতে থাকে, তবে রক্ষণে তপু বর্মন ও ইসা দারুণ সক্রিয় থাকায় গোলরক্ষক মিতুল মারমাকে তেমন পরীক্ষার মুখে পড়তে হচ্ছিল না। বাংলাদেশের মাঝমাঠ ছিল ছন্দহীন, আক্রমণভাগেও ছিল না ধার।

৩৩তম মিনিটে দারুণ সেভে বাংলাদেশের ত্রাতা মিতুল। গতি দিয়ে ডিফেন্ডারদের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাওয়া তিসেলত্রিম নামগাইলের শট অনেকটা লাফিয়ে আঙুলের টোকায় ক্রসবারের উপর দিয়ে বের করে দেন তিনি।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে দারুণ সুযোগ পায় বাংলাদেশ। সোহেল রানার লং পাস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিলেন ইমন, কিন্তু বলের গতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারেননি ঠিকঠাক। শেষ পর্যন্ত শট নিলেও পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসা গোলরক্ষক ধেনদুপ তিসেরাংয়ে গায়ে লেগে কর্নার হয়ে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধে দুটি পরিবর্তন আনেন কাবরেরা। ৫৯ মিনিটে ইমন ও ফয়সালকে তুলে মিরাজুল ইসলাম ও রাব্বি হোসেন রাহুলকে নামান। এ ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলে অভিষেকও হল অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা মিরাজুলের। এই তরুণও পারেননি দলকে পথ দেখাতে।

৬৭তম মিনিটে বক্সের ভেতরে ভালো জায়গা থেকে ইয়েশ দর্জির কোনাকুনি শট বেরিয়ে যায় দূরের পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে। একটু পর কিংমা ওয়াংচুকের দুর্বল শট সহজে গ্লাভসে জমান মিতুল।

৭৫ মিনিটে মোরসালিনের জায়গায় জামাল ভূঁইয়া, এবং সোহেল রানা জুনিয়রের বদলি মজিবুর রহমান জনি নামেন। দুই মিনিট পর বক্সে উড়ে আসা বল রাব্বি নাগালে পাওয়ার আগেই ক্লিয়ার করেন নেপাল গোলরক্ষক।

শেষ দিকে আচমকাই গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। ফ্রি কিকের পর সতীর্থের হেড পাসে বক্সে ফাঁকায় থাকা কিংমা ওয়াংচুক নিখুঁত শটে পরাস্ত করেন মিতুলকে। এরপর আর ঘুরে দাঁড়ানোর উপলক্ষ্য পায়নি বাংলাদেশ।

২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর ভুটানের কাছে হেরেছিল ৩-১ গোলে। যে পরাজয় বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে ‘ভুটান ট্র্যাজেডি’ হয়েই পরিচিত। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) আবারও ভুটানের কাছে হেরে আরও একটি ভুটান ট্র্যাজেডির জন্ম দিল বাংলাদেশ। ভুটানের বিপক্ষে ১৬ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ১২টি, ভুটানের ২টি, বাকি দুই ম্যাচ ড্র।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আপস করলে খালেদা জিয়া অনেক আগেই ক্ষমতায় বসতে পারতেন : সেলিমা রহমান

শেষ মুহূর্তে গোল ভুটানের কাছে হেরে গেল বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ০৯:৪০:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

প্রথম ম্যাচে জয় পেলেও মাঠের ফুটবলে মন ভরাতে পারেনি বাংলাদেশ। অনেকটা ভাগ্যের সহায়তায় পাওয়া এক গোলে কোনোমতে জয় পেয়েছিল তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে আর ভাগ্য সহায়তা করেনি। সাদামাটা ফুটবল খেলে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে হেরেই গেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) থিম্পুর চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে ভুটানের বিপক্ষে ১-০ গোলের ব্যবধানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে কিংয়া ওয়াংচুকের পা থেকে। প্রথম ম্যাচে একই ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। ফলে দুই ম্যাচের সিরিজ সমতায় শেষ হলো।

