Dhaka শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেষ বলের নাটকীয়তায় সিলেটকে হারাল ঢাকা

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০২:৪৬:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ২০৭ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল সিলেট। এদিন ৪১২ তুলেছে দুই দল। তবে শেষ বলের নাটকীয়তায় জয় পেয়েছে ঢাকা বিভাগ। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ঢাকা বিভাগের প্রয়োজন ছিল ১২ রান। সিলেট বিভাগের তোফায়েল আহমেদ ওভারটা যেভাবে শুরু করেছিলেন তাতে, জয়ের পাল্লা তাদের দিকেই ঝুঁকে ছিল। কিন্তু শেষ বলে লং অফ দিয়ে দারুণ এক ছক্কায় ঢাকাকে জিতিয়ে দিলেন শুভাগত হোম।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) আগে ব্যাট করে ঢাকাকে ২০৬ রানের বড় লক্ষ্য দেয় সিলেট বিভাগ। জবাব দিতে নেমে ৬ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা বিভাগ। এতে টুর্নামেন্টে শুভসূচনা করেছে তারা।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই অধিনায় সাইফ হাসানকে হারায় ঢাকা। খালেদ আহমেদের বলে অমিত হাসানের হাতে ক্যাচ দেন রানের খাতা খোলার আগেই। তিনে নেমে আশিকুর রহমানের সাথে আরিফুল গড়েন ৫৭ রানের জুটি। এই জুটির শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাট করতে থাকেন আরিফুল। অন্য প্রান্তে আশিকুর করেন তুলনামূলক ধীরগতিতে। ৫৭ রানের জুটিতে অর্ধেকের বেশি রানই এসেছে আরিফুলের ব্যাট থেকে।

আশিকুরের বিদায়ের পর উইকেটে আসা আরাফাত সানি জুনিয়েরর সাথেও হয় ৮৩ রানের জুটি। সেই জুটিতে সবচেয়ে বিধ্বংসী রুপে আবির্ভূত হন আরিফুল। প্রথম ১৭ বলে ৩৮ তোলার পর, পরের ২৯ বলে তোলেন আরো ৫৬। আবু জায়েদ রাহির বলে মাহফুজুর রাব্বির হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে খেলেন ৪৬ বলে ৯৪ রানের ইনিংস। ইনিংসটিতে ছিল আটটি ছক্কা ও ছয়টি চার। আরিফুলের পর আরাফাতের উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে মাহিদুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটা সেরেছেন শুভাগত। শেষ বলে ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতানো এই ডানহাতি অপরাজিত থাকেন ১৮ বলে ৩১ রানে।

টস হেরে ব্যাট করতে নামা সিলেটের ওপেনার তৌফিক ও জিসান আলমের ব্যাটে ৪৯ রানের জুটি পায় দলটি। তবে শুরু থেকে মন্থর গতিতে ব্যাট চালানো জিসান সময় বাড়ার সাথে রানের গতিও বাড়িয়েছেন।

এনসিএলে এবারের আসরে প্রথম সেঞ্চুরি পেতে জিসানের খরচ করতে হয়েছে ৫২ বল। তবে প্রথম অর্ধশতক পেতে ৪০ বল খেলতে হয়েছে সিলেটের ওপেনারের। পরবর্তী অর্ধশতক করতে মাত্র ১২ বল খেলেছেন এ ডানহাতি। ম্যাচের ১৭তম ওভারে নাজমুল হোসেন অপুর বলে আউট হওয়ার আগে এ ব্যাটার ৫৩ বলে করেন ১০০ রান। যেখানে চার বাউন্ডারির সাথে ছিল ১০ ছক্কা।

জিসানের খুনে ব্যাটিং দেখা গিয়েছে ম্যাচের ১৪তম ওভারে। অফস্পিনার মোহাম্মদ আরাফাতের ওভারে ৫ ছক্কায় তুলেছেন ৩২ রান। পরবর্তী ওভারে সুমন খানের ওপর চড়াও হন এ ব্যাটার। সুমনের ওভারে ডাবল ছক্কায় সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছান তিনি। ১৬তম ওভারে নজমুল ইসলাম অপুর বলে সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি করে দুহাত উঁচিয়ে ধরেন তিনি, অপুর বলেই পরে বোল্ড হয়ে থামে তার স্মরণীয় ইনিংস। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে প্রথম শতকের দেখা পেয়েছেন ডানহাতি ব্যাটার। বাংলাদেশিদের মধ্যে যা চতুর্থ দ্রুততম। এর আগে পারভেজ হোসেন ইমনের (৪২ বল)। তামিম ইকবালের ৫০ বলের সেঞ্চুরি এবং নাজমুল হোসেন শান্তর ৫১ ও ৫২ বলে সেঞ্চুরি আছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

শেষ বলের নাটকীয়তায় সিলেটকে হারাল ঢাকা

প্রকাশের সময় : ০২:৪৬:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল সিলেট। এদিন ৪১২ তুলেছে দুই দল। তবে শেষ বলের নাটকীয়তায় জয় পেয়েছে ঢাকা বিভাগ। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ঢাকা বিভাগের প্রয়োজন ছিল ১২ রান। সিলেট বিভাগের তোফায়েল আহমেদ ওভারটা যেভাবে শুরু করেছিলেন তাতে, জয়ের পাল্লা তাদের দিকেই ঝুঁকে ছিল। কিন্তু শেষ বলে লং অফ দিয়ে দারুণ এক ছক্কায় ঢাকাকে জিতিয়ে দিলেন শুভাগত হোম।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) আগে ব্যাট করে ঢাকাকে ২০৬ রানের বড় লক্ষ্য দেয় সিলেট বিভাগ। জবাব দিতে নেমে ৬ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা বিভাগ। এতে টুর্নামেন্টে শুভসূচনা করেছে তারা।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই অধিনায় সাইফ হাসানকে হারায় ঢাকা। খালেদ আহমেদের বলে অমিত হাসানের হাতে ক্যাচ দেন রানের খাতা খোলার আগেই। তিনে নেমে আশিকুর রহমানের সাথে আরিফুল গড়েন ৫৭ রানের জুটি। এই জুটির শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাট করতে থাকেন আরিফুল। অন্য প্রান্তে আশিকুর করেন তুলনামূলক ধীরগতিতে। ৫৭ রানের জুটিতে অর্ধেকের বেশি রানই এসেছে আরিফুলের ব্যাট থেকে।

আশিকুরের বিদায়ের পর উইকেটে আসা আরাফাত সানি জুনিয়েরর সাথেও হয় ৮৩ রানের জুটি। সেই জুটিতে সবচেয়ে বিধ্বংসী রুপে আবির্ভূত হন আরিফুল। প্রথম ১৭ বলে ৩৮ তোলার পর, পরের ২৯ বলে তোলেন আরো ৫৬। আবু জায়েদ রাহির বলে মাহফুজুর রাব্বির হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে খেলেন ৪৬ বলে ৯৪ রানের ইনিংস। ইনিংসটিতে ছিল আটটি ছক্কা ও ছয়টি চার। আরিফুলের পর আরাফাতের উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে মাহিদুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটা সেরেছেন শুভাগত। শেষ বলে ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতানো এই ডানহাতি অপরাজিত থাকেন ১৮ বলে ৩১ রানে।

টস হেরে ব্যাট করতে নামা সিলেটের ওপেনার তৌফিক ও জিসান আলমের ব্যাটে ৪৯ রানের জুটি পায় দলটি। তবে শুরু থেকে মন্থর গতিতে ব্যাট চালানো জিসান সময় বাড়ার সাথে রানের গতিও বাড়িয়েছেন।

এনসিএলে এবারের আসরে প্রথম সেঞ্চুরি পেতে জিসানের খরচ করতে হয়েছে ৫২ বল। তবে প্রথম অর্ধশতক পেতে ৪০ বল খেলতে হয়েছে সিলেটের ওপেনারের। পরবর্তী অর্ধশতক করতে মাত্র ১২ বল খেলেছেন এ ডানহাতি। ম্যাচের ১৭তম ওভারে নাজমুল হোসেন অপুর বলে আউট হওয়ার আগে এ ব্যাটার ৫৩ বলে করেন ১০০ রান। যেখানে চার বাউন্ডারির সাথে ছিল ১০ ছক্কা।

জিসানের খুনে ব্যাটিং দেখা গিয়েছে ম্যাচের ১৪তম ওভারে। অফস্পিনার মোহাম্মদ আরাফাতের ওভারে ৫ ছক্কায় তুলেছেন ৩২ রান। পরবর্তী ওভারে সুমন খানের ওপর চড়াও হন এ ব্যাটার। সুমনের ওভারে ডাবল ছক্কায় সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছান তিনি। ১৬তম ওভারে নজমুল ইসলাম অপুর বলে সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি করে দুহাত উঁচিয়ে ধরেন তিনি, অপুর বলেই পরে বোল্ড হয়ে থামে তার স্মরণীয় ইনিংস। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে প্রথম শতকের দেখা পেয়েছেন ডানহাতি ব্যাটার। বাংলাদেশিদের মধ্যে যা চতুর্থ দ্রুততম। এর আগে পারভেজ হোসেন ইমনের (৪২ বল)। তামিম ইকবালের ৫০ বলের সেঞ্চুরি এবং নাজমুল হোসেন শান্তর ৫১ ও ৫২ বলে সেঞ্চুরি আছে।