আগামী বছরের এশিয়ান কাপের তৃতীয় রাউন্ডের বাছাইয়ের ড্রয়ে প্লট-থ্রি’তে থাকার লক্ষে র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করতে ভুটান সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। জিততে চেয়েছিল দুটি প্রীতি ম্যাচই, কিন্তু চাওয়া পূরণ হলো না।

দুটি পরিবর্তন এনে দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশ সাজান বাংলাদেশ কোচ। প্রথম ম্যাচে পাওয়া চোটে ছিটকে যাওয়া রাকিব হোসেনের জায়গায় আক্রমণভাগে শাহরিয়ার ইমন এবং অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষের জায়গায় ইসা ফয়সালকে রাখেন কাবরেরা।

শুরু থেকে ভুটান চাপ দিতে থাকে, তবে রক্ষণে তপু বর্মন ও ইসা দারুণ সক্রিয় থাকায় গোলরক্ষক মিতুল মারমাকে তেমন পরীক্ষার মুখে পড়তে হচ্ছিল না। বাংলাদেশের মাঝমাঠ ছিল ছন্দহীন, আক্রমণভাগেও ছিল না ধার।

৩৩তম মিনিটে দারুণ সেভে বাংলাদেশের ত্রাতা মিতুল। গতি দিয়ে ডিফেন্ডারদের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাওয়া তিসেলত্রিম নামগাইলের শট অনেকটা লাফিয়ে আঙুলের টোকায় ক্রসবারের উপর দিয়ে বের করে দেন তিনি।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে দারুণ সুযোগ পায় বাংলাদেশ। সোহেল রানার লং পাস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিলেন ইমন, কিন্তু বলের গতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারেননি ঠিকঠাক। শেষ পর্যন্ত শট নিলেও পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসা গোলরক্ষক ধেনদুপ তিসেরাংয়ে গায়ে লেগে কর্নার হয়ে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধে দুটি পরিবর্তন আনেন কাবরেরা। ৫৯ মিনিটে ইমন ও ফয়সালকে তুলে মিরাজুল ইসলাম ও রাব্বি হোসেন রাহুলকে নামান। এ ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলে অভিষেকও হল অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা মিরাজুলের। এই তরুণও পারেননি দলকে পথ দেখাতে।

৬৭তম মিনিটে বক্সের ভেতরে ভালো জায়গা থেকে ইয়েশ দর্জির কোনাকুনি শট বেরিয়ে যায় দূরের পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে। একটু পর কিংমা ওয়াংচুকের দুর্বল শট সহজে গ্লাভসে জমান মিতুল।

৭৫ মিনিটে মোরসালিনের জায়গায় জামাল ভূঁইয়া, এবং সোহেল রানা জুনিয়রের বদলি মজিবুর রহমান জনি নামেন। দুই মিনিট পর বক্সে উড়ে আসা বল রাব্বি নাগালে পাওয়ার আগেই ক্লিয়ার করেন নেপাল গোলরক্ষক।

শেষ দিকে আচমকাই গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। ফ্রি কিকের পর সতীর্থের হেড পাসে বক্সে ফাঁকায় থাকা কিংমা ওয়াংচুক নিখুঁত শটে পরাস্ত করেন মিতুলকে। এরপর আর ঘুরে দাঁড়ানোর উপলক্ষ্য পায়নি বাংলাদেশ।

২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর ভুটানের কাছে হেরেছিল ৩-১ গোলে। যে পরাজয় বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে ‘ভুটান ট্র্যাজেডি’ হয়েই পরিচিত। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) আবারও ভুটানের কাছে হেরে আরও একটি ভুটান ট্র্যাজেডির জন্ম দিল বাংলাদেশ। ভুটানের বিপক্ষে ১৬ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ১২টি, ভুটানের ২টি, বাকি দুই ম্যাচ ড্র